কারফিউ অমান্য করে কাশ্মীরে বিক্ষোভ, নিহত ১, গ্রেপ্তার ১০০
কারফিউ
ভেঙে রাস্তায় নেমে আসছে কাশ্মীরের মানুষ। কয়েকটি জায়গায় দফায় দফায় বিক্ষোভ
ঘটেছে। পুলিশ-সেনা সদস্যদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া এবং পুলিশের সঙ্গে
একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রতিবাদে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে রাজনৈতিক নেতাসহ ১০০ জনের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে ৬ জন বিক্ষোভকারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রীনগরের এক পুলিশ অফিসারের দাবি করে, ‘তাড়া খেয়ে একজন বিক্ষোভকারী ঝিলম নদীতে ঝাঁপ দেয় এবং মারা যায়।’
এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের ডেপুটি এডিটর মুজামিল জালিল শ্রীনগর থেকে দিল্লিতে ফিরে দাবি করেন, দুই বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার খবর জেনেছেন তিনি। তবে এ ঘটনা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, সোমবার রাজ্যসভায় কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ ধারা বিলোপ করা হয়। পরদিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দিল্লিতে পাঠানো রিপোর্টে জানায়, জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলকে স্বাগত জানিয়েছেন কাশ্মীরবাসী।
কিন্তু বিজেপি সরকারের এমন ঘোষণায় কারফিউ ভেঙে ঠিকই বের হয়ে এসেছে কাশ্মীরের মানুষ। সংঘর্ষে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে।
এ দিকে প্রাক্তন আইএএস অফিসার শাহ ফয়সাল কাশ্মীরের সামগ্রিক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন।
তিনি লিখছেন, ‘শ্রীনগরে জিরো ব্রিজ থেকে বিমানবন্দর, সব জায়গায় কার্যত কারফিউ চলছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে নিরাপত্তার ভার তুলে নিয়েছে সেনা। শ্রীনগরের বাইরে অন্য জেলাগুলিতে ১৪৪ ধারা আরও কঠোর। রাজ্যের ৮০ লক্ষ মানুষ এই রকম পরিস্থিতি আগে কখনো দেখেনি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘স্যাটেলাইট ফোন ছাড়া টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ। ক্যাবল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকলেও ডিরেক্ট টু হোম (ডিটুএইচ) যাদের রয়েছে, তারা টিভি দেখতে পারছেন। তবে অধিকাংশেরই এখনো স্পষ্ট ধারণা নেই, ঠিক কী হয়েছে। জাতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের শ্রীনগরের বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। বড় কোনো সংঘর্ষের ঘটনার খবর পাওয়া না গেলেও রামবাগ, নতিপোরা, ডাউনটাউন, কুলগাম, অনন্তনাগের মতো জায়গায় বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভ-পাথর ছোড়ার মতো ঘটনার খবর এসেছে।’
উপত্যকার সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকলেও কোনো না কোনো ভাবে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মত তুলে ধরতে পারছেন। যেমন এর আগে ওমর আবদুল্লাহ, মেহবুবা মুফতিও এই যোগাযোগহীন অবস্থায় টুইট করেছেন। তেমন ভাবেই ফেসবুকে লিখেছেন ফয়সালও।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রতিবাদে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে রাজনৈতিক নেতাসহ ১০০ জনের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে ৬ জন বিক্ষোভকারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রীনগরের এক পুলিশ অফিসারের দাবি করে, ‘তাড়া খেয়ে একজন বিক্ষোভকারী ঝিলম নদীতে ঝাঁপ দেয় এবং মারা যায়।’
এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের ডেপুটি এডিটর মুজামিল জালিল শ্রীনগর থেকে দিল্লিতে ফিরে দাবি করেন, দুই বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার খবর জেনেছেন তিনি। তবে এ ঘটনা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, সোমবার রাজ্যসভায় কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ ধারা বিলোপ করা হয়। পরদিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দিল্লিতে পাঠানো রিপোর্টে জানায়, জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলকে স্বাগত জানিয়েছেন কাশ্মীরবাসী।
কিন্তু বিজেপি সরকারের এমন ঘোষণায় কারফিউ ভেঙে ঠিকই বের হয়ে এসেছে কাশ্মীরের মানুষ। সংঘর্ষে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে।
এ দিকে প্রাক্তন আইএএস অফিসার শাহ ফয়সাল কাশ্মীরের সামগ্রিক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন।
তিনি লিখছেন, ‘শ্রীনগরে জিরো ব্রিজ থেকে বিমানবন্দর, সব জায়গায় কার্যত কারফিউ চলছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে নিরাপত্তার ভার তুলে নিয়েছে সেনা। শ্রীনগরের বাইরে অন্য জেলাগুলিতে ১৪৪ ধারা আরও কঠোর। রাজ্যের ৮০ লক্ষ মানুষ এই রকম পরিস্থিতি আগে কখনো দেখেনি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘স্যাটেলাইট ফোন ছাড়া টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ। ক্যাবল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকলেও ডিরেক্ট টু হোম (ডিটুএইচ) যাদের রয়েছে, তারা টিভি দেখতে পারছেন। তবে অধিকাংশেরই এখনো স্পষ্ট ধারণা নেই, ঠিক কী হয়েছে। জাতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের শ্রীনগরের বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। বড় কোনো সংঘর্ষের ঘটনার খবর পাওয়া না গেলেও রামবাগ, নতিপোরা, ডাউনটাউন, কুলগাম, অনন্তনাগের মতো জায়গায় বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভ-পাথর ছোড়ার মতো ঘটনার খবর এসেছে।’
উপত্যকার সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকলেও কোনো না কোনো ভাবে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মত তুলে ধরতে পারছেন। যেমন এর আগে ওমর আবদুল্লাহ, মেহবুবা মুফতিও এই যোগাযোগহীন অবস্থায় টুইট করেছেন। তেমন ভাবেই ফেসবুকে লিখেছেন ফয়সালও।
No comments