‘কণ্ঠস্বর ছিনিয়ে নেওয়ার পর আমাদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে’
৫ আগস্ট সোমবার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে ভারত সরকার কাশ্মিরের
স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেওয়ার পর চাপা ক্ষোভ আর কষ্ট বুকে চেপে কারফিউ যাপন
করছে। নজিরবিহীন ধরপাকড় চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট ও
মোবাইল ফোন সংযোগ। চলাফেরায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। গৃহবন্দি কিংবা
আটকাবস্থায় স্থানীন নেতৃত্ব। এমন অবস্থায় ক্ষোভ আর কান্না আরও পুঞ্জিভূত
হচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে। কাশ্মিরবাসী মনে করছে, কারফিউ আর
নিরাপত্তা চাদরে জড়িয়ে তাদের কণ্ঠস্বর চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। কেড়ে নেওয়া
হচ্ছে তাদের ভূমি।
কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল, অঞ্চলটিকে ভেঙে দুই ভাগ করা এবং সরাসরি কেন্দ্রীয় শাসনের অধীনে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত কার্যকরের আগেই সেখানে বিপুলসংখ্যক ভারতীয় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তারও আগে থেকে সেখানে ৫ লাখ সেনা মোতায়েন ছিল। ৪ আগস্ট রবিবার রাত থেকে কাশ্মিরকে অচলাবস্থায় রাখা হয়েছে। সব ধরনের যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিল্লিভিত্তিক একটি সাময়িকীর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আল জাজিরাকে বলেন, ‘এ অচলাবস্থা নজিরবিহীন ঘটনা। আমাদেরকে ভিডিও এবং ছবি পেন ড্রাইভে সংরক্ষণ করে রাখতে বাধ্য করা হচ্ছে। যারা উপত্যকা থেকে বের হয়ে নয়াদিল্লি ফিরে যাচ্ছেন তারাই কেবল যার যার সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলে সেগুলো প্রকাশ করতে পারছেন। অন্য সাংবাদিকরা জরুরি ইন্টারনেট সুবিধাযুক্ত সরকারি কার্যালয় ও হাসপাতালগুলোতে ব্যান্ডউইথ চেয়ে আবেদন করছে।’
কাশ্মিরের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে শীর্ষ পত্রিকাগুলোর ওয়েবসাইটে কেবল ৪ ও ৫ আগস্টের সংবাদ দেখাচ্ছে।
ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন গড়ে ওঠার আতঙ্কে ‘জঙ্গি হামলার হুমকি’র কথা বলে হিন্দু পুণ্যার্থী ও পর্যটকদেরকে কাশ্মির ছাড়তে বলেছে মোদি সরকার। হোটেল ও ভাসমান বাড়িগুলোতে (হাউস বোট) তল্লাশি চালিয়ে পর্যটকদের এলাকা ছাড়তে বলছে পুলিশ। এ পরিস্থিতিতে কাশ্মিরে ছুটি কাটাতে না যাওয়ার জন্য নিজস্ব নাগরিকদের প্রতি সতর্কবার্তা দিয়েছে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইসরায়েল ও অস্ট্রেলিয়া।
দল গেট এলাকার কাছে অবস্থিত একটি গেস্ট হাউসের মালিক জাহাঙ্গীর আহমদ (৩৩) আক্ষেপ করে আল জাজিরাকে বলেন, “আমরা কিছু ভালো ব্যবসা করছিলাম। তা এখন আর করা যাচ্ছে না। পুলিশ ও সেনা সদস্যরা আমাদের অতিথিদেরকে ভীত করে তুলেছে। ভারত আমাদের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়েছে শুনে আমি যখন মর্মাহত, তখন কিছু ভারতীয় পর্যটক আমার গেস্ট হাউসে বসে উল্লাস করেছে। তবে আমি তাদের প্রতি আমার অসন্তুষ্টি প্রকাশ করতে পারিনি। আমি মনে মনে বলছিলাম, ‘তোমরা শুরুতে আমাদের কন্ঠস্বর ছিনিয়ে নিয়েছো, আর এখন আমাদের জমি কেড়ে নিচ্ছো’।”
কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল, অঞ্চলটিকে ভেঙে দুই ভাগ করা এবং সরাসরি কেন্দ্রীয় শাসনের অধীনে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত কার্যকরের আগেই সেখানে বিপুলসংখ্যক ভারতীয় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তারও আগে থেকে সেখানে ৫ লাখ সেনা মোতায়েন ছিল। ৪ আগস্ট রবিবার রাত থেকে কাশ্মিরকে অচলাবস্থায় রাখা হয়েছে। সব ধরনের যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিল্লিভিত্তিক একটি সাময়িকীর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আল জাজিরাকে বলেন, ‘এ অচলাবস্থা নজিরবিহীন ঘটনা। আমাদেরকে ভিডিও এবং ছবি পেন ড্রাইভে সংরক্ষণ করে রাখতে বাধ্য করা হচ্ছে। যারা উপত্যকা থেকে বের হয়ে নয়াদিল্লি ফিরে যাচ্ছেন তারাই কেবল যার যার সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলে সেগুলো প্রকাশ করতে পারছেন। অন্য সাংবাদিকরা জরুরি ইন্টারনেট সুবিধাযুক্ত সরকারি কার্যালয় ও হাসপাতালগুলোতে ব্যান্ডউইথ চেয়ে আবেদন করছে।’
কাশ্মিরের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে শীর্ষ পত্রিকাগুলোর ওয়েবসাইটে কেবল ৪ ও ৫ আগস্টের সংবাদ দেখাচ্ছে।
ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন গড়ে ওঠার আতঙ্কে ‘জঙ্গি হামলার হুমকি’র কথা বলে হিন্দু পুণ্যার্থী ও পর্যটকদেরকে কাশ্মির ছাড়তে বলেছে মোদি সরকার। হোটেল ও ভাসমান বাড়িগুলোতে (হাউস বোট) তল্লাশি চালিয়ে পর্যটকদের এলাকা ছাড়তে বলছে পুলিশ। এ পরিস্থিতিতে কাশ্মিরে ছুটি কাটাতে না যাওয়ার জন্য নিজস্ব নাগরিকদের প্রতি সতর্কবার্তা দিয়েছে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইসরায়েল ও অস্ট্রেলিয়া।
দল গেট এলাকার কাছে অবস্থিত একটি গেস্ট হাউসের মালিক জাহাঙ্গীর আহমদ (৩৩) আক্ষেপ করে আল জাজিরাকে বলেন, “আমরা কিছু ভালো ব্যবসা করছিলাম। তা এখন আর করা যাচ্ছে না। পুলিশ ও সেনা সদস্যরা আমাদের অতিথিদেরকে ভীত করে তুলেছে। ভারত আমাদের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়েছে শুনে আমি যখন মর্মাহত, তখন কিছু ভারতীয় পর্যটক আমার গেস্ট হাউসে বসে উল্লাস করেছে। তবে আমি তাদের প্রতি আমার অসন্তুষ্টি প্রকাশ করতে পারিনি। আমি মনে মনে বলছিলাম, ‘তোমরা শুরুতে আমাদের কন্ঠস্বর ছিনিয়ে নিয়েছো, আর এখন আমাদের জমি কেড়ে নিচ্ছো’।”
শ্রীনগরে কারফিউ চলাকালীন একটি অস্থায়ী তল্লাশি চৌকি পার হচ্ছে শিশুরা |
No comments