ফেসবুকে দিতেই নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ধারণ করা হয় by উজ্জ্বল মেহেদী
সামিউল আলম ওরফে রাজন |
‘চোর’
সাব্যস্ত করে কিশোর সামিউল আলম ওরফে রাজনকে জনসম্মুখে পিটিয়ে হত্যার
ভিডিওচিত্র মুঠোফোনে ধারণ করেছিলেন অভিযুক্ত হত্যাকারীদের সহযোগী এক
তরুণ। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েই
২৮ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের ভিডিওচিত্রটি ধারণ করা হয়।
ভিডিওচিত্রে শোনা যায়, অপরাধীরা ফেসবুকে প্রচারের জন্যই ভিডিওচিত্র গ্রহণকারীকে পুরো সময়ের ছবি রেকর্ড করতে বলছে।
গত শুক্রবার রাত আটটার দিকে ভিডিওচিত্রটি প্রথম আলোর এই প্রতিবেদকের হাতে আসে। ভিডিওচিত্র দেখেই প্রতিবেদন তৈরি করা হয় এবং রোববার সেই প্রতিবেদন প্রথম আলোতে ‘নির্মম পৈশাচিক!’ শিরোনামে ছাপা হয়। কিন্তু ঘটনার নৃশংসতার কারণে ভিডিওচিত্রটি প্রথম আলো প্রকাশ করেনি। বরং অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সহায়তার জন্য পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। যিনি ভিডিওচিত্রটি ধারণ করেছিলেন, তাঁর বয়স ২৪। সেই তরুণ জানালেন, ছেলেটি মারা যাওয়ার খবর তিনি পরে পান। সেই সময় থেকে তিনি অনেকটা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সিলেট নগরের কুমারগাঁও বাসস্টেশনের অদূরে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের পাশে তাঁর বাড়ি। গত বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকালে একাধিকবার তাঁর সঙ্গে কথা হয়। শুক্রবার রাত আটটায় ভিডিওচিত্রটি প্রথম আলোর সিলেট কার্যালয়ে পৌঁছায়।
ভিডিওচিত্রটি ডিভিডিতে নিয়ে ওই রাতেই সাড়ে নয়টার দিকে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ওসির কাছে ডিভিডির একটি কপি পাঠানো হয়। এরপরই নিশ্চিত হওয়া যায় ভিডিওটি সামিউলকে নির্যাতনের। ওই রাতেই সামিউলের বাড়ি জালালাবাদ থানার বাদেয়ালি গ্রামে গিয়ে ভিডিওটি তার পরিবারের কয়েকজনকে দেখিয়ে সেটি যে সামিউলকে নির্যাতনেরই দৃশ্য তা নিশ্চিত করা হয়।
বাদেয়ালি গ্রাম থেকে রাত ১২টার দিকে ফেরার পথে মাশুকবাজারে দেখা গেছে, সামিউলকে নির্যাতনের এক মিনিট, দুই মিনিট ব্যাপ্তির ভিডিওচিত্র বিক্রি হচ্ছে। রোববার প্রথম আলোর শেষ পৃষ্ঠায় ভিডিওচিত্রের বর্ণনা দিয়ে প্রথম সংবাদ প্রকাশের পর ভিডিওচিত্রটি দেশব্যাপী আলোচনায় আসে। ভিডিওচিত্র ধারণকারী তরুণের কুমারগাঁও বাসস্টেশনে গাড়ির যন্ত্রাংশের দোকান রয়েছে। সামিউলকে নির্যাতনকারী কামরুল ইসলামকে তিনি ‘মামা’ বলে সম্বোধন করছিলেন। কিন্তু কামরুলের সঙ্গে ওই তরুণের আত্মীয়তার কোনো সম্পর্ক নেই। এক প্রশ্নের জবাবে ভিডিওধারণকারী তরুণ বলেন, ‘মামা বলছিলেন, ফেসবুকে ছাড়া হবে। এ জন্য পুরোটা তোলা হয়েছে।’
ফেসবুকে ছাড়ার জন্য ভিডিও করা হচ্ছে—এ বিষয়টি ভিডিওচিত্র ধারণকারী তরুণের সঙ্গে অন্যদের কথাবার্তা থেকেও বোঝা যায়। একজনকে তখন বলতে শোনা যায়, ‘ফেসবুকে ছাড়ি দে, এ তো খাঁটি চোর! সারা দুনিয়ার মানুষ দেখব...।’
ভিডিওচিত্রে শোনা যায়, অপরাধীরা ফেসবুকে প্রচারের জন্যই ভিডিওচিত্র গ্রহণকারীকে পুরো সময়ের ছবি রেকর্ড করতে বলছে।
গত শুক্রবার রাত আটটার দিকে ভিডিওচিত্রটি প্রথম আলোর এই প্রতিবেদকের হাতে আসে। ভিডিওচিত্র দেখেই প্রতিবেদন তৈরি করা হয় এবং রোববার সেই প্রতিবেদন প্রথম আলোতে ‘নির্মম পৈশাচিক!’ শিরোনামে ছাপা হয়। কিন্তু ঘটনার নৃশংসতার কারণে ভিডিওচিত্রটি প্রথম আলো প্রকাশ করেনি। বরং অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সহায়তার জন্য পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। যিনি ভিডিওচিত্রটি ধারণ করেছিলেন, তাঁর বয়স ২৪। সেই তরুণ জানালেন, ছেলেটি মারা যাওয়ার খবর তিনি পরে পান। সেই সময় থেকে তিনি অনেকটা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সিলেট নগরের কুমারগাঁও বাসস্টেশনের অদূরে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের পাশে তাঁর বাড়ি। গত বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকালে একাধিকবার তাঁর সঙ্গে কথা হয়। শুক্রবার রাত আটটায় ভিডিওচিত্রটি প্রথম আলোর সিলেট কার্যালয়ে পৌঁছায়।
ভিডিওচিত্রটি ডিভিডিতে নিয়ে ওই রাতেই সাড়ে নয়টার দিকে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ওসির কাছে ডিভিডির একটি কপি পাঠানো হয়। এরপরই নিশ্চিত হওয়া যায় ভিডিওটি সামিউলকে নির্যাতনের। ওই রাতেই সামিউলের বাড়ি জালালাবাদ থানার বাদেয়ালি গ্রামে গিয়ে ভিডিওটি তার পরিবারের কয়েকজনকে দেখিয়ে সেটি যে সামিউলকে নির্যাতনেরই দৃশ্য তা নিশ্চিত করা হয়।
বাদেয়ালি গ্রাম থেকে রাত ১২টার দিকে ফেরার পথে মাশুকবাজারে দেখা গেছে, সামিউলকে নির্যাতনের এক মিনিট, দুই মিনিট ব্যাপ্তির ভিডিওচিত্র বিক্রি হচ্ছে। রোববার প্রথম আলোর শেষ পৃষ্ঠায় ভিডিওচিত্রের বর্ণনা দিয়ে প্রথম সংবাদ প্রকাশের পর ভিডিওচিত্রটি দেশব্যাপী আলোচনায় আসে। ভিডিওচিত্র ধারণকারী তরুণের কুমারগাঁও বাসস্টেশনে গাড়ির যন্ত্রাংশের দোকান রয়েছে। সামিউলকে নির্যাতনকারী কামরুল ইসলামকে তিনি ‘মামা’ বলে সম্বোধন করছিলেন। কিন্তু কামরুলের সঙ্গে ওই তরুণের আত্মীয়তার কোনো সম্পর্ক নেই। এক প্রশ্নের জবাবে ভিডিওধারণকারী তরুণ বলেন, ‘মামা বলছিলেন, ফেসবুকে ছাড়া হবে। এ জন্য পুরোটা তোলা হয়েছে।’
ফেসবুকে ছাড়ার জন্য ভিডিও করা হচ্ছে—এ বিষয়টি ভিডিওচিত্র ধারণকারী তরুণের সঙ্গে অন্যদের কথাবার্তা থেকেও বোঝা যায়। একজনকে তখন বলতে শোনা যায়, ‘ফেসবুকে ছাড়ি দে, এ তো খাঁটি চোর! সারা দুনিয়ার মানুষ দেখব...।’
No comments