সরকারি এজেন্সিও ‘ডিবি’ পরিচয়ে লোক ধরছে -যুগ্ম কমিশনারের অভিযোগ
‘ডিবি’ পরিচয়ে গুম, গুপ্তহত্যা, চাঁদাবাজি ও ছিনতাই থামাতে দৃশ্যত কোনো উদ্যোগ নেই পুলিশের। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তারা উল্টো অভিযোগ করছেন, শুধু সন্ত্রাসীরাই নয়, সরকারি বিভিন্ন ‘এজেন্সি’ ডিবির পরিচয় ব্যবহার করে আসামি ধরছে। পরে তাদের অনেককে গ্রেপ্তারও দেখানো হয়েছে।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম গতকাল ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ‘ভুয়া ডিবি পুলিশ’ গ্রেপ্তারের বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কোনো কোনো এজেন্সিও ডিবি পরিচয়ে আসামি ধরেছে, পরে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি সমন্বয়ের চেষ্টা চলছে। তবে যুগ্ম কমিশনার কোনো এজেন্সির নাম উল্লেখ করেননি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এসব ভুয়া পরিচয়ধারী ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে সচেতন করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। ডিবির কর্মকর্তাদের আসামি গ্রেপ্তার বা অভিযান পরিচালনার সময় নির্ধারিত জ্যাকেট পরতে ও পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে। ডিবি পরিচয়ধারী ব্যক্তিদের শনাক্ত করার জন্য একটি ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালুর কথা ভাবছেন বলেও জানান কর্মকর্তারা।
গোয়েন্দা পুলিশের তিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে প্রথম আলোকে বলেন, চলতি বছরের গোড়ার দিকে নাশকতার সময় এবং গত বছরের নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার সময় সরকারের অন্য কয়েকটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা ‘ডিবি’ পরিচয় দিয়ে বেশ কিছু লোককে ধরেছে বলে তাঁরা জানতে পারেন। এদের অনেককেই আর ফেরত পাওয়া যায়নি। কারও লাশ মিলেছে। কাউকে পরে গ্রেপ্তারও দেখানো হয়েছে।
ডিবি পরিচয়ের বিভ্রান্তি দূর করতে করণীয় সম্পর্কে মনিরুল ইসলাম বলেন, ডিবি পরিচয়ে কেউ অভিযান চালাতে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাঁদের নাম-পরিচয় জানতে চাইতে পারেন, ছবিও তুলে রাখতে পারেন। প্রয়োজনে স্থানীয় থানা বা ডিবির সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেন। ডিবির কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে, সব সময় ডিবির নির্ধারিত জ্যাকেট পরে অভিযান চালাতে হবে। পরিচয়পত্র প্রদর্শন ও নিজেদের পরিচয় নিশ্চিত করার কথাও তাঁদের বলা হয়েছে। তবে যারা ডিবি পরিচয়ে অপরাধ করে, তাদের হম্বিতম্বি আর দাপটের মুখে অনেক সময়ই এসব পরিচয় সঠিক কি না, তা যাচাই করার সুযোগ থাকে না। ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু হলে মানুষ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযানকারীদের তথ্য যাচাই করে নিতে পারবে।
‘ডিবি’ পরিচয়ধারী এই অপরাধীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর (পুলিশ বা সশস্ত্র বাহিনী) সাবেক বা বর্তমান সদস্যদের জড়িয়ে পড়ার ঘটনা বাড়ছে। এ বিষয়ে মনিরুল বলেন, শৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক বা বর্তমান যে সদস্যরা এ ধরনের চক্রে জড়িয়ে পড়ছেন, তাঁদের বৃত্তান্ত জানার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড থেকে আবু বকর সিদ্দিক, আবুল হোসেন ও শরীফ হোসেন নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। কর্মকর্তারা জানান, ডিবি পরিচয় দিয়ে ওই তিনজন পেশাদারি অপরাধ করে যাচ্ছেন। গত রোববার সকালে এঁরা ডিবির পরিচয় দিয়ে এলিফ্যান্ট রোড থেকে দুই ব্যবসায়ীকে মাইক্রোবাসে তোলেন। এরপর একজনের কাছে থাকা ৫০ হাজার ও আরেকজনের সঙ্গে থাকা ২০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন তাঁরা। পরে পুলিশ তাঁদের ঘিরে ধরলে তিনজন বাদে বাকি সবাই ২০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। তাঁদের গাড়িটির সামনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মনোগ্রাম লাগানো ছিল। তাঁদের কাছ থেকে হাতকড়া, ওয়াকিটকিসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে, যা সাধারণত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ব্যবহার করে থাকেন।
গত রোববার সকালেই রাজধানীর পল্লবীতে পাওয়া যায় ব্যবসায়ী মমিন বক্সের (৪০) লাশ। তাঁকে গত বুধবার ডিবি পরিচয়ধারী ব্যক্তিরা মোহাম্মদপুর থানা এলাকা থেকে অপহরণ করেছিল। এরপর পরিবারটি দুই দিন মোহাম্মদপুর থানায় ঘোরাঘুরি করেও মামলা করতে পারেনি। রোববার লাশ পাওয়ার পরেও গতকাল সোমবার পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো থানায় মামলা করেননি স্বজনেরা। এই পরিবারের এক সদস্য গত ২৮ জুন পল্লবী থানার দুই উপপরিদর্শকসহ (এসআই) ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি চাঁদাবাজির মামলা করেছিলেন। পরিবারের কয়েকজন সদস্য মনে করেন, ওই মামলার কারণেই মমিনকে এভাবে মরতে হয়েছে। আর পুলিশ বলছে, মমিন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে শুধু পল্লবী থানাতেই দুটি হত্যাসহ ১১টি মামলা রয়েছে। তবে কারা তাঁকে হত্যা করল, গতকাল পর্যন্ত সে বিষয়ে কোনো ধারণাই মেলেনি বলে দাবি পুলিশের।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম গতকাল ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ‘ভুয়া ডিবি পুলিশ’ গ্রেপ্তারের বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কোনো কোনো এজেন্সিও ডিবি পরিচয়ে আসামি ধরেছে, পরে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি সমন্বয়ের চেষ্টা চলছে। তবে যুগ্ম কমিশনার কোনো এজেন্সির নাম উল্লেখ করেননি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এসব ভুয়া পরিচয়ধারী ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে সচেতন করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। ডিবির কর্মকর্তাদের আসামি গ্রেপ্তার বা অভিযান পরিচালনার সময় নির্ধারিত জ্যাকেট পরতে ও পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে। ডিবি পরিচয়ধারী ব্যক্তিদের শনাক্ত করার জন্য একটি ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালুর কথা ভাবছেন বলেও জানান কর্মকর্তারা।
গোয়েন্দা পুলিশের তিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে প্রথম আলোকে বলেন, চলতি বছরের গোড়ার দিকে নাশকতার সময় এবং গত বছরের নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার সময় সরকারের অন্য কয়েকটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা ‘ডিবি’ পরিচয় দিয়ে বেশ কিছু লোককে ধরেছে বলে তাঁরা জানতে পারেন। এদের অনেককেই আর ফেরত পাওয়া যায়নি। কারও লাশ মিলেছে। কাউকে পরে গ্রেপ্তারও দেখানো হয়েছে।
ডিবি পরিচয়ের বিভ্রান্তি দূর করতে করণীয় সম্পর্কে মনিরুল ইসলাম বলেন, ডিবি পরিচয়ে কেউ অভিযান চালাতে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাঁদের নাম-পরিচয় জানতে চাইতে পারেন, ছবিও তুলে রাখতে পারেন। প্রয়োজনে স্থানীয় থানা বা ডিবির সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেন। ডিবির কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে, সব সময় ডিবির নির্ধারিত জ্যাকেট পরে অভিযান চালাতে হবে। পরিচয়পত্র প্রদর্শন ও নিজেদের পরিচয় নিশ্চিত করার কথাও তাঁদের বলা হয়েছে। তবে যারা ডিবি পরিচয়ে অপরাধ করে, তাদের হম্বিতম্বি আর দাপটের মুখে অনেক সময়ই এসব পরিচয় সঠিক কি না, তা যাচাই করার সুযোগ থাকে না। ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু হলে মানুষ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযানকারীদের তথ্য যাচাই করে নিতে পারবে।
‘ডিবি’ পরিচয়ধারী এই অপরাধীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর (পুলিশ বা সশস্ত্র বাহিনী) সাবেক বা বর্তমান সদস্যদের জড়িয়ে পড়ার ঘটনা বাড়ছে। এ বিষয়ে মনিরুল বলেন, শৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক বা বর্তমান যে সদস্যরা এ ধরনের চক্রে জড়িয়ে পড়ছেন, তাঁদের বৃত্তান্ত জানার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড থেকে আবু বকর সিদ্দিক, আবুল হোসেন ও শরীফ হোসেন নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। কর্মকর্তারা জানান, ডিবি পরিচয় দিয়ে ওই তিনজন পেশাদারি অপরাধ করে যাচ্ছেন। গত রোববার সকালে এঁরা ডিবির পরিচয় দিয়ে এলিফ্যান্ট রোড থেকে দুই ব্যবসায়ীকে মাইক্রোবাসে তোলেন। এরপর একজনের কাছে থাকা ৫০ হাজার ও আরেকজনের সঙ্গে থাকা ২০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন তাঁরা। পরে পুলিশ তাঁদের ঘিরে ধরলে তিনজন বাদে বাকি সবাই ২০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। তাঁদের গাড়িটির সামনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মনোগ্রাম লাগানো ছিল। তাঁদের কাছ থেকে হাতকড়া, ওয়াকিটকিসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে, যা সাধারণত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ব্যবহার করে থাকেন।
গত রোববার সকালেই রাজধানীর পল্লবীতে পাওয়া যায় ব্যবসায়ী মমিন বক্সের (৪০) লাশ। তাঁকে গত বুধবার ডিবি পরিচয়ধারী ব্যক্তিরা মোহাম্মদপুর থানা এলাকা থেকে অপহরণ করেছিল। এরপর পরিবারটি দুই দিন মোহাম্মদপুর থানায় ঘোরাঘুরি করেও মামলা করতে পারেনি। রোববার লাশ পাওয়ার পরেও গতকাল সোমবার পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো থানায় মামলা করেননি স্বজনেরা। এই পরিবারের এক সদস্য গত ২৮ জুন পল্লবী থানার দুই উপপরিদর্শকসহ (এসআই) ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি চাঁদাবাজির মামলা করেছিলেন। পরিবারের কয়েকজন সদস্য মনে করেন, ওই মামলার কারণেই মমিনকে এভাবে মরতে হয়েছে। আর পুলিশ বলছে, মমিন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে শুধু পল্লবী থানাতেই দুটি হত্যাসহ ১১টি মামলা রয়েছে। তবে কারা তাঁকে হত্যা করল, গতকাল পর্যন্ত সে বিষয়ে কোনো ধারণাই মেলেনি বলে দাবি পুলিশের।
No comments