‘অবশ্যই আমার ওপর আস্থা রাখা উচিত’ by কাজী আরিফ আহমেদ
২০১৬
সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক
পরিস্থিতি ধীরে ধীরে সরগরম হয়ে উঠছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রথমবারের
মতো জাতীয় পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের সময় মঙ্গলবার বিশদ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন
সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফার্স্টলেডি হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটন।
সিএনএনের ব্রিয়ানা কেইলার তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন। সাক্ষাৎকারে অভিবাসনসহ
নানা বিষয় উঠে এসেছে। অভিবাসন ইস্যুতে বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির
প্রতিদ্বন্দ্বীদের আক্রমণ করেছেন হিলারি এবং মার্কিন জনগণ তার ওপর আস্থা
রাখতে পারছে না, এমন ইঙ্গিত নাকচ করে দিয়েছেন। হিলারি বলেছেন, জনগণের
অবশ্যই উচিত আমার ওপর আস্থা রাখা। ডানপন্থি রিপাবলিকানদের কাছ থেকে
ধারাবাহিকভাবে একের পর এক যে আক্রমণ করা হচ্ছে, তার তীব্র সমালোচনাও করেন
তিনি।
অভিবাসন ইস্যুতে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এবং হিলারির বহু বছরের বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যে তিনি ‘বেশ হতাশ’ বলে মন্তব্য করেন হিলারি। ট্রাম্প বলেছিলেন, মেক্সিকোর কিছু অভিবাসী ‘ধর্ষক’ ও ‘অপরাধী’। রিপাবলিকান পার্টি আরও দ্রুত ট্রাম্পের মন্তব্যের সমালোচনা না করার কারণেও হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি রিপাবলিকানদের অভিবাসননীতির কঠোর সমালোচনা করেন। বলেন, তারা বৈরী একটি ধারায় অবস্থান করছে, যা আমার মনে হয় আমাদের মতো অভিবাসী-অনুকূল দেশের পক্ষে সত্যিই আক্ষেপের। সাক্ষাৎকারে কখনও কখনও তিনি আত্মরক্ষামূলক অবস্থান নেন। প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী জেব বুশের উদ্দেশে হিলারি বলেন, নাগরিকত্ব লাভের প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করেন না তিনি। একসময় বিশ্বাস করলেও, এখন আর তা করেন না জেব। জেব বুশের নির্বাচনী প্রচারণায় হিলারির দিকে সমালোচনার তীর ছোড়া হয়। অভিবাসন নিয়ে হিলারির বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অবস্থানের বিষয়ে সমালোচনা করেন। বুশের প্রচারণার দায়িত্বে থাকা এক মুখপাত্র এমিলি বেনাভাইডস এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, নির্বাচিত হওয়ার জন্য হিলারি ক্লিনটন যে কোন কিছুই বলবেন। এ সময় হিলারির অভিবাসন ইস্যুতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অবস্থানের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। তিনি বলেন, জেব বুশ যেমনটি তার গ্রন্থে তুলে ধরেছেন, আমাদের ভগ্ন অভিবাসন ব্যবস্থাকে ঠিক করতে তিনি রক্ষণশীল আইনি সমাধানে বিশ্বাস করেন। যারা এ মুহূর্তে এ দেশে বাস করছেন, তাদের ক্ষেত্রে জরিমানা ও ট্যাক্স প্রদান, ইংরেজি শেখা ও গুরুতর কোন অপরাধ না করার পর বৈধ নাগরিকত্ব অর্জনের বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি। স্যান ফ্রান্সিসকো শহরে এক অবৈধ অভিবাসীর ঘটনা নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের ব্যাপারে শহর কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেন হিলারি।
সম্প্রতি একটি জনমত জরিপের ফল অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে হিলারির ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না ৫১ শতাংশ ভোটার। এ অঙ্গরাজ্যে মাত্র ৪৩ শতাংশ জনগণ তার ওপর আস্থা রাখছেন। ওহিয়ো অঙ্গরাজ্যে ৫৩ শতাংশ ভোটারের আস্থা অর্জন করতে পারেননি সাবেক এ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে ৪০ শতাংশ জনগণের সমর্থন পেয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যে সম্ভাব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে হিলারির সততা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে ৫৪ শতাংশ মানুষের মনে এবং ৪০ শতাংশ তার ওপর আস্থা রাখছেন। জনমত জরিপ সম্পর্কে তিনি বলছিলেন, আমার মনে হয় এটা বোধগম্য যে যখন প্রশ্ন ওঠে, তার অর্থ জনগণ সেগুলো নিয়ে ভাবছে এবং জল্পনা-কল্পনা করছে। তবে আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণার সময় জনগণ জানতে পারবে কে তাদের পক্ষে লড়াই করবে, যখন তাদের প্রয়োজন তখন কে তাদের পাশে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, আমি এ ধরনের মানুষ এবং আমি এটাই করবো, শুধু প্রচারণায় নয়, প্রেসিডেন্ট হিসেবেও।
হিলারির কাছে জানতে চাওয়া হয়, জনগণের এ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া বা অনুভূতিতে তার কোন ভূমিকা আছে কিনা। জবাবে তিনি বলেন, এ কৌশলটি বহু বছর ধরে আমার এবং আমার স্বামীর (সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন) বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আমার মনে হয়, দিনের শেষে ভোটাররা ঠিকই প্রকৃত বিষয়টি বের করতে পারেন। মার্কিন ভোটারদের ওপর আমার শতভাগ আস্থা রয়েছে। ব্রিয়ানা পাল্টা প্রশ্ন করেন, আপনি কী এমন কাউকে ভোট দেবেন যার ওপর আপনি আস্থা রাখতে পারেন না। হিলারি তখন বলেন, জনগণের উচিত আমার ওপর অবশ্যই আস্থা রাখা।
একইভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে প্রাইভেট সার্ভারে ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহারের অভিযোগটি নাকচ করে দেন তিনি। কীভাবে তিনি ৩৩,০০০ ই-মেইল মুছে ফেলেছিলেন, তা জানতে চাইলে হিলারি বলেন, আমি যা করেছি তার সবই ছিল অনুমোদিত। এ ক্ষেত্রে কোন আইন, বিধান বা কিছুই ছিল না। যোগাযোগের ক্ষেত্রে পূর্ণ কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছিল তাকে বলেও জানান তিনি। এ ক্ষেত্রে কোন আইন লঙ্ঘন করেননি তিনি বলে মন্তব্য করেন। হিলারি বলেন, আমি চাই মানুষ সত্যিটা উপলব্ধি করুক। সত্যিটা হচ্ছে, আমি যাই করতাম, তার সবই ছিল অনুমোদিত। কংগ্রেসে রিপাবলিকানরা তার বিরুদ্ধে এমন কৌশল প্রয়োগ করছেন বলে বুঝতে পারছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে, ক্লিনটন ফাউন্ডেশন বন্ধের ব্যাপারে তাগাদা দেয়ার কোন পরিকল্পনা নেই বলেও জানান তিনি। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় ফাউন্ডেশন বিদেশী অনুদান গ্রহণ করেছিল বলে বহু সমালোচনা ও বিতর্ক হয়েছে। বরং, এ ফাউন্ডেশন নিয়ে তিনি গর্বিত এবং বিশ্বের মঙ্গলের জন্যই ফাউন্ডেশনের কাজ অব্যাহত থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের জন্য আমি প্রচারণায় অংশ নিচ্ছি না, ভোটারদের জন্য অংশ নিচ্ছি। প্রেস এবং এর কর্মকাণ্ডের প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। মানুষের কাছে গিয়ে তাদের সমস্যার কথা শোনাকেই প্রচারণার গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করছেন হিলারি ক্লিনটন।
অভিবাসন ইস্যুতে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এবং হিলারির বহু বছরের বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যে তিনি ‘বেশ হতাশ’ বলে মন্তব্য করেন হিলারি। ট্রাম্প বলেছিলেন, মেক্সিকোর কিছু অভিবাসী ‘ধর্ষক’ ও ‘অপরাধী’। রিপাবলিকান পার্টি আরও দ্রুত ট্রাম্পের মন্তব্যের সমালোচনা না করার কারণেও হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি রিপাবলিকানদের অভিবাসননীতির কঠোর সমালোচনা করেন। বলেন, তারা বৈরী একটি ধারায় অবস্থান করছে, যা আমার মনে হয় আমাদের মতো অভিবাসী-অনুকূল দেশের পক্ষে সত্যিই আক্ষেপের। সাক্ষাৎকারে কখনও কখনও তিনি আত্মরক্ষামূলক অবস্থান নেন। প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী জেব বুশের উদ্দেশে হিলারি বলেন, নাগরিকত্ব লাভের প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করেন না তিনি। একসময় বিশ্বাস করলেও, এখন আর তা করেন না জেব। জেব বুশের নির্বাচনী প্রচারণায় হিলারির দিকে সমালোচনার তীর ছোড়া হয়। অভিবাসন নিয়ে হিলারির বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অবস্থানের বিষয়ে সমালোচনা করেন। বুশের প্রচারণার দায়িত্বে থাকা এক মুখপাত্র এমিলি বেনাভাইডস এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, নির্বাচিত হওয়ার জন্য হিলারি ক্লিনটন যে কোন কিছুই বলবেন। এ সময় হিলারির অভিবাসন ইস্যুতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অবস্থানের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। তিনি বলেন, জেব বুশ যেমনটি তার গ্রন্থে তুলে ধরেছেন, আমাদের ভগ্ন অভিবাসন ব্যবস্থাকে ঠিক করতে তিনি রক্ষণশীল আইনি সমাধানে বিশ্বাস করেন। যারা এ মুহূর্তে এ দেশে বাস করছেন, তাদের ক্ষেত্রে জরিমানা ও ট্যাক্স প্রদান, ইংরেজি শেখা ও গুরুতর কোন অপরাধ না করার পর বৈধ নাগরিকত্ব অর্জনের বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি। স্যান ফ্রান্সিসকো শহরে এক অবৈধ অভিবাসীর ঘটনা নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের ব্যাপারে শহর কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেন হিলারি।
সম্প্রতি একটি জনমত জরিপের ফল অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে হিলারির ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না ৫১ শতাংশ ভোটার। এ অঙ্গরাজ্যে মাত্র ৪৩ শতাংশ জনগণ তার ওপর আস্থা রাখছেন। ওহিয়ো অঙ্গরাজ্যে ৫৩ শতাংশ ভোটারের আস্থা অর্জন করতে পারেননি সাবেক এ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে ৪০ শতাংশ জনগণের সমর্থন পেয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যে সম্ভাব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে হিলারির সততা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে ৫৪ শতাংশ মানুষের মনে এবং ৪০ শতাংশ তার ওপর আস্থা রাখছেন। জনমত জরিপ সম্পর্কে তিনি বলছিলেন, আমার মনে হয় এটা বোধগম্য যে যখন প্রশ্ন ওঠে, তার অর্থ জনগণ সেগুলো নিয়ে ভাবছে এবং জল্পনা-কল্পনা করছে। তবে আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণার সময় জনগণ জানতে পারবে কে তাদের পক্ষে লড়াই করবে, যখন তাদের প্রয়োজন তখন কে তাদের পাশে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, আমি এ ধরনের মানুষ এবং আমি এটাই করবো, শুধু প্রচারণায় নয়, প্রেসিডেন্ট হিসেবেও।
হিলারির কাছে জানতে চাওয়া হয়, জনগণের এ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া বা অনুভূতিতে তার কোন ভূমিকা আছে কিনা। জবাবে তিনি বলেন, এ কৌশলটি বহু বছর ধরে আমার এবং আমার স্বামীর (সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন) বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আমার মনে হয়, দিনের শেষে ভোটাররা ঠিকই প্রকৃত বিষয়টি বের করতে পারেন। মার্কিন ভোটারদের ওপর আমার শতভাগ আস্থা রয়েছে। ব্রিয়ানা পাল্টা প্রশ্ন করেন, আপনি কী এমন কাউকে ভোট দেবেন যার ওপর আপনি আস্থা রাখতে পারেন না। হিলারি তখন বলেন, জনগণের উচিত আমার ওপর অবশ্যই আস্থা রাখা।
একইভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে প্রাইভেট সার্ভারে ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহারের অভিযোগটি নাকচ করে দেন তিনি। কীভাবে তিনি ৩৩,০০০ ই-মেইল মুছে ফেলেছিলেন, তা জানতে চাইলে হিলারি বলেন, আমি যা করেছি তার সবই ছিল অনুমোদিত। এ ক্ষেত্রে কোন আইন, বিধান বা কিছুই ছিল না। যোগাযোগের ক্ষেত্রে পূর্ণ কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছিল তাকে বলেও জানান তিনি। এ ক্ষেত্রে কোন আইন লঙ্ঘন করেননি তিনি বলে মন্তব্য করেন। হিলারি বলেন, আমি চাই মানুষ সত্যিটা উপলব্ধি করুক। সত্যিটা হচ্ছে, আমি যাই করতাম, তার সবই ছিল অনুমোদিত। কংগ্রেসে রিপাবলিকানরা তার বিরুদ্ধে এমন কৌশল প্রয়োগ করছেন বলে বুঝতে পারছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে, ক্লিনটন ফাউন্ডেশন বন্ধের ব্যাপারে তাগাদা দেয়ার কোন পরিকল্পনা নেই বলেও জানান তিনি। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় ফাউন্ডেশন বিদেশী অনুদান গ্রহণ করেছিল বলে বহু সমালোচনা ও বিতর্ক হয়েছে। বরং, এ ফাউন্ডেশন নিয়ে তিনি গর্বিত এবং বিশ্বের মঙ্গলের জন্যই ফাউন্ডেশনের কাজ অব্যাহত থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের জন্য আমি প্রচারণায় অংশ নিচ্ছি না, ভোটারদের জন্য অংশ নিচ্ছি। প্রেস এবং এর কর্মকাণ্ডের প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। মানুষের কাছে গিয়ে তাদের সমস্যার কথা শোনাকেই প্রচারণার গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করছেন হিলারি ক্লিনটন।
No comments