সিলেটে সামিউল হত্যা: এলাকাবাসীর মানববন্ধন, খুনিদের গ্রেপ্তার দাবি
নির্যাতনের একপর্যায়ে মারা যায় সামিউল। পরে তার লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়। ছবিটি ভিডিওচিত্র থেকে নেওয়া। |
চুরির অভিযোগে গত বুধবার সামিউলকে কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে একটি দোকানঘরের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন করে ভিডিওচিত্র ধারণ করা হয়। ছবিটি ভিডিওচিত্র থেকে নেওয়া। |
সিলেট
নগরে সবজিবিক্রেতা কিশোর শেখ মো. সামিউল আলম ওরফে রাজনের (১৩) ওপর
নির্যাতনের ভিডিওচিত্র থেকে পোস্টার তৈরি করেছেন এলাকাবাসী। গতকাল রোববার
দুপুরে সামিউলের গ্রামের বাড়িতে ওই পোস্টার হাতে নিয়ে মানববন্ধন করে
অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার দাবি করেন তাঁরা। চুরির অভিযোগে গত বুধবার
সামিউলকে কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে একটি দোকানঘরের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন
করে ভিডিওচিত্র ধারণ করা হয়। নির্যাতনের একপর্যায়ে মারা যায় সামিউল। পরে
লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়। ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এলাকাবাসী মুহিত আলম
(৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দেন।
ওই ভিডিওচিত্রের সূত্র ধরে গতকাল প্রথম আলোর শেষ পৃষ্ঠায় ‘নির্মম, পৈশাচিক!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
এলাকাবাসী জানান, ২৮ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের ভিডিওচিত্র থেকে নির্যাতনকারী চিহ্নিত করে তাদের মুখচ্ছবিকে বড় করে পোস্টার ছাপানোর ব্যবস্থা করেন তাঁরা। ভিডিওচিত্র থেকে আরও দুজনকে চিহ্নিত করে পোস্টার করা হয়েছে। ওই দুজন ভিডিওচিত্র ধারণ করার কাজ সমন্বয় করছিল বলে এলাকাবাসীর দাবি। গতকাল সকালে এ পোস্টার সিলেট নগরের কুমারগাঁও বাসস্টেশন থেকে শুরু করে সামিউলের গ্রামের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদে আলী গ্রাম পর্যন্ত সাঁটানো হয়। বেলা একটার দিকে বাদে আলী গ্রামে পোস্টার হাতে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। সামিউলের বাড়ির সামনে মানববন্ধনে একটি পোস্টার হাতে একাত্ম হন তাঁর মা লুবনা আক্তারসহ প্রতিবেশীরা। একপর্যায়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। লুবনার একই দাবি—ছেলে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
এদিকে এ ঘটনায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে মামলা হলেও গতকাল পর্যন্ত একাধিকবার অভিযান চালিয়েও পুলিশ নির্যাতনকারী কাউকে ধরতে পারেনি। গ্রেপ্তার হওয়া মুহিতকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে মহানগর হাকিমের আদালতে আবেদন জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট মহানগরের জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেন। পরিদর্শক জানান, আজ সোমবার ওই আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
ওই ভিডিওচিত্রের সূত্র ধরে গতকাল প্রথম আলোর শেষ পৃষ্ঠায় ‘নির্মম, পৈশাচিক!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
এলাকাবাসী জানান, ২৮ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের ভিডিওচিত্র থেকে নির্যাতনকারী চিহ্নিত করে তাদের মুখচ্ছবিকে বড় করে পোস্টার ছাপানোর ব্যবস্থা করেন তাঁরা। ভিডিওচিত্র থেকে আরও দুজনকে চিহ্নিত করে পোস্টার করা হয়েছে। ওই দুজন ভিডিওচিত্র ধারণ করার কাজ সমন্বয় করছিল বলে এলাকাবাসীর দাবি। গতকাল সকালে এ পোস্টার সিলেট নগরের কুমারগাঁও বাসস্টেশন থেকে শুরু করে সামিউলের গ্রামের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদে আলী গ্রাম পর্যন্ত সাঁটানো হয়। বেলা একটার দিকে বাদে আলী গ্রামে পোস্টার হাতে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। সামিউলের বাড়ির সামনে মানববন্ধনে একটি পোস্টার হাতে একাত্ম হন তাঁর মা লুবনা আক্তারসহ প্রতিবেশীরা। একপর্যায়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। লুবনার একই দাবি—ছেলে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
এদিকে এ ঘটনায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে মামলা হলেও গতকাল পর্যন্ত একাধিকবার অভিযান চালিয়েও পুলিশ নির্যাতনকারী কাউকে ধরতে পারেনি। গ্রেপ্তার হওয়া মুহিতকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে মহানগর হাকিমের আদালতে আবেদন জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট মহানগরের জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেন। পরিদর্শক জানান, আজ সোমবার ওই আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
No comments