বৃষ্টিতে লোহাগড়া বাজারে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগ
কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নড়াইলের লোহাগড়া বাজারের গোরস্থান সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। -প্রথম আলো |
কয়েক
দিনের বৃষ্টিতে নড়াইলের লোহাগড়া বাজারে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
বাজারের গলিপথে ময়লা-আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন
ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।
পরিকল্পিত নালাব্যবস্থা (ড্রেনেজ) গড়ে না ওঠা, পর্যাপ্ত নালা না থাকা, নালা পরিষ্কার না করা এবং নিয়মিত ময়লা ফেলার ব্যবস্থা না থাকায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে একটিমাত্র নালা আছে। এটি ময়লা-আবর্জনায় ঠাসা। ফলে এ নালা দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে না। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বাজারের প্রতিটি গলিতে পানি জমেছে। নালায় ও রাস্তার পাশে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পচে তা বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। রাস্তার পাশের অনেক দোকানের ভেতরে পানি ঢুকেছে।
গোরস্থান রোডের ব্যবসায়ী রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘দোকানে পানি ঢুকেছে, দোকানের সামনেও পানি। এই ঈদবাজারে কোনো কেনাবেচা নেই। নিয়মিত কর দিই। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এ নিয়ে ভ্রুক্ষেপ নেই।’
সুমী রায়হান, লাকি ইসলাম ও রায়হান কবির বাজারে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন। তাঁদের কাপড় কাদা-পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘এমন নোংরা পরিবেশে দেশের আর কোনো বাজারে আছে কি না সন্দেহ।’
উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুর এলাকার বাসিন্দা রত্না খানম বলেন, বাজারে ঢুকলেই কাপড় নোংরা হয়ে যায়। সেই সঙ্গে দুর্গন্ধে টেকা কঠিন হয়ে পড়ে।
বাজারের ব্যবসায়ীদের মতে, পরিকল্পিত ও পর্যাপ্ত নালা নির্মাণ, নিয়মিত নালা সংস্কার ও পরিষ্কার এবং ডাস্টবিন (আস্তাকুঁড়) তৈরি করলে এ অবস্থা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
লোহাগড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সরদার ওহিদুজ্জামান জানান, এখানে মাছের বাজার, শাক-সবজির বাজার, কাপড়চোপড়ের দোকানসহ মোট ১ হাজার ২০০ দোকান রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, খাজনা, ট্রেড লাইসেন্স ও ইজারা বাবদ বাজার থেকে পৌরসভার বছরে আয় প্রায় কোটি টাকা। এর ৪৫ ভাগ অর্থ বাজার ব্যবস্থাপনায় ব্যয় করার বিধান আছে। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষের এদিকে কোনো খেয়াল নেই।
এ বিষয়ে লোহাগড়া পৌরসভার মেয়র নেওয়াজ আহমেদ ঠাকুর বলেন, ‘ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা দুর্ভোগে আছেন ঠিকই, কিন্তু এ জন্য দায়ী ব্যবসায়ীরাই। কারণ, ওই ড্রেনে তাঁরাই ময়লা ফেলেন। পরিষ্কার করলেও দুদিন পর দেখা যায় ড্রেন ময়লা-আবর্জনায় ঠাসা। আর গলিতে জায়গার অভাবে ডাস্টবিন করা যাচ্ছে না।’
পরিকল্পিত নালাব্যবস্থা (ড্রেনেজ) গড়ে না ওঠা, পর্যাপ্ত নালা না থাকা, নালা পরিষ্কার না করা এবং নিয়মিত ময়লা ফেলার ব্যবস্থা না থাকায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে একটিমাত্র নালা আছে। এটি ময়লা-আবর্জনায় ঠাসা। ফলে এ নালা দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে না। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বাজারের প্রতিটি গলিতে পানি জমেছে। নালায় ও রাস্তার পাশে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পচে তা বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। রাস্তার পাশের অনেক দোকানের ভেতরে পানি ঢুকেছে।
গোরস্থান রোডের ব্যবসায়ী রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘দোকানে পানি ঢুকেছে, দোকানের সামনেও পানি। এই ঈদবাজারে কোনো কেনাবেচা নেই। নিয়মিত কর দিই। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এ নিয়ে ভ্রুক্ষেপ নেই।’
সুমী রায়হান, লাকি ইসলাম ও রায়হান কবির বাজারে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন। তাঁদের কাপড় কাদা-পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘এমন নোংরা পরিবেশে দেশের আর কোনো বাজারে আছে কি না সন্দেহ।’
উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুর এলাকার বাসিন্দা রত্না খানম বলেন, বাজারে ঢুকলেই কাপড় নোংরা হয়ে যায়। সেই সঙ্গে দুর্গন্ধে টেকা কঠিন হয়ে পড়ে।
বাজারের ব্যবসায়ীদের মতে, পরিকল্পিত ও পর্যাপ্ত নালা নির্মাণ, নিয়মিত নালা সংস্কার ও পরিষ্কার এবং ডাস্টবিন (আস্তাকুঁড়) তৈরি করলে এ অবস্থা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
লোহাগড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সরদার ওহিদুজ্জামান জানান, এখানে মাছের বাজার, শাক-সবজির বাজার, কাপড়চোপড়ের দোকানসহ মোট ১ হাজার ২০০ দোকান রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, খাজনা, ট্রেড লাইসেন্স ও ইজারা বাবদ বাজার থেকে পৌরসভার বছরে আয় প্রায় কোটি টাকা। এর ৪৫ ভাগ অর্থ বাজার ব্যবস্থাপনায় ব্যয় করার বিধান আছে। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষের এদিকে কোনো খেয়াল নেই।
এ বিষয়ে লোহাগড়া পৌরসভার মেয়র নেওয়াজ আহমেদ ঠাকুর বলেন, ‘ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা দুর্ভোগে আছেন ঠিকই, কিন্তু এ জন্য দায়ী ব্যবসায়ীরাই। কারণ, ওই ড্রেনে তাঁরাই ময়লা ফেলেন। পরিষ্কার করলেও দুদিন পর দেখা যায় ড্রেন ময়লা-আবর্জনায় ঠাসা। আর গলিতে জায়গার অভাবে ডাস্টবিন করা যাচ্ছে না।’
No comments