নদীতে ইলিশের আকাল
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর পাড়ের সৈয়দ জাফর গ্রামের জেলেরা নদীতে জাল ফেলেও ইলিশ পাচ্ছেন না। আট মাস নদীতে ইলিশ শিকার বন্ধ থাকায় তাঁদের অনেক ধারদেনা করতে হয়েছে। এখন ঋণ পরিশোধ করে জীবিকা নির্বাহের কথা ভেবে তাঁরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
সৈয়দ জাফর গ্রামের জেলেপল্লির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মৌসুমে নদীতে ইলিশ শিকার করে কিস্তি ও দাদনের টাকা শোধ করবেন বলেই জেলেরা আগাম ঋণ ও দাদন নিয়ে জাল ও নৌকা প্রস্তুত করেন। এ ছাড়া জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচির আওতায় আট মাস নদীতে ইলিশ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। এ সময় দুস্থ গোষ্ঠীর উন্নয়ন সহায়তা (ভিজিএফ) কর্মসূচির আওতায় জেলেদের চাল দেওয়ার কথা থাকলেও দশমিনার বেশির ভাগ জেলে সহায়তা পাননি। এখন ভরা মৌসুমেও নদীতে তেমন একটা ইলিশ ধরা পড়ছে না। জালে দু-একটা ইলিশ ধরা পড়লেও তা বিক্রি করে ধারদেনা শোধ করতে পারছেন না জেলেরা।
দশমিনা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় নিবন্ধিত ইলিশ শিকারি (জেলে) ৭ হাজার ৯৯৭ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ২৭ জন জেলে পুনর্বাসন সহায়তা হিসেবে ৪০ কেজি করে চাল পেয়েছেন।
জেলে আখের আলী বলেন, একসময় বুড়াগৌরাঙ্গ নদ ও তেঁতুলিয়া নদীতে জাল ফেললেই ইলিশ ধরা পড়ত। সেই ইলিশ বিক্রি করে চলত তাঁদের সংসার। জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচির আওতায় আট মাস নদীতে মাছ শিকার বন্ধ ছিল। তিনি বলেন, ‘মৌসুমে ইলিশ শিকারের জন্য এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে নতুন জাল কিনেছি। নৌকা মেরামত করা হয়েছে। ইলিশ বিক্রি করার কথা বলে মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়ে এত দিন কোনো রকমে সংসার চালিয়েছি। কিন্তু এখন ভরা মৌসুমে নদীতে ইলিশ মিলছে না।’
আখের আলীর স্ত্রী নুর চেহারা বলেন, তিন ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তাঁদের ছয়জনের সংসার। বড় ছেলে সোহেল মাছ ধরতে যায়। ফারুক (৯) ও নয়ন (৬) বিদ্যালয়ে পড়ে। মেয়ে স্মৃতি দুই বছর বয়সের। নদীতে মাছ না পাওয়ায় এখন তাঁদের সংসার ঠিকমতো চলছে না। এদিকে নিজের নামে বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে ঋণ নিয়ে স্বামীকে দিয়েছেন। এখন অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে তাঁদের।
গত শুক্রবার সৈয়দ জাফর গ্রামের জেলেপল্লিতে গেলে লোকজন তাঁদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। জেলে ইসতাক ভূঁইয়া (৩৫) বলেন, ‘মাছ ধইরাই চাইরজনের সংসার চালাইতাম। স্ত্রী রোজিনা বেগম (২৫) এনজিও দিয়া লোন আনছে। বাজারের আড়তদারদের কাছ থাইক্যা ইলিশ দেওয়ার কথা কইয়া দাদন নিছি। হেই টাহা দিয়া নৌকা-জাল করছি। এহন এনজিও কিস্তির টাকা, হের লগে মহাজনের দাদন দেওয়া লাগব। অথচ ইলিশ শিকারে গিয়া শূন্য হাতে ফিরতে হচ্ছে।’
দশমিনা উপজেলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিকদার নজরুল ইসলাম বলেন, ধারদেনা থেকে মুক্ত করতে সব জেলেকে সরকারি পুনর্বাসনের আওতায় আনা উচিত।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ে বৃষ্টি কম হওয়ায় ইলিশ পেতে দেরি হচ্ছে। তবে এ মৌসুমেই নদ-নদীতে ইলিশ পাওয়া যাবে এবং জেলেরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে আশা করছি।’
সৈয়দ জাফর গ্রামের জেলেপল্লির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মৌসুমে নদীতে ইলিশ শিকার করে কিস্তি ও দাদনের টাকা শোধ করবেন বলেই জেলেরা আগাম ঋণ ও দাদন নিয়ে জাল ও নৌকা প্রস্তুত করেন। এ ছাড়া জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচির আওতায় আট মাস নদীতে ইলিশ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। এ সময় দুস্থ গোষ্ঠীর উন্নয়ন সহায়তা (ভিজিএফ) কর্মসূচির আওতায় জেলেদের চাল দেওয়ার কথা থাকলেও দশমিনার বেশির ভাগ জেলে সহায়তা পাননি। এখন ভরা মৌসুমেও নদীতে তেমন একটা ইলিশ ধরা পড়ছে না। জালে দু-একটা ইলিশ ধরা পড়লেও তা বিক্রি করে ধারদেনা শোধ করতে পারছেন না জেলেরা।
দশমিনা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় নিবন্ধিত ইলিশ শিকারি (জেলে) ৭ হাজার ৯৯৭ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ২৭ জন জেলে পুনর্বাসন সহায়তা হিসেবে ৪০ কেজি করে চাল পেয়েছেন।
জেলে আখের আলী বলেন, একসময় বুড়াগৌরাঙ্গ নদ ও তেঁতুলিয়া নদীতে জাল ফেললেই ইলিশ ধরা পড়ত। সেই ইলিশ বিক্রি করে চলত তাঁদের সংসার। জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচির আওতায় আট মাস নদীতে মাছ শিকার বন্ধ ছিল। তিনি বলেন, ‘মৌসুমে ইলিশ শিকারের জন্য এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে নতুন জাল কিনেছি। নৌকা মেরামত করা হয়েছে। ইলিশ বিক্রি করার কথা বলে মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়ে এত দিন কোনো রকমে সংসার চালিয়েছি। কিন্তু এখন ভরা মৌসুমে নদীতে ইলিশ মিলছে না।’
আখের আলীর স্ত্রী নুর চেহারা বলেন, তিন ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তাঁদের ছয়জনের সংসার। বড় ছেলে সোহেল মাছ ধরতে যায়। ফারুক (৯) ও নয়ন (৬) বিদ্যালয়ে পড়ে। মেয়ে স্মৃতি দুই বছর বয়সের। নদীতে মাছ না পাওয়ায় এখন তাঁদের সংসার ঠিকমতো চলছে না। এদিকে নিজের নামে বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে ঋণ নিয়ে স্বামীকে দিয়েছেন। এখন অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে তাঁদের।
গত শুক্রবার সৈয়দ জাফর গ্রামের জেলেপল্লিতে গেলে লোকজন তাঁদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। জেলে ইসতাক ভূঁইয়া (৩৫) বলেন, ‘মাছ ধইরাই চাইরজনের সংসার চালাইতাম। স্ত্রী রোজিনা বেগম (২৫) এনজিও দিয়া লোন আনছে। বাজারের আড়তদারদের কাছ থাইক্যা ইলিশ দেওয়ার কথা কইয়া দাদন নিছি। হেই টাহা দিয়া নৌকা-জাল করছি। এহন এনজিও কিস্তির টাকা, হের লগে মহাজনের দাদন দেওয়া লাগব। অথচ ইলিশ শিকারে গিয়া শূন্য হাতে ফিরতে হচ্ছে।’
দশমিনা উপজেলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিকদার নজরুল ইসলাম বলেন, ধারদেনা থেকে মুক্ত করতে সব জেলেকে সরকারি পুনর্বাসনের আওতায় আনা উচিত।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ে বৃষ্টি কম হওয়ায় ইলিশ পেতে দেরি হচ্ছে। তবে এ মৌসুমেই নদ-নদীতে ইলিশ পাওয়া যাবে এবং জেলেরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে আশা করছি।’
No comments