রাজশাহীর চারঘাটে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন: হুমকির মুখে বিদ্যালয়-বিজিবি ক্যাম্প
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় পদ্মা নদীর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে এভাবেই ভাঙন ধরেছে। গতকাল তোলা ছবি l প্রথম আলো |
রাজশাহীর
চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুরে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ইতিমধ্যে ইউসুফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বিজিবি ক্যাম্পের সংযোগ
সড়ক ভেঙে গেছে। বিজিবি ক্যাম্পের সামনে লাল কাপড় টাঙিয়ে ওই রাস্তায়
যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার ইউসুফপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ইউসুফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কারিগরি উচ্চবিদ্যালয়ের সামনের মাঠ-সংলগ্ন বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধেই ভাঙন ধরেছে। বাঁধের নিচের দিক থেকে ব্লক খুলে যাচ্ছে। মাঠের শেষ মাথায় একটি বটগাছ ছিল। বটগাছটি নদীতে নেমে যাচ্ছে দেখে এর ডালপালা কেটে নেওয়া হয়েছে। এখন গাছের গোড়াটা নদীতে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়ে আছে। মাঠের পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত ব্লক দিয়ে বসানো বাঁধ রয়েছে। তারপরেই ইউসুফপুর বিজিবি ক্যাম্প। কিন্তু ক্যাম্পের সামনে থেকে পূর্ব দিকে আর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ নেই। তার দুই কিলোমিটার সামনেই রয়েছে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ ও বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি।
ইউসুফপুর গ্রামের কৃষক মোখলেছুর রহমান বলেন, গত বছর বিজিবি ক্যাম্পের পূর্ব পাশের ৩০টি বাড়ি ভেঙে গেছে। তাদের আর বাড়ি করার মতো কোনো জায়গা নেই। তারা পদ্মার চরে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এবারও পদ্মার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। বিজিবি ক্যাম্পের সামনে থেকে ভাঙছে। তিনি বলেন, নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য প্রকল্প মঞ্জুর হয়েছে—অনেক দিন থেকেই এই গল্প শুনছেন। কিন্তু তহবিলে নাকি টাকা নেই। এবার যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে, একটু পানি বাড়লেই পুরো এলাকা ভেঙে নেমে যাবে। বিজিবি ক্যাম্প এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, ঘরবাড়ি, ফসলের মাঠ কিছুই থাকবে না।
ইউসুফপুর কারিগরি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক বলেন, নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো)নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা বিষয়টি আমলে নেননি। ১০-১২ দিন আগে তিনি বিষয়টি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে জানান। মন্ত্রী বলার পরে রাতেই পাউবোর কর্মকর্তারা বাঁধ পরিদর্শনে আসেন। পরের দিন থেকে তাঁরা জরুরি মেরামতের কাজ করার জন্য বলে যান, কিন্তু তাঁরা আর আসেননি। গত শুক্রবার রাস্তা ভেঙে যাওয়ার পরে পাউবোর লোকজন এসেছেন। তাঁরা বাঁশ নিয়ে এসেছেন কিন্তু এখনো কাজে হাত দেননি। বাঁধের উত্তর পাশে ছোট্ট একটি ডোবা থেকে নদীতে পানি চুইয়ে নামছিল। এটার কারণেই নাকি এলাকা দেবে যাচ্ছে। এ জন্য তাঁরা ওই ডোবাতে কিছু বালু ফেলেছেন।
চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল সাবরিন বলেন, ওই জায়গায় ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বটগাছটা দেবে যাচ্ছে দেখে তিনি ডালপালা কেটে বিদ্যালয় মাঠে রেখে দিতে বলেছেন। তিনি বিষয়টি পাউবো এবং রাজশাহী জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন।
পাউবোর নির্বাহী পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, আপাতত তাঁরা জরুরি মেরামতের কাজ করবেন। আর পূর্ব দিকে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য ৮৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের ‘ডিপিপি’ অনুমোদন হয়েছে। তাতে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ পর্যন্ত কাজ করা যাবে। আগামী নভেম্বরে তাঁরা কাজ শুরু করবেন।
গতকাল রোববার ইউসুফপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ইউসুফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কারিগরি উচ্চবিদ্যালয়ের সামনের মাঠ-সংলগ্ন বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধেই ভাঙন ধরেছে। বাঁধের নিচের দিক থেকে ব্লক খুলে যাচ্ছে। মাঠের শেষ মাথায় একটি বটগাছ ছিল। বটগাছটি নদীতে নেমে যাচ্ছে দেখে এর ডালপালা কেটে নেওয়া হয়েছে। এখন গাছের গোড়াটা নদীতে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়ে আছে। মাঠের পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত ব্লক দিয়ে বসানো বাঁধ রয়েছে। তারপরেই ইউসুফপুর বিজিবি ক্যাম্প। কিন্তু ক্যাম্পের সামনে থেকে পূর্ব দিকে আর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ নেই। তার দুই কিলোমিটার সামনেই রয়েছে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ ও বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি।
ইউসুফপুর গ্রামের কৃষক মোখলেছুর রহমান বলেন, গত বছর বিজিবি ক্যাম্পের পূর্ব পাশের ৩০টি বাড়ি ভেঙে গেছে। তাদের আর বাড়ি করার মতো কোনো জায়গা নেই। তারা পদ্মার চরে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এবারও পদ্মার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। বিজিবি ক্যাম্পের সামনে থেকে ভাঙছে। তিনি বলেন, নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য প্রকল্প মঞ্জুর হয়েছে—অনেক দিন থেকেই এই গল্প শুনছেন। কিন্তু তহবিলে নাকি টাকা নেই। এবার যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে, একটু পানি বাড়লেই পুরো এলাকা ভেঙে নেমে যাবে। বিজিবি ক্যাম্প এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, ঘরবাড়ি, ফসলের মাঠ কিছুই থাকবে না।
ইউসুফপুর কারিগরি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক বলেন, নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো)নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা বিষয়টি আমলে নেননি। ১০-১২ দিন আগে তিনি বিষয়টি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে জানান। মন্ত্রী বলার পরে রাতেই পাউবোর কর্মকর্তারা বাঁধ পরিদর্শনে আসেন। পরের দিন থেকে তাঁরা জরুরি মেরামতের কাজ করার জন্য বলে যান, কিন্তু তাঁরা আর আসেননি। গত শুক্রবার রাস্তা ভেঙে যাওয়ার পরে পাউবোর লোকজন এসেছেন। তাঁরা বাঁশ নিয়ে এসেছেন কিন্তু এখনো কাজে হাত দেননি। বাঁধের উত্তর পাশে ছোট্ট একটি ডোবা থেকে নদীতে পানি চুইয়ে নামছিল। এটার কারণেই নাকি এলাকা দেবে যাচ্ছে। এ জন্য তাঁরা ওই ডোবাতে কিছু বালু ফেলেছেন।
চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল সাবরিন বলেন, ওই জায়গায় ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বটগাছটা দেবে যাচ্ছে দেখে তিনি ডালপালা কেটে বিদ্যালয় মাঠে রেখে দিতে বলেছেন। তিনি বিষয়টি পাউবো এবং রাজশাহী জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন।
পাউবোর নির্বাহী পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, আপাতত তাঁরা জরুরি মেরামতের কাজ করবেন। আর পূর্ব দিকে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য ৮৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের ‘ডিপিপি’ অনুমোদন হয়েছে। তাতে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ পর্যন্ত কাজ করা যাবে। আগামী নভেম্বরে তাঁরা কাজ শুরু করবেন।
No comments