ডিবি পরিচয়ে অপহরণের চার দিন পর লাশ
‘ডিবি’ পরিচয়ে অপহরণের চার দিন পর গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর কালশী এলাকার সড়ক থেকে মমিন বক্সের (৪০) লাশ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তিনি ব্যবসা করতেন। তাঁদের অভিযোগ, অপহরণের পরে দুই দিন মোহাম্মদপুর থানায় ঘুরেও এ বিষয়ে কোনো মামলা বা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে পারেনি পরিবার।
আর পুলিশ বলছে, মমিন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে শুধু পল্লবী থানাতেই দুটি হত্যাসহ ১১টি মামলা রয়েছে।
এই মমিন বক্সসহ কয়েকজনকে চাঁদার দাবিতে কুপিয়ে আহত করাসহ কয়েকটি অভিযোগে তাঁর ভাগনি লাবনী আক্তার গত ২৮ জুন পল্লবী থানার দুই উপপরিদর্শকসহ (এসআই) ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি চাঁদাবাজির মামলা করেছিলেন। পরিবারের কয়েকজন সদস্য মনে করেন, ওই মামলার কারণেই মমিনকে এভাবে মরতে হয়েছে।
স্বজনেরা জানান, মমিন বক্স হাভেলি প্রপার্টিজের একটি প্রকল্পে চাকরি করতেন। পাশাপাশি উত্তর কালশীর টেকেরবাড়ি এলাকায় নিজের বাসার সামনে তাঁর রড-সিমেন্টের দোকান রয়েছে। তিনি ইট-বালুসহ নির্মাণসামগ্রীর ব্যবসাও করতেন।
পল্লবী থানার পুলিশ জানায়, এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে গতকাল সকালে কালশীর বাউনিয়া বাঁধ সড়কের একটি সেতুর নিচে নালা থেকে মমিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ভোররাতে লাশটি কেউ ফেলে রেখে যায়। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। গলায় কালো দাগ আছে।
উদ্ধারের পর গতকাল বেলা ১১টার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে নিহতের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। লাশের সঙ্গে পুলিশ থাকলেও হাসপাতালের খাতায় লাশের বাহক হিসেবে নিহতের ভাগনিজামাই মো, মিনাল ও ভাগনে মনোয়ার হোসেন ওরফে সুমনের নাম লেখা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে কথা হয় মিনাল ও মনোয়ারের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, গত বুধবার সকালে মমিন বক্স নিজের নোয়া মাইক্রোবাসে মোহাম্মদপুরের তাজমহল সড়কে তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখান থেকেই সেই গাড়ির চালক মো. সোহেলসহ মমিনকে ডিবি পরিচয় দিয়ে অন্য একটি মাইক্রোবাসে করে ধরে নিয়ে যায় একদল লোক। পরে সেই গাড়িচালক সোহেলকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে সোহেল সেদিন (বুধবার) পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। বৃহস্পতিবার সকালে সোহেল পরিবারের একজনকে ফোন করে বিষয়টি জানান।
মনোয়ার ও মিনাল আরও বলেন, গাড়িচালক সোহেলের ভাষ্য অনুযায়ী বুধবার সকাল ১০টার দিকে আইনজীবীর বাসা থেকে কাজ শেষে মমিন বক্স গাড়িতে উঠে বসা মাত্রই দুই পাশে চারজন অস্ত্রধারী এসে দাঁড়ায়। তাদের বয়স ৩২ থেকে ৩৫-এর মধ্যে, সবারই ছোট করে কাটা চুল। এরপর তারা দুজনের হাতে পিছমোড়া করে হাতকড়া বেঁধে পেছনে থাকা একটি হাইয়েস মাইক্রোবাসের পেছনের আসনে বসায়। এরপর দুজনেরই মুখমণ্ডল কালো কাপড়ের টুপি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। দুই বা আড়াই ঘণ্টা পরে সোহেলকে বসুন্ধরা এলাকার ৩০০ ফুট সড়কে গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়।
মিনাল বলেন, নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে মমিনকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তাঁরা। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে সোহেলকে নিয়ে তিনি (মিনাল), মমিনের স্ত্রী নার্গিস আক্তারসহ কয়েকজন মোহাম্মদপুর থানায় অপহরণের অভিযোগে মামলা করতে যান। পুলিশ বিষয়টি শুনে পরদিন আসতে বলে। পরদিন শুক্রবার দিনভর অপেক্ষা করেও মামলাটি করতে পারেননি নার্গিস। পুলিশ চালক সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর বক্তব্যে নানা অসংগতি পায় বলে দাবি করে। একপর্যায়ে ঘটনা আদৌ ঘটেছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে পুলিশ। খোঁজখবর করার অজুহাতে শেষ পর্যন্ত মামলাটিই আর নেয়নি পুলিশ।
জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক মামলা না নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অপহরণের অভিযোগ নিয়ে তাঁরা এসেছিলেন। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পায়নি। যে চালকের মাধ্যমে তথ্য জেনে পরিবার মামলা করতে এসেছে, সেই চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখা গেল তিনি একেক সময় একেক কথা বলছেন। তাঁর কথার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
ওসি বলেন, তাঁরা ধারণা করছিলেন, হত্যা মামলার আসামি হিসেবে মনে হয় মমিনকে পুলিশে ধরেছে। তাঁরা আবার ডিবির কথাও বলছিলেন। তারপর স্বজনেরা নিজেরাও খুঁজে দেখার কথা বলেন। পুলিশও বিষয়টি খোঁজ নিতে থাকে। তিনি বলেন, ‘মামলা নেব না কেন। না নেওয়ার কী আছে।’
পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা: স্বজনেরা জানান, গত ২৮ জুন নিহতের ভাগনি লাবনী আক্তার (মিনালের স্ত্রী) বাদী হয়ে পল্লবী থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম ও জুবায়ের হোসেনসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলা করেছিলেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ১২ মে কয়েকজন আসামি মমিন বক্সসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে আহত করে। এরপর পুলিশের দুই এসআই বাদীর স্বামী মিনালকে আটক করে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে, না হলে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। গতকাল মেডিকেল মর্গে কয়েকজন স্বজন আক্ষেপ করে বলছিলেন, ‘এই মামলাই ওরে (মমিন বক্স) খাইল।’ ওই মামলাটির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন পুলিশকে।
গতকাল পল্লবী এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, মমিন বক্স হাভেলি প্রপার্টির একটি প্রকল্পের ইনচার্জ। তিনি মূলত প্রকল্পটির জমি দখলের কাজ করতেন। স্থানীয় সুরুজ মিয়ার পরিবারের সঙ্গে হাভেলি প্রপার্টিজের জমি নিয়ে বিবাদে জড়ান মমিন ও তাঁর লোকজন। দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এরই একপর্যায়ে গত ১৪ মে জমি নিয়ে সংঘর্ষে মিরপুরের সিরামিক্স এলাকায় আব্দুর রহমান চঞ্চল নামে এক কলেজছাত্র নিহত হন। সেই হত্যা মামলার প্রধান আসামি মমিন বক্স।
হাভেলি প্রপার্টিজের মালিক লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাংসদ এম এ আউয়াল। গতকাল সাংসদ আউয়াল প্রথম আলোকে বলেন, চঞ্চল হত্যা মামলাটি এখন তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর মাঝেই মমিনকে অপহরণ করা হয়। এরপর স্বজনেরা থানায় মামলা করতে যান। পুলিশ খোঁজখবর নিয়ে মামলা নেবে বলেছিল। তবে এখনো মামলা নেয়নি।
পল্লবী থানার ওসি দাদন ফকির বলেন, মমিনের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, বিস্ফোরক, চাঁদাবাজি ও মারামারিসহ ১১টি মামলা আছে পল্লবী থানায়। এ ছাড়া আশপাশের কয়েকটি থানাতেও মামলা রয়েছে। তবে গতকাল সকালে তাঁর লাশ উদ্ধারের বিষয়ে রাত পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। জানতে চাইলে ওসি বলেন, আসল ঘটনাটা মোহাম্মদপুর থানার। তবে এখানে তাঁরা মামলা করতে চাইলে করবেন।
আর পুলিশ বলছে, মমিন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে শুধু পল্লবী থানাতেই দুটি হত্যাসহ ১১টি মামলা রয়েছে।
এই মমিন বক্সসহ কয়েকজনকে চাঁদার দাবিতে কুপিয়ে আহত করাসহ কয়েকটি অভিযোগে তাঁর ভাগনি লাবনী আক্তার গত ২৮ জুন পল্লবী থানার দুই উপপরিদর্শকসহ (এসআই) ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি চাঁদাবাজির মামলা করেছিলেন। পরিবারের কয়েকজন সদস্য মনে করেন, ওই মামলার কারণেই মমিনকে এভাবে মরতে হয়েছে।
স্বজনেরা জানান, মমিন বক্স হাভেলি প্রপার্টিজের একটি প্রকল্পে চাকরি করতেন। পাশাপাশি উত্তর কালশীর টেকেরবাড়ি এলাকায় নিজের বাসার সামনে তাঁর রড-সিমেন্টের দোকান রয়েছে। তিনি ইট-বালুসহ নির্মাণসামগ্রীর ব্যবসাও করতেন।
পল্লবী থানার পুলিশ জানায়, এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে গতকাল সকালে কালশীর বাউনিয়া বাঁধ সড়কের একটি সেতুর নিচে নালা থেকে মমিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ভোররাতে লাশটি কেউ ফেলে রেখে যায়। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। গলায় কালো দাগ আছে।
উদ্ধারের পর গতকাল বেলা ১১টার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে নিহতের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। লাশের সঙ্গে পুলিশ থাকলেও হাসপাতালের খাতায় লাশের বাহক হিসেবে নিহতের ভাগনিজামাই মো, মিনাল ও ভাগনে মনোয়ার হোসেন ওরফে সুমনের নাম লেখা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে কথা হয় মিনাল ও মনোয়ারের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, গত বুধবার সকালে মমিন বক্স নিজের নোয়া মাইক্রোবাসে মোহাম্মদপুরের তাজমহল সড়কে তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখান থেকেই সেই গাড়ির চালক মো. সোহেলসহ মমিনকে ডিবি পরিচয় দিয়ে অন্য একটি মাইক্রোবাসে করে ধরে নিয়ে যায় একদল লোক। পরে সেই গাড়িচালক সোহেলকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে সোহেল সেদিন (বুধবার) পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। বৃহস্পতিবার সকালে সোহেল পরিবারের একজনকে ফোন করে বিষয়টি জানান।
মনোয়ার ও মিনাল আরও বলেন, গাড়িচালক সোহেলের ভাষ্য অনুযায়ী বুধবার সকাল ১০টার দিকে আইনজীবীর বাসা থেকে কাজ শেষে মমিন বক্স গাড়িতে উঠে বসা মাত্রই দুই পাশে চারজন অস্ত্রধারী এসে দাঁড়ায়। তাদের বয়স ৩২ থেকে ৩৫-এর মধ্যে, সবারই ছোট করে কাটা চুল। এরপর তারা দুজনের হাতে পিছমোড়া করে হাতকড়া বেঁধে পেছনে থাকা একটি হাইয়েস মাইক্রোবাসের পেছনের আসনে বসায়। এরপর দুজনেরই মুখমণ্ডল কালো কাপড়ের টুপি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। দুই বা আড়াই ঘণ্টা পরে সোহেলকে বসুন্ধরা এলাকার ৩০০ ফুট সড়কে গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়।
মিনাল বলেন, নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে মমিনকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তাঁরা। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে সোহেলকে নিয়ে তিনি (মিনাল), মমিনের স্ত্রী নার্গিস আক্তারসহ কয়েকজন মোহাম্মদপুর থানায় অপহরণের অভিযোগে মামলা করতে যান। পুলিশ বিষয়টি শুনে পরদিন আসতে বলে। পরদিন শুক্রবার দিনভর অপেক্ষা করেও মামলাটি করতে পারেননি নার্গিস। পুলিশ চালক সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর বক্তব্যে নানা অসংগতি পায় বলে দাবি করে। একপর্যায়ে ঘটনা আদৌ ঘটেছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে পুলিশ। খোঁজখবর করার অজুহাতে শেষ পর্যন্ত মামলাটিই আর নেয়নি পুলিশ।
জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক মামলা না নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অপহরণের অভিযোগ নিয়ে তাঁরা এসেছিলেন। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পায়নি। যে চালকের মাধ্যমে তথ্য জেনে পরিবার মামলা করতে এসেছে, সেই চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখা গেল তিনি একেক সময় একেক কথা বলছেন। তাঁর কথার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
ওসি বলেন, তাঁরা ধারণা করছিলেন, হত্যা মামলার আসামি হিসেবে মনে হয় মমিনকে পুলিশে ধরেছে। তাঁরা আবার ডিবির কথাও বলছিলেন। তারপর স্বজনেরা নিজেরাও খুঁজে দেখার কথা বলেন। পুলিশও বিষয়টি খোঁজ নিতে থাকে। তিনি বলেন, ‘মামলা নেব না কেন। না নেওয়ার কী আছে।’
পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা: স্বজনেরা জানান, গত ২৮ জুন নিহতের ভাগনি লাবনী আক্তার (মিনালের স্ত্রী) বাদী হয়ে পল্লবী থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম ও জুবায়ের হোসেনসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলা করেছিলেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ১২ মে কয়েকজন আসামি মমিন বক্সসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে আহত করে। এরপর পুলিশের দুই এসআই বাদীর স্বামী মিনালকে আটক করে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে, না হলে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। গতকাল মেডিকেল মর্গে কয়েকজন স্বজন আক্ষেপ করে বলছিলেন, ‘এই মামলাই ওরে (মমিন বক্স) খাইল।’ ওই মামলাটির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন পুলিশকে।
গতকাল পল্লবী এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, মমিন বক্স হাভেলি প্রপার্টির একটি প্রকল্পের ইনচার্জ। তিনি মূলত প্রকল্পটির জমি দখলের কাজ করতেন। স্থানীয় সুরুজ মিয়ার পরিবারের সঙ্গে হাভেলি প্রপার্টিজের জমি নিয়ে বিবাদে জড়ান মমিন ও তাঁর লোকজন। দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এরই একপর্যায়ে গত ১৪ মে জমি নিয়ে সংঘর্ষে মিরপুরের সিরামিক্স এলাকায় আব্দুর রহমান চঞ্চল নামে এক কলেজছাত্র নিহত হন। সেই হত্যা মামলার প্রধান আসামি মমিন বক্স।
হাভেলি প্রপার্টিজের মালিক লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাংসদ এম এ আউয়াল। গতকাল সাংসদ আউয়াল প্রথম আলোকে বলেন, চঞ্চল হত্যা মামলাটি এখন তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর মাঝেই মমিনকে অপহরণ করা হয়। এরপর স্বজনেরা থানায় মামলা করতে যান। পুলিশ খোঁজখবর নিয়ে মামলা নেবে বলেছিল। তবে এখনো মামলা নেয়নি।
পল্লবী থানার ওসি দাদন ফকির বলেন, মমিনের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, বিস্ফোরক, চাঁদাবাজি ও মারামারিসহ ১১টি মামলা আছে পল্লবী থানায়। এ ছাড়া আশপাশের কয়েকটি থানাতেও মামলা রয়েছে। তবে গতকাল সকালে তাঁর লাশ উদ্ধারের বিষয়ে রাত পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। জানতে চাইলে ওসি বলেন, আসল ঘটনাটা মোহাম্মদপুর থানার। তবে এখানে তাঁরা মামলা করতে চাইলে করবেন।
No comments