‘একটি বাড়ি একটি খামার’ নিয়ে ক্ষুব্ধ এলজিআরডি মন্ত্রী
নবনিযুক্ত
স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন
মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রকল্প প্রধানদের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে ‘একটি
বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প পরিচালকের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন। আজ সোমবার ওই বৈঠকে
তিনি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন সব প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্প
প্রধানদের ডাকলেও একটি বাড়ি একটি খামার নিয়ে আলোচনা করেই সভা শেষ করে দেন।
এলজিআরডি মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার প্রথম দিনেই খন্দকার মোশাররফ প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারমূলক এই প্রকল্প এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আজকের সভার শুরুতে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব এম এ কাদের সরকার ওই প্রকল্পের ওপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করার জন্য প্রকল্প পরিচালককে বলেন। এ সময় মন্ত্রী প্রকল্প পরিচালক প্রশান্ত কুমার রায়কে বলেন, ‘ওই সব কম্পিউটারের বাক্স ও খাতাপত্র রাখেন। এত বড় প্রকল্প কেন জনসম্পৃক্ত হয়নি তা বলেন।’
এ সময় প্রশান্ত কুমার বিভিন্ন তথ্য ও পরিসংখ্যান দেওয়ার চেষ্টা করলেও মন্ত্রী তাতে সন্তুষ্ট হননি। প্রকল্প পরিচালককে তিনি প্রশ্ন করেন, তাঁর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ কেন? দেশজুড়ে এত বড় প্রকল্প চললেও এর সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা তৈরি না হওয়ার কারণ জানতে চান মন্ত্রী।
সভা সূত্র জানায়, মন্ত্রী এ সময় বলেন, সরকারের এই রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। শুধু মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিয়ে এই উন্নতি হবে না। এর সঙ্গে সংসদ ও রাজনৈতিক নেতাদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
এ সময় প্রশান্ত কুমার বলেন, সাংসদেরাও এই প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তখন মন্ত্রী বলেন, তিনিও সাংসদ। কিন্তু এই প্রকল্প সম্পর্কে তিনি তেমন কিছুই জানেন না।
মন্ত্রী প্রকল্পের প্রচার, জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টি, রাজনৈতিক নেতাদের সম্পৃক্ত করা, প্রকল্পের অনিয়ম, দুর্নীতি বন্ধ করে দক্ষতা বাড়ানোর নির্দেশ দেন।
গত ১৬ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত প্রথম আলোয় তিন পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনে একটি বাড়ি একটি খামারের অনিয়ম, প্রকল্প পরিচালক প্রশান্ত কুমার রায়ের বেপরোয়া দুর্নীতি ও প্রকল্পের ৬৩১ কোটি টাকা মাঠ পর্যায়ে আটকে যাওয়ার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপর সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ক্ষুব্ধ হয়ে বিষয়গুলো তদন্ত করে প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত ওই প্রকল্পের কোনো ফাইলে সই না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন।
চাপের মুখে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের দুজন অতিরিক্ত সচিবকে দিয়ে কমিটি হলেও তাঁরা ঢিমেতালে এগোচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এক বছর আগে পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর মন্ত্রণালয় এক বছরেও সেই তদন্ত শেষ করতে পারেনি।
এলজিআরডি মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার প্রথম দিনেই খন্দকার মোশাররফ প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারমূলক এই প্রকল্প এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আজকের সভার শুরুতে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব এম এ কাদের সরকার ওই প্রকল্পের ওপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করার জন্য প্রকল্প পরিচালককে বলেন। এ সময় মন্ত্রী প্রকল্প পরিচালক প্রশান্ত কুমার রায়কে বলেন, ‘ওই সব কম্পিউটারের বাক্স ও খাতাপত্র রাখেন। এত বড় প্রকল্প কেন জনসম্পৃক্ত হয়নি তা বলেন।’
এ সময় প্রশান্ত কুমার বিভিন্ন তথ্য ও পরিসংখ্যান দেওয়ার চেষ্টা করলেও মন্ত্রী তাতে সন্তুষ্ট হননি। প্রকল্প পরিচালককে তিনি প্রশ্ন করেন, তাঁর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ কেন? দেশজুড়ে এত বড় প্রকল্প চললেও এর সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা তৈরি না হওয়ার কারণ জানতে চান মন্ত্রী।
সভা সূত্র জানায়, মন্ত্রী এ সময় বলেন, সরকারের এই রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। শুধু মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিয়ে এই উন্নতি হবে না। এর সঙ্গে সংসদ ও রাজনৈতিক নেতাদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
এ সময় প্রশান্ত কুমার বলেন, সাংসদেরাও এই প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তখন মন্ত্রী বলেন, তিনিও সাংসদ। কিন্তু এই প্রকল্প সম্পর্কে তিনি তেমন কিছুই জানেন না।
মন্ত্রী প্রকল্পের প্রচার, জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টি, রাজনৈতিক নেতাদের সম্পৃক্ত করা, প্রকল্পের অনিয়ম, দুর্নীতি বন্ধ করে দক্ষতা বাড়ানোর নির্দেশ দেন।
গত ১৬ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত প্রথম আলোয় তিন পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনে একটি বাড়ি একটি খামারের অনিয়ম, প্রকল্প পরিচালক প্রশান্ত কুমার রায়ের বেপরোয়া দুর্নীতি ও প্রকল্পের ৬৩১ কোটি টাকা মাঠ পর্যায়ে আটকে যাওয়ার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপর সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ক্ষুব্ধ হয়ে বিষয়গুলো তদন্ত করে প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত ওই প্রকল্পের কোনো ফাইলে সই না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন।
চাপের মুখে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের দুজন অতিরিক্ত সচিবকে দিয়ে কমিটি হলেও তাঁরা ঢিমেতালে এগোচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এক বছর আগে পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর মন্ত্রণালয় এক বছরেও সেই তদন্ত শেষ করতে পারেনি।
No comments