ডিসিসিতে পুকুরচুরি: দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়ররা দায়িত্ব নিয়ে দেখতে পাচ্ছেন, তাঁদের তহবিলের অবস্থা শোচনীয়। ঢাকা দক্ষিণের কাঁধে রয়েছে ৩০০ কোটি টাকা দেনার বোঝা। এ অবস্থায় সামনের দিনগুলোতে এ দুটো সিটি করপোরেশন কীভাবে চলবে, কোথা থেকে টাকা আসবে—এটা একটা বড় প্রশ্ন।
তার থেকেও বড় প্রশ্ন, ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগে ভাগ করার পর সাতজন করে মোট ১৪ জন প্রশাসক কী করে গেছেন। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সম্পর্কে নানা অভিযোগ শোনা যায়, কিন্তু সরকারের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্ব কতটা সততা ও দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছেন? তাঁদের সময়ে ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ তিনটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে; তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়ও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এক সদস্যের বক্তব্য, ‘দুই সিটি করপোরেশনে অনিয়ম বেড়ে যাওয়া ও আয় কমে যাওয়ার বিষয়গুলো মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।’ বলা বাহুল্য, এই মাত্রাছাড়া অবস্থা হয়েছে প্রশাসকদের আমলে। সরকারি এই কর্মকর্তারা তহবিলে অর্থ না থাকা সত্ত্বেও আগাম উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন নিয়ে কাজ করিয়েছেন। এভাবেই আর্থিক দায় জমে উঠেছে সিটি করপোরেশন প্রশাসনের ওপর।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, দুই সিটি করপোরেশনে যেসব অনিয়ম-দুর্নীতি সন্দেহাতীতভাবে হয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করা কঠিন কাজ নয়। এ ক্ষেত্রে মুখ্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা। কারণ, এসব দুর্নীতির সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ঠিকাদারদের যোগসূত্র রয়েছে।
সুতরাং কী করতে হবে, তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক প্রভাবসহ সব ধরনের প্রভাবের ঊর্ধ্বে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। তদন্তে এসব অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে যাঁদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তার থেকেও বড় প্রশ্ন, ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগে ভাগ করার পর সাতজন করে মোট ১৪ জন প্রশাসক কী করে গেছেন। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সম্পর্কে নানা অভিযোগ শোনা যায়, কিন্তু সরকারের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্ব কতটা সততা ও দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছেন? তাঁদের সময়ে ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ তিনটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে; তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়ও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এক সদস্যের বক্তব্য, ‘দুই সিটি করপোরেশনে অনিয়ম বেড়ে যাওয়া ও আয় কমে যাওয়ার বিষয়গুলো মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।’ বলা বাহুল্য, এই মাত্রাছাড়া অবস্থা হয়েছে প্রশাসকদের আমলে। সরকারি এই কর্মকর্তারা তহবিলে অর্থ না থাকা সত্ত্বেও আগাম উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন নিয়ে কাজ করিয়েছেন। এভাবেই আর্থিক দায় জমে উঠেছে সিটি করপোরেশন প্রশাসনের ওপর।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, দুই সিটি করপোরেশনে যেসব অনিয়ম-দুর্নীতি সন্দেহাতীতভাবে হয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করা কঠিন কাজ নয়। এ ক্ষেত্রে মুখ্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা। কারণ, এসব দুর্নীতির সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ঠিকাদারদের যোগসূত্র রয়েছে।
সুতরাং কী করতে হবে, তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক প্রভাবসহ সব ধরনের প্রভাবের ঊর্ধ্বে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। তদন্তে এসব অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে যাঁদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
No comments