‘বড়’দের বিপক্ষে যত বড় জয়
বাংলাদেশের
যেকোনো প্রতিপক্ষকে ‘বড়’ লেখার দিন আসলেই ফুরিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের
সামনে এখন কোনো দলই ঠিক বড় নয়। তবে বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে ‘অভিজাত’দের
তালিকা করলে আটটি দলের নাম চলেই আসে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ
আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান ও
শ্রীলঙ্কা—ক্রিকেটের এই আটটি কুলীন দলের বিপক্ষেই এক বা একাধিক জয়ের রেকর্ড
আছে বাংলাদেশের। এই জয়গুলোর অনেকগুলোই এসেছে বড় ব্যবধানে।
রান, উইকেটের হিসাবের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জয় এসেছে হাতে বল রাখার হিসাবে। একটি কথা বলে দেওয়াই যায়, তিন ধরনের ব্যবধানের দিক দিয়েই বাংলাদেশের প্রাপ্ত জয়ের তালিকাটা দিনকে দিন বড়ই হচ্ছে। গতকালই যেমন বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল ১৩৪ বল হাতে রেখে। শীর্ষ আট দলের বিপক্ষে বলের হিসাবে এটাই বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়।
বলের হিসাবে সবচেয়ে বড় জয়টি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২০১১ সালে চট্টগ্রামে ১৮০ বল হাতে রেখেই জিতেছিল বাংলাদেশ। বড় দলগুলোর বিপক্ষে ১০০-র বেশি বল হাতে রেখে জেতার ঘটনা এই দুটিই। গত এপ্রিলে পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ করার পথে সিরিজের শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিল ৬৩ বল বাকি থাকতে। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডকে বাংলাওয়াশ করার পথে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে জয় আসে ৪০ ওভারেই। ৬০ বল বাকি থাকতে।
বলের মতো রানের হিসাবেও বড় দলগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২০১২ সালের নভেম্বরে খুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাংলাদেশ হারায় ১৬০ রানে। শুধু ‘বড় দল’ নয়, কেনিয়া-স্কটল্যান্ডকে হিসাবে নিলেও সব দলের বিপক্ষেই এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। ১০০-র বেশি রানে আর কোনো বড় দলকে বাংলাদেশ হারাতে পারেনি। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ৭৯ রানে। মজার ব্যাপার হলো, ভারতের বিপক্ষেও সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়টা এসেছিল ঠিক ৭৯ রানেই। রানের হিসাবে বড় জয়ের তালিকায় এর পরেই আছে ২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই জয়টি। সেবার বাংলাদেশ জিতেছিল ৬৭ রানে। ৫০ রানের বেশি ব্যবধানে বড় দলগুলোকে আর দুবারই হারিয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে নর্দাম্পটনে পাকিস্তানকে (৬২ রানে) এবং ২০০৯ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ডমিনিকায় স্বাগতিকদের (৫২ রানে)।
বাংলাদেশ এখনো সবগুলো উইকেট হাতে রেখে কোনো ম্যাচ জেতেনি। জিম্বাবুয়ে আর কেনিয়ার বিপক্ষে ৯ উইকেটের দুটো জয় আছে। তবে আমরা যেহেতু বড় দলের হিসাব খুঁজছি, তাতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় ৮ উইকেটের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাশাপাশি পাকিস্তানও একবার করে এই ব্যবধানে হার মেনেছে বাংলাদেশের কাছে। সাত উইকেটের জয় আছে পাঁচটি। দুবার নিউজিল্যান্ড; বাকি তিন প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। বলা বাহুল্য, প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জয়টি গতকালকের। ভারতের বিপক্ষে গত সিরিজে ৬ উইকেটে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একাধিক জয় থাকলেও মজার ব্যাপার হচ্ছে এর প্রতিটিই খুব সংগ্রাম করে পাওয়া। ২০১০ সালে ব্রিস্টলে ইংলিশদের বিপক্ষে পাওয়া প্রথম জয়টি ছিল মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে। গত মার্চে অ্যাডিলেডে বিশ্বকাপের শেষ আট নিশ্চিত করা জয়টি বাংলাদেশ পেয়েছিল ৯ রানে। ২০১১ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামের মাটিতে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২ উইকেটে জিতেছিল ৬ বল হাতে রেখে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০০৫ সালের জুনে কার্ডিফে পাওয়া সেই বিখ্যাত জয়টি উইকেটের হিসাবে কিন্তু সহজ বলেই ধরে নেওয়া যেতে পারে। ৫ উইকেটে সেই জয়টি বাংলাদেশ অবশ্য তুলে নিয়েছিল ৪ বল বাকি থাকতে।
রান, উইকেটের হিসাবের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জয় এসেছে হাতে বল রাখার হিসাবে। একটি কথা বলে দেওয়াই যায়, তিন ধরনের ব্যবধানের দিক দিয়েই বাংলাদেশের প্রাপ্ত জয়ের তালিকাটা দিনকে দিন বড়ই হচ্ছে। গতকালই যেমন বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল ১৩৪ বল হাতে রেখে। শীর্ষ আট দলের বিপক্ষে বলের হিসাবে এটাই বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়।
বলের হিসাবে সবচেয়ে বড় জয়টি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২০১১ সালে চট্টগ্রামে ১৮০ বল হাতে রেখেই জিতেছিল বাংলাদেশ। বড় দলগুলোর বিপক্ষে ১০০-র বেশি বল হাতে রেখে জেতার ঘটনা এই দুটিই। গত এপ্রিলে পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ করার পথে সিরিজের শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিল ৬৩ বল বাকি থাকতে। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডকে বাংলাওয়াশ করার পথে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে জয় আসে ৪০ ওভারেই। ৬০ বল বাকি থাকতে।
বলের মতো রানের হিসাবেও বড় দলগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২০১২ সালের নভেম্বরে খুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাংলাদেশ হারায় ১৬০ রানে। শুধু ‘বড় দল’ নয়, কেনিয়া-স্কটল্যান্ডকে হিসাবে নিলেও সব দলের বিপক্ষেই এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। ১০০-র বেশি রানে আর কোনো বড় দলকে বাংলাদেশ হারাতে পারেনি। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ৭৯ রানে। মজার ব্যাপার হলো, ভারতের বিপক্ষেও সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়টা এসেছিল ঠিক ৭৯ রানেই। রানের হিসাবে বড় জয়ের তালিকায় এর পরেই আছে ২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই জয়টি। সেবার বাংলাদেশ জিতেছিল ৬৭ রানে। ৫০ রানের বেশি ব্যবধানে বড় দলগুলোকে আর দুবারই হারিয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে নর্দাম্পটনে পাকিস্তানকে (৬২ রানে) এবং ২০০৯ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ডমিনিকায় স্বাগতিকদের (৫২ রানে)।
বাংলাদেশ এখনো সবগুলো উইকেট হাতে রেখে কোনো ম্যাচ জেতেনি। জিম্বাবুয়ে আর কেনিয়ার বিপক্ষে ৯ উইকেটের দুটো জয় আছে। তবে আমরা যেহেতু বড় দলের হিসাব খুঁজছি, তাতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় ৮ উইকেটের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাশাপাশি পাকিস্তানও একবার করে এই ব্যবধানে হার মেনেছে বাংলাদেশের কাছে। সাত উইকেটের জয় আছে পাঁচটি। দুবার নিউজিল্যান্ড; বাকি তিন প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। বলা বাহুল্য, প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জয়টি গতকালকের। ভারতের বিপক্ষে গত সিরিজে ৬ উইকেটে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একাধিক জয় থাকলেও মজার ব্যাপার হচ্ছে এর প্রতিটিই খুব সংগ্রাম করে পাওয়া। ২০১০ সালে ব্রিস্টলে ইংলিশদের বিপক্ষে পাওয়া প্রথম জয়টি ছিল মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে। গত মার্চে অ্যাডিলেডে বিশ্বকাপের শেষ আট নিশ্চিত করা জয়টি বাংলাদেশ পেয়েছিল ৯ রানে। ২০১১ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামের মাটিতে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২ উইকেটে জিতেছিল ৬ বল হাতে রেখে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০০৫ সালের জুনে কার্ডিফে পাওয়া সেই বিখ্যাত জয়টি উইকেটের হিসাবে কিন্তু সহজ বলেই ধরে নেওয়া যেতে পারে। ৫ উইকেটে সেই জয়টি বাংলাদেশ অবশ্য তুলে নিয়েছিল ৪ বল বাকি থাকতে।
রান আর বলের হিসাবে সবচেয়ে বড় দুটি জয়ই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ফাইল ছবি |
No comments