ওয়াসা ও পাউবোর কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন- পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে টিআইবি ও বাউইনের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান |
ঢাকা
ওয়াসা ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা
আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন। দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রমাণ হওয়ার পরও
তাঁদের শাস্তি না হওয়া এবং জবাবদিহি নিশ্চিত না হওয়ার ঘটনা ঘটছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টেগ্রিটি নেটওয়ার্কের (বাউইন) ‘বাংলাদেশের পানি ব্যবস্থাপনায় শুদ্ধাচার: বর্তমান প্রেক্ষিত ও উন্নয়ন সম্ভাবনা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে গতকাল রোববার সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
সম্মেলনে পানি খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে ও পানি ব্যবস্থাপনাকে জাতীয় শুদ্ধাচারের আওতায় আনতে টিআইবি ও বাউইন নয় দফা সুপারিশ করে। গবেষণাটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ হাফিজুর রহমান ও অধ্যাপক শেখ তৌহিদুল ইসলাম।
গবেষণার ফল তুলে ধরতে গিয়ে শেখ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতা ও দালালদের যোগসাজশ তৈরি হচ্ছে। এই যোগসাজশকারীরা নিয়মবহির্ভূতভাবে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার ঠিকাদারি কাজের কার্যাদেশ পরিবর্তন ও অতিরিক্ত কাজের অনুমোদনের ব্যবস্থা করছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে কর্মকর্তা নিয়োগ ও বিজ্ঞাপন না দিয়ে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে সংস্থাটিতে।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত পরিচালিত এই গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, ওয়াসার কর্মকর্তাদের একাংশ স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে মিলে সংস্থাটির জমি দখল করছেন। অন্যদিকে পাউবোর ক্ষেত্রে প্রকল্প প্রস্তাবনায় উল্লিখিত কারিগরি নির্দেশনা না মেনে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা, বাঁধের জন্য নির্ধারিত জিও ব্যাগ ব্যবহার না করা, ২৬টি ড্রেজারের পরিবর্তে ২২টি ড্রেজার ব্যবহার ও ভুয়া বিলের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, উপনির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, অধ্যাপক সৈয়দ হাফিজুর রহমান ও বাউইনের সমন্বয়কারী সঞ্জীব বিশ্বাস সঞ্জয়।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টিআইবির প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য ঢাকা ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যাতে তাদের চ্যালেঞ্জ ও সমস্যাগুলো মোকাবিলা করে সামনের দিনগুলোতে আরও ভালোমতো কাজ করতে পারে। এ জন্য প্রতিবেদনের খসড়া সংশ্লিষ্ট সরকারি সব সংস্থাকে দেখানো হয়েছে। তাদের মতামতও যুক্ত করা হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার পদত্যাগ করা উচিত কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ওই দুই মন্ত্রীর নৈতিকভাবে মন্ত্রী পদে থাকা উচিত নয়। তদন্তের স্বচ্ছতার স্বার্থেই তাঁদের পদত্যাগ করা উচিত।
বাউইন হলো ২০০৯ সালে টিআইবির উদ্যোগে পানি খাতের ১৭টি সংস্থা ও বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে গঠিত একটি নেটওয়ার্ক।
প্রতিবেদনটিতে দেশে বিদ্যমান পানিবিষয়ক নীতি, আইন ও বিধিসংশ্লিষ্ট ২৯টি সরকারি নথিপত্র বিশ্লেষণ এবং ঢাকা ওয়াসা ও পাউবোর পানি ব্যবস্থাপনা ও সেবাদান প্রক্রিয়ায় সততার মাত্রা নিরূপণ করা হয়।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গ্রাহকের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী সব এলাকায় ঢাকা ওয়াসা তাদের সেবা দিতে পারছে না। এ ক্ষেত্রে সেবা প্রদানে আয় অনুযায়ী এলাকাভিত্তিক বৈষম্য বিরাজ করছে। ঢাকা ওয়াসা সম্পর্কে গ্রাহকের সন্তুষ্টির মানও সন্তোষজনক নয়। যথাযথ সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টেগ্রিটি নেটওয়ার্কের (বাউইন) ‘বাংলাদেশের পানি ব্যবস্থাপনায় শুদ্ধাচার: বর্তমান প্রেক্ষিত ও উন্নয়ন সম্ভাবনা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে গতকাল রোববার সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
সম্মেলনে পানি খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে ও পানি ব্যবস্থাপনাকে জাতীয় শুদ্ধাচারের আওতায় আনতে টিআইবি ও বাউইন নয় দফা সুপারিশ করে। গবেষণাটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ হাফিজুর রহমান ও অধ্যাপক শেখ তৌহিদুল ইসলাম।
গবেষণার ফল তুলে ধরতে গিয়ে শেখ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতা ও দালালদের যোগসাজশ তৈরি হচ্ছে। এই যোগসাজশকারীরা নিয়মবহির্ভূতভাবে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার ঠিকাদারি কাজের কার্যাদেশ পরিবর্তন ও অতিরিক্ত কাজের অনুমোদনের ব্যবস্থা করছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে কর্মকর্তা নিয়োগ ও বিজ্ঞাপন না দিয়ে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে সংস্থাটিতে।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত পরিচালিত এই গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, ওয়াসার কর্মকর্তাদের একাংশ স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে মিলে সংস্থাটির জমি দখল করছেন। অন্যদিকে পাউবোর ক্ষেত্রে প্রকল্প প্রস্তাবনায় উল্লিখিত কারিগরি নির্দেশনা না মেনে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা, বাঁধের জন্য নির্ধারিত জিও ব্যাগ ব্যবহার না করা, ২৬টি ড্রেজারের পরিবর্তে ২২টি ড্রেজার ব্যবহার ও ভুয়া বিলের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, উপনির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, অধ্যাপক সৈয়দ হাফিজুর রহমান ও বাউইনের সমন্বয়কারী সঞ্জীব বিশ্বাস সঞ্জয়।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টিআইবির প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য ঢাকা ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যাতে তাদের চ্যালেঞ্জ ও সমস্যাগুলো মোকাবিলা করে সামনের দিনগুলোতে আরও ভালোমতো কাজ করতে পারে। এ জন্য প্রতিবেদনের খসড়া সংশ্লিষ্ট সরকারি সব সংস্থাকে দেখানো হয়েছে। তাদের মতামতও যুক্ত করা হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার পদত্যাগ করা উচিত কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ওই দুই মন্ত্রীর নৈতিকভাবে মন্ত্রী পদে থাকা উচিত নয়। তদন্তের স্বচ্ছতার স্বার্থেই তাঁদের পদত্যাগ করা উচিত।
বাউইন হলো ২০০৯ সালে টিআইবির উদ্যোগে পানি খাতের ১৭টি সংস্থা ও বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে গঠিত একটি নেটওয়ার্ক।
প্রতিবেদনটিতে দেশে বিদ্যমান পানিবিষয়ক নীতি, আইন ও বিধিসংশ্লিষ্ট ২৯টি সরকারি নথিপত্র বিশ্লেষণ এবং ঢাকা ওয়াসা ও পাউবোর পানি ব্যবস্থাপনা ও সেবাদান প্রক্রিয়ায় সততার মাত্রা নিরূপণ করা হয়।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গ্রাহকের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী সব এলাকায় ঢাকা ওয়াসা তাদের সেবা দিতে পারছে না। এ ক্ষেত্রে সেবা প্রদানে আয় অনুযায়ী এলাকাভিত্তিক বৈষম্য বিরাজ করছে। ঢাকা ওয়াসা সম্পর্কে গ্রাহকের সন্তুষ্টির মানও সন্তোষজনক নয়। যথাযথ সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
No comments