পুলিশ তুমি কার? রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন
পুলিশের বিপজ্জনক রূপান্তর ঘটে যাচ্ছে, বড় অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা। পুলিশের একশ্রেণির অসৎ কর্মকর্তার সঙ্গে নেতা-মন্ত্রী-এমপিদের যোগসাজশের কাছে জিম্মি হয়ে উঠছে সমগ্র বাহিনী। বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোর শীর্ষ সংবাদে পুলিশের অবক্ষয়ের যে চিত্র উঠে এসেছে, তাকে সজাগ হওয়ার ডাক হিসেবেই নেওয়া উচিত।
সম্প্রতি টিআইবি পরিচালিত জাতীয় যুব-সততা জরিপ ২০১৫-এ এবং যুবাদের ৬৬ শতাংশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে সততার বড় অভাব দেখতে পায়। এ ছাড়া বিপথগামীদের দ্বারা ঘুষের জন্য তহবিল গঠন, ইয়াবা পাচার, ধর্ষণসহ বেশ কয়টি ঘটনা জনসমক্ষে এলেও শাস্তি হয়েছে লোক দেখানো। ঘুষ, দুর্নীতি, ধর্ষণ, নির্যাতন, মাদক পাচার, অপহরণসহ এমন অনেক অপরাধে জড়িত পুলিশের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তাতে ভবিষ্যতে এই বাহিনীর কার্যকারিতা নিয়েই অনাস্থা জন্মাতে পারে।
পুলিশের অবক্ষয় রোধে স্বয়ং পুলিশ বাহিনীরই বিভিন্ন উদ্যোগ থমকে আছে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে। পুলিশ বাহিনীর সংস্কার দরকার, পুলিশ আইনে পুলিশের ক্ষমতা কমিয়ে জবাবদিহি বাড়ানো দরকার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মতো পুলিশের স্বতন্ত্র বিভাগ করাও প্রয়োজন। পুলিশের নিয়োগ-পদোন্নতি-বদলি স্বচ্ছ করা এবং দলীয়করণ ও স্বজনপ্রীতি বন্ধ করা জরুরি। নিয়োগ-পদোন্নতি ও বদলির এখতিয়ার পুলিশ বাহিনীরই হাতে থাকা উচিত। অথচ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাতে নারাজ।
অভিযোগ রয়েছে, মন্ত্রী-এমপি-নেতারা তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী পুলিশের নিয়োগ-পদোন্নতি ও বদলিতে প্রভাব ফেলেন। এতে করে পুলিশের চেইন অব কমান্ড ঠিকঠাক কাজ করে না। পুলিশের যদি মন্ত্রী-এমপিদের বিরাগভাজন হওয়ার ভয় থাকে কিংবা ক্ষমতাবানদের অন্যায়ের পাহারাদার হওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকে, তাহলে কীভাবে তাদের মনোবল ঠিক থাকবে? যদি বাহিনীতে অযোগ্য দলীয় লোকদের নিয়োগ দেওয়া হয়, যদি থানার ওসিদের মন্ত্রী-এমপিদের মর্জি মেপে চলতে হয়, তাহলে পুলিশের পক্ষে দায়িত্ব পালন কীভাবে সম্ভব? রাজনৈতিক খুঁটিই যদি পুলিশের উন্নতি ও অপরাধের ছাড়পত্রের উপায় হয়, তাহলে পুলিশ বাহিনীতে দূষণ ঘটবেই।
পুলিশ আইনকে যুগোপযোগী ও অধিকার সহায়ক করা এবং স্বতন্ত্র পুলিশ বিভাগ করার সময় এখনই।
সম্প্রতি টিআইবি পরিচালিত জাতীয় যুব-সততা জরিপ ২০১৫-এ এবং যুবাদের ৬৬ শতাংশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে সততার বড় অভাব দেখতে পায়। এ ছাড়া বিপথগামীদের দ্বারা ঘুষের জন্য তহবিল গঠন, ইয়াবা পাচার, ধর্ষণসহ বেশ কয়টি ঘটনা জনসমক্ষে এলেও শাস্তি হয়েছে লোক দেখানো। ঘুষ, দুর্নীতি, ধর্ষণ, নির্যাতন, মাদক পাচার, অপহরণসহ এমন অনেক অপরাধে জড়িত পুলিশের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তাতে ভবিষ্যতে এই বাহিনীর কার্যকারিতা নিয়েই অনাস্থা জন্মাতে পারে।
পুলিশের অবক্ষয় রোধে স্বয়ং পুলিশ বাহিনীরই বিভিন্ন উদ্যোগ থমকে আছে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে। পুলিশ বাহিনীর সংস্কার দরকার, পুলিশ আইনে পুলিশের ক্ষমতা কমিয়ে জবাবদিহি বাড়ানো দরকার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মতো পুলিশের স্বতন্ত্র বিভাগ করাও প্রয়োজন। পুলিশের নিয়োগ-পদোন্নতি-বদলি স্বচ্ছ করা এবং দলীয়করণ ও স্বজনপ্রীতি বন্ধ করা জরুরি। নিয়োগ-পদোন্নতি ও বদলির এখতিয়ার পুলিশ বাহিনীরই হাতে থাকা উচিত। অথচ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাতে নারাজ।
অভিযোগ রয়েছে, মন্ত্রী-এমপি-নেতারা তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী পুলিশের নিয়োগ-পদোন্নতি ও বদলিতে প্রভাব ফেলেন। এতে করে পুলিশের চেইন অব কমান্ড ঠিকঠাক কাজ করে না। পুলিশের যদি মন্ত্রী-এমপিদের বিরাগভাজন হওয়ার ভয় থাকে কিংবা ক্ষমতাবানদের অন্যায়ের পাহারাদার হওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকে, তাহলে কীভাবে তাদের মনোবল ঠিক থাকবে? যদি বাহিনীতে অযোগ্য দলীয় লোকদের নিয়োগ দেওয়া হয়, যদি থানার ওসিদের মন্ত্রী-এমপিদের মর্জি মেপে চলতে হয়, তাহলে পুলিশের পক্ষে দায়িত্ব পালন কীভাবে সম্ভব? রাজনৈতিক খুঁটিই যদি পুলিশের উন্নতি ও অপরাধের ছাড়পত্রের উপায় হয়, তাহলে পুলিশ বাহিনীতে দূষণ ঘটবেই।
পুলিশ আইনকে যুগোপযোগী ও অধিকার সহায়ক করা এবং স্বতন্ত্র পুলিশ বিভাগ করার সময় এখনই।
No comments