শিক্ষার্থী ভিসায় আরও কড়াকড়ি আনবে যুক্তরাজ্য
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ভুক্ত দেশগুলোর
বাইরে অন্য দেশ থেকে লেখাপড়ার জন্য যুক্তরাজ্যে আসা শিক্ষার্থীদের কাজের
সুযোগ রহিত করা হবে। কোর্স শেষ হওয়া মাত্র এসব শিক্ষার্থীকে দেশে ফেরত যেতে
হবে এবং এক নাগাড়ে দুই বছরের বেশি সময়ের জন্য ভিসা দেওয়া হবে না।
যুক্তরাজ্যে শিক্ষার্থী ভিসায় আরও কড়াকড়ি আনতে সরকার নতুন এ পরিকল্পনা নিচ্ছে বলে গতকাল রোববার জানান দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেসা মে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে চূড়ান্ত নির্দেশনা প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যে কর্মসংস্থান খোঁজার সুযোগ বন্ধ করতে এই উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল সরকার যুক্তরাজ্যের মোট অভিবাসীর সংখ্যা বছরে এক লাখের নিচে নামিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত সরকারি এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত এক বছর সময়ে ইইউর বাইরের দেশ থেকে এক লাখ ২১ হাজার শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন। ওই সময়ে যুক্তরাজ্য ছেড়ে গেছেন মাত্র ৫১ হাজার শিক্ষার্থী। ফলে শুধু শিক্ষার্থী ভিসার কারণে ওই বছর অভিবাসীর সংখ্যা ৭০ হাজার বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন তথ্যের পরই তেরেসা মে নতুন পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করলেন।
বর্তমান আইন অনুযায়ী বৈধভাবে এক নাগাড়ে কেউ ১০ বছর যুক্তরাজ্যে বসবাস করলে স্থায়ীভাবে বাসের সুযোগ পান। এই পথ বন্ধ করতে ডেভিড ক্যামেরনের সরকার গত মেয়াদেই শিক্ষার্থী ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ আট বছর এবং কর্মজীবী ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ ছয় বছর নির্ধারণ করে। এমন কড়াকড়ির পরও শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবী ভিসা মিলে ১০ বছর পূর্ণ করে স্থায়ী বাসের সুবিধা আদায়ের একটি সুযোগ এত দিন ছিল। সরকারের নতুন পরিকল্পনায় এই সুযোগ বন্ধ করার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।
নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের কোর্স শেষ করা মাত্রই দেশে ফিরে যেতে হবে। দেশ থেকেই তাদের কর্ম ভিসার (ওয়ার্ক পারমিট) জন্য আবেদন করতে হবে। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া বিদেশি শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ পান। নতুন নিয়ম চালুর পর সেই সুযোগ আর থাকবে না বলে জানিয়েছেন তেরেসা মে।
যুক্তরাজ্যের সুপারমার্কেট এবং ছোটখাটো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশি শিক্ষার্থীদের খণ্ডকালীন কাজের ওপর বেশ নির্ভরশীল। ফলে শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ রহিত করার প্রশ্নে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এসব ব্যবসায়ীরা। আবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আশঙ্কা করছে কড়াকড়ির কারণে যুক্তরাজ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীর আগমন কমে যাবে। তবে সরকার বলছে, ২০২০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীর আগমন বছরে ছয় শতাংশ করে বাড়বে।
যুক্তরাজ্যে শিক্ষার্থী ভিসায় আরও কড়াকড়ি আনতে সরকার নতুন এ পরিকল্পনা নিচ্ছে বলে গতকাল রোববার জানান দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেসা মে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে চূড়ান্ত নির্দেশনা প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যে কর্মসংস্থান খোঁজার সুযোগ বন্ধ করতে এই উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল সরকার যুক্তরাজ্যের মোট অভিবাসীর সংখ্যা বছরে এক লাখের নিচে নামিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত সরকারি এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত এক বছর সময়ে ইইউর বাইরের দেশ থেকে এক লাখ ২১ হাজার শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন। ওই সময়ে যুক্তরাজ্য ছেড়ে গেছেন মাত্র ৫১ হাজার শিক্ষার্থী। ফলে শুধু শিক্ষার্থী ভিসার কারণে ওই বছর অভিবাসীর সংখ্যা ৭০ হাজার বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন তথ্যের পরই তেরেসা মে নতুন পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করলেন।
বর্তমান আইন অনুযায়ী বৈধভাবে এক নাগাড়ে কেউ ১০ বছর যুক্তরাজ্যে বসবাস করলে স্থায়ীভাবে বাসের সুযোগ পান। এই পথ বন্ধ করতে ডেভিড ক্যামেরনের সরকার গত মেয়াদেই শিক্ষার্থী ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ আট বছর এবং কর্মজীবী ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ ছয় বছর নির্ধারণ করে। এমন কড়াকড়ির পরও শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবী ভিসা মিলে ১০ বছর পূর্ণ করে স্থায়ী বাসের সুবিধা আদায়ের একটি সুযোগ এত দিন ছিল। সরকারের নতুন পরিকল্পনায় এই সুযোগ বন্ধ করার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।
নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের কোর্স শেষ করা মাত্রই দেশে ফিরে যেতে হবে। দেশ থেকেই তাদের কর্ম ভিসার (ওয়ার্ক পারমিট) জন্য আবেদন করতে হবে। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া বিদেশি শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ পান। নতুন নিয়ম চালুর পর সেই সুযোগ আর থাকবে না বলে জানিয়েছেন তেরেসা মে।
যুক্তরাজ্যের সুপারমার্কেট এবং ছোটখাটো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশি শিক্ষার্থীদের খণ্ডকালীন কাজের ওপর বেশ নির্ভরশীল। ফলে শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ রহিত করার প্রশ্নে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এসব ব্যবসায়ীরা। আবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আশঙ্কা করছে কড়াকড়ির কারণে যুক্তরাজ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীর আগমন কমে যাবে। তবে সরকার বলছে, ২০২০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীর আগমন বছরে ছয় শতাংশ করে বাড়বে।
No comments