নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ
নির্বাচনে
নিজের দল বারিশান ন্যাশনাল (বিএন)কে বিজয়ী করতে দল ও দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট
সংগঠনগুলোতে বহু লাখ রিঙ্গিত পাঠানো হয়েছে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব
রাজাকের অ্যাকাউন্ট থেকে। দু’বছর আগে সেখানে ১৩তম জাতীয় নির্বাচন হয়। সেই
নির্বাচনে অ্যামব্যাংকে নাজিব রাজাকের অ্যাকাউন্ট থেকে এ অর্থ চালান দেয়া
হয়েছে। এমন দাবি করেছে একটি বেসরকারি সংগঠন সিটিজেনস ফর অ্যাকাউন্টেবল
গভর্নেন্স মালয়েশিয়া (সিএজিএম)। তারা শুধু এ অভিযোগ করেই ক্ষান্ত থাকে নি।
বলেছে, তাদের হাতে এ বিষয়ে ডকুমেন্ট আছে। গতকাল এ খবর দিয়েছে দ্য
মালয়েশিয়ান ইনসাইডার। সমপ্রতি ‘ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাদ’
(১এমডিবি) স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে নাজুক অবস্থা নাজিব রাজাকের। শুধু তা-ই নয়
তার স্ত্রী রোজমাহ মানসুরের অ্যাকাউন্টে এ বছরের শুরুতে ২০ লাখ রিঙ্গিত
জমার এক অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েছে। তারই মধ্যে নতুন করে নাজিব রাজাকের
বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ তুললেন সিএজিএম চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদিন। গতকাল
তারা একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, সিএজিএম আদালতের ডকুমেন্টের ভিত্তিতে
নিশ্চিত করে বলছে যে, অ্যামব্যাংকে নাজিব রাজাকের অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক
মিলিয়ন রিঙ্গিত গেছে বিএন দলের অঙ্গ সংগঠনের কাছে। নাজিব রাজাকের এই
অ্যাকাউন্টটি তার ব্যক্তিগত। এ খাত থেকে দলের ১৩টি অঙ্গ সংগঠনের পাশাপাশি
বিএন দলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ভাব আছে এমন দল ও এনজিওকে অর্থ দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে নিজ দল বিএন-এর ১৩টি অংশের প্রতিটিকে তিনি দিয়েছেন গড়ে ৩ কোটি
থেকে ৫ কোটি রিঙ্গিত। এছাড়া, দলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে এমন দল ও
এনজিও’র প্রতিটিকে দেয়া হয়েছে গড়ে ১০ লাখ থেকে ৮০ লাখ রিঙ্গিত। জয়নাল
আবেদিন এমন ব্যবস্থার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদকেই দায়ী
করেছেন। বলেছেন, বিএন দলকে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য এমন ব্যবস্থা চালু
করেছেন মাহাথির। ফলে নাজিব সেই পদাঙ্কই অনুসরণ করেছেন। নির্বাচনে জয় যত
কঠিন হয়ে ওঠে তত বেশি অর্থ ঢালা হয় তখন। ২০১৩ সালে নির্বাচনে বিএন-এর জয়
পাওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী
পত্রিকা দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল খবর প্রকাশ করে যে, ‘ওয়ান মালয়েশিয়া
ডেভেলপমেন্ট বেরহাদ’ (১এমডিবি) তহবিল থেকে প্রায় ৭০ কোটি ডলার স্থানান্তর
করা হয়েছে নাজিব রাজাকের অ্যাকাউন্টে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই তহবিলের অর্থ
তিনি পরোক্ষভাবে ২০১৩ সালের নির্বাচনে প্রচারণায় ব্যবহার করে থাকতে পারেন।
No comments