নিলামে বিদ্যালয় ভবন বিক্রি
যমুনা
নদীর ভাঙনে গত এক সপ্তাহে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দি গ্রামের
অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, প্রায় ৫০ বিঘা আবাদি জমি, গোবিন্দি কবরস্থান, ঈদগাহ
বিলীন হয়ে গেছে। গৃহহীন হয়েছেন পাঁচ শতাধিক গ্রামবাসী। ভাঙনের মুখে
গোবিন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাক হয়ে সবই চেয়ে চেয়ে দেখতে হচ্ছে গ্রামবাসীর। গ্রামটিকে রক্ষায়
সরকারের পক্ষ থেকে নেই কোনো উদ্যোগ।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, বর্তমানে যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভাঙন। উপরন্তু দফায় দফায় বর্ষণে ভাঙন আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত এক সপ্তাহে সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়নের অন্তর্গত গোবিন্দি গ্রামের অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, প্রায় ৫০ বিঘা আবাদি জমি, অসংখ্য গাছপালা বিলীন হয়েছে। বিলীন হয়েছে গোবিন্দি কবরস্থান ও ঈদগাহ মাঠ। এ ছাড়া গৃহহীন হয়ে পড়েছেন পাঁচ শতাধিক গ্রামবাসী। গৃহহীন লোকজন বিভিন্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে গোবিন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
গোবিন্দি গ্রামে গতকাল রোববার বেলা একটার দিকে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙনের মুখে পড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভাঙছেন শ্রমিকেরা। বিদ্যালয়সংলগ্ন যমুনা নদীতে তখনো চলছিল তীব্র ভাঙন। ভাঙন থেকে ভবনের ইট-রড সরিয়ে নিতে শ্রমিকেরা যত দ্রুত পারছেন হাতুড়ি-শাবল চালাচ্ছেন। এ সময় গোবিন্দি গ্রামের দুই ভাই নিবির মিয়া ও মিরাদ হোসেন দাঁড়িয়ে মনটা খারাপ করে দেখছিল নিজেদের বিদ্যালয় ভেঙে নেওয়ার কাজ। নিবির ওই বিদ্যালয়ে প্রথম ও মিরাদ দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। মিরাদ বলে, ‘এক মাস আগে আমাদের বাড়ি নদীতে গেছে। তখন থেকেই আমরা বাঁধে থাকি। এখন আমাদের স্কুলও ভাঙছে।’
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আক্তারী বেগম বলেন, মাস খানেক আগেও নদীর ভাঙন বিদ্যালয় ভবন থেকে অনেক দূরে ছিল। কিন্তু নদীর পানি দ্রুত হ্রাস পাওয়ায় ও গত কয়েক দিনের বর্ষণে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। পাড় ভাঙতে ভাঙতে এখন বিদ্যালয় ভবন থেকে মাত্র চার ফুট দূরে এসে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় সবই যাতে জলে না যায় সে চিন্তা থেকে ৯১ হাজার টাকায় বিদ্যালয় ভবনটি নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আপাতত ভরতখালী এলাকার একটি খাস জমিতে এ বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম চালানো হবে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, বর্তমানে যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভাঙন। উপরন্তু দফায় দফায় বর্ষণে ভাঙন আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত এক সপ্তাহে সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়নের অন্তর্গত গোবিন্দি গ্রামের অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, প্রায় ৫০ বিঘা আবাদি জমি, অসংখ্য গাছপালা বিলীন হয়েছে। বিলীন হয়েছে গোবিন্দি কবরস্থান ও ঈদগাহ মাঠ। এ ছাড়া গৃহহীন হয়ে পড়েছেন পাঁচ শতাধিক গ্রামবাসী। গৃহহীন লোকজন বিভিন্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে গোবিন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
গোবিন্দি গ্রামে গতকাল রোববার বেলা একটার দিকে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙনের মুখে পড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভাঙছেন শ্রমিকেরা। বিদ্যালয়সংলগ্ন যমুনা নদীতে তখনো চলছিল তীব্র ভাঙন। ভাঙন থেকে ভবনের ইট-রড সরিয়ে নিতে শ্রমিকেরা যত দ্রুত পারছেন হাতুড়ি-শাবল চালাচ্ছেন। এ সময় গোবিন্দি গ্রামের দুই ভাই নিবির মিয়া ও মিরাদ হোসেন দাঁড়িয়ে মনটা খারাপ করে দেখছিল নিজেদের বিদ্যালয় ভেঙে নেওয়ার কাজ। নিবির ওই বিদ্যালয়ে প্রথম ও মিরাদ দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। মিরাদ বলে, ‘এক মাস আগে আমাদের বাড়ি নদীতে গেছে। তখন থেকেই আমরা বাঁধে থাকি। এখন আমাদের স্কুলও ভাঙছে।’
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আক্তারী বেগম বলেন, মাস খানেক আগেও নদীর ভাঙন বিদ্যালয় ভবন থেকে অনেক দূরে ছিল। কিন্তু নদীর পানি দ্রুত হ্রাস পাওয়ায় ও গত কয়েক দিনের বর্ষণে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। পাড় ভাঙতে ভাঙতে এখন বিদ্যালয় ভবন থেকে মাত্র চার ফুট দূরে এসে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় সবই যাতে জলে না যায় সে চিন্তা থেকে ৯১ হাজার টাকায় বিদ্যালয় ভবনটি নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আপাতত ভরতখালী এলাকার একটি খাস জমিতে এ বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম চালানো হবে।
গ্রামের
কৃষক ময়নুল হক (৫০) বলেন, ‘সাত দিনের ব্যবধানে যমুনার ভাঙনে আমার তিনটি
ঘর বিলীন হয়েছে। আমরা সরকারি জায়গায় ঘর তুলে আছি। কিন্তু ভাঙনরোধে কেউ
কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’ একই গ্রামের কলেজছাত্র পাপুল মিয়া বলেন,
‘আমাদের গ্রামের একমাত্র ঈদগাহ মাঠ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আসন্ন ঈদে কোথায়
নামাজ আদায় করা হবে জানি না।’
কৃষক জলিল আকন্দের (৫০) দুই বিঘা জমি ছিল। এই জমিই ছিল তাঁর সম্বল। গত এক সপ্তাহের ভাঙনে সেই জমি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে বলে জানান তিনি। সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেন, দৈনিক গড়ে চার থেকে পাঁচ ফুট এলাকা বিলীন হচ্ছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে গোটা গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও ভাঙনরোধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এসব বিষয়ে গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আউয়াল মিয়া বলেন, সাঘাটা বাজার ও আশপাশের এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে ১৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর তীরে বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ স্থাপনের কাজ চলছে। কিন্তু গোবিন্দি এলাকায় ভাঙনরোধে কোনো কর্মসূচি নেই।
কৃষক জলিল আকন্দের (৫০) দুই বিঘা জমি ছিল। এই জমিই ছিল তাঁর সম্বল। গত এক সপ্তাহের ভাঙনে সেই জমি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে বলে জানান তিনি। সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেন, দৈনিক গড়ে চার থেকে পাঁচ ফুট এলাকা বিলীন হচ্ছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে গোটা গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও ভাঙনরোধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এসব বিষয়ে গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আউয়াল মিয়া বলেন, সাঘাটা বাজার ও আশপাশের এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে ১৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর তীরে বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ স্থাপনের কাজ চলছে। কিন্তু গোবিন্দি এলাকায় ভাঙনরোধে কোনো কর্মসূচি নেই।
No comments