সোনিয়া গান্ধীর ইফতার পার্টি: বিজেপি বিরোধিতায় ঐক্যের মহড়া by সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়
ভারতীয়
সংসদের আসন্ন বর্ষাকালীন অধিবেশনে বিজেপি বিরোধিতায় জোটবদ্ধতার একটা
ইঙ্গিত পাওয়া গেল গতকাল সোমবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর দেওয়া
ইফতার পার্টিতে। আইপিএল ও ব্যাপম কেলেঙ্কারি নিয়ে সরকার যখন জেরবার, জমি
অধিগ্রহণসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিলের ভাগ্য যখন অনিশ্চিত, তখন অশোকা হোটেলে
সোনিয়ার ইফতার পার্টিতে বিরোধী ঐক্যের একটা মহড়া গতকাল সন্ধ্যায় হয়ে
গেল। বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে ২১ জুলাই।
আইপিএলের সাবেক কমিশনার ললিত মোদির সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের ইস্তফার দাবিতে কংগ্রেস সরব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি। এই মৌনতায় সংসদের অধিবেশন সুষ্ঠুভাবে চলা কঠিন। ব্যাপম কেলেঙ্কারিতেও বিরোধীরা বিজেপিকে কোণঠাসা করবে। যেমন তীব্র বিরোধিতা হবে জমি অধিগ্রহণ বিল নিয়ে। সংসদের যুগ্ম কমিটি বিরোধীদের সংশোধনী মেনে না নিলে এই বিল পাস করা অসম্ভব। সে ক্ষেত্রে একমাত্র উপায় সংসদের যৌথ অধিবেশন ডাকা।
বিজেপি-বিরোধী বলে পরিচিত সবাইকেই সোনিয়া ইফতারে আমন্ত্রণ জানান। মুলায়ম সিং যাদব, মায়াবতী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নিতীশ কুমার, শরদ যাদব, শরদ পাওয়ার, সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা, দেব গৌড়া, ই আহমেদ, কানিমোঝি, ফারুক আবদুল্লাহ। লালু প্রসাদের নিজের ইফতার পার্টি থাকায় তিনি আসতে পারেননি। আসতে পারেননি মমতা, মুলায়ম ও মায়াবতীও। তবে সবাই তাঁদের প্রতিনিধিদের পাঠিয়েছেন। হায়দরাবাদের রাজনৈতিক দল মজলিশ এ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন এবং আসামের নির্বাচনী জোট এআইইউডিএফ-কেও সোনিয়া আমন্ত্রণ জানান। নিতীশ কুমার সন্ধ্যাতেই দিল্লি আসেন ইফতারে যোগ দিতে।
ইফতারের রাজনীতি গত তিন দশক ধরেই প্রাসঙ্গিক। অটল বিহারি বাজপেয়িও ইফতার পার্টি দিতেন। দিতেন মনমোহন সিংও। কিন্তু নরেন্দ্র মোদিই প্রথম ইফতার পার্টি দিতে অস্বীকার করেন। এক দিকে মোদির এই প্রথা ভাঙা, অন্য দিকে বিজেপি বিরোধিতায় সংসদের ভেতর ও বাইরে জোটবদ্ধতার চেষ্টা সোনিয়ার ইফতারের মূল উদ্দেশ্য। কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ইউপিএ সরকারের শেষ দুই বছর বিজেপি অযথা অসহযোগিতা করেছে। কংগ্রেস বাধা দেবে বিজেপির অকর্মণ্যতার জন্য। সোনিয়ার ইফতার তারই একটা মহড়া।
আইপিএলের সাবেক কমিশনার ললিত মোদির সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের ইস্তফার দাবিতে কংগ্রেস সরব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি। এই মৌনতায় সংসদের অধিবেশন সুষ্ঠুভাবে চলা কঠিন। ব্যাপম কেলেঙ্কারিতেও বিরোধীরা বিজেপিকে কোণঠাসা করবে। যেমন তীব্র বিরোধিতা হবে জমি অধিগ্রহণ বিল নিয়ে। সংসদের যুগ্ম কমিটি বিরোধীদের সংশোধনী মেনে না নিলে এই বিল পাস করা অসম্ভব। সে ক্ষেত্রে একমাত্র উপায় সংসদের যৌথ অধিবেশন ডাকা।
বিজেপি-বিরোধী বলে পরিচিত সবাইকেই সোনিয়া ইফতারে আমন্ত্রণ জানান। মুলায়ম সিং যাদব, মায়াবতী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নিতীশ কুমার, শরদ যাদব, শরদ পাওয়ার, সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা, দেব গৌড়া, ই আহমেদ, কানিমোঝি, ফারুক আবদুল্লাহ। লালু প্রসাদের নিজের ইফতার পার্টি থাকায় তিনি আসতে পারেননি। আসতে পারেননি মমতা, মুলায়ম ও মায়াবতীও। তবে সবাই তাঁদের প্রতিনিধিদের পাঠিয়েছেন। হায়দরাবাদের রাজনৈতিক দল মজলিশ এ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন এবং আসামের নির্বাচনী জোট এআইইউডিএফ-কেও সোনিয়া আমন্ত্রণ জানান। নিতীশ কুমার সন্ধ্যাতেই দিল্লি আসেন ইফতারে যোগ দিতে।
ইফতারের রাজনীতি গত তিন দশক ধরেই প্রাসঙ্গিক। অটল বিহারি বাজপেয়িও ইফতার পার্টি দিতেন। দিতেন মনমোহন সিংও। কিন্তু নরেন্দ্র মোদিই প্রথম ইফতার পার্টি দিতে অস্বীকার করেন। এক দিকে মোদির এই প্রথা ভাঙা, অন্য দিকে বিজেপি বিরোধিতায় সংসদের ভেতর ও বাইরে জোটবদ্ধতার চেষ্টা সোনিয়ার ইফতারের মূল উদ্দেশ্য। কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ইউপিএ সরকারের শেষ দুই বছর বিজেপি অযথা অসহযোগিতা করেছে। কংগ্রেস বাধা দেবে বিজেপির অকর্মণ্যতার জন্য। সোনিয়ার ইফতার তারই একটা মহড়া।
No comments