‘এই বাংলাদেশে আমরা একটুও বিস্মিত নই’
আট
বছর পরে বাংলাদেশের কাছে আবার দক্ষিণ আফ্রিকার হার। মাত্র দ্বিতীয়বারের
মতো বাংলাদেশের কাছে হারল প্রোটিয়ারা। প্রথম তিন ম্যাচেই বাংলাদেশকে
দুমড়ে-মুচড়ে দেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এমন অসহায় আত্মসমর্পণ
দেখে তাদের সমর্থকেরা অবাক। কিন্তু প্রোটিয়া অলরাউন্ডার ফারহান বেহারডিয়েন
মনে করিয়ে দিলেন, এই বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্বের কোনো দলই আর নিরাপদ নয়। পরাজয়ের
কারণ খুঁজতে গিয়ে নিজেদের কিছু ব্যর্থতা অবশ্যই পেয়েছেন। উইকেটে এমন
কোনো ভূত ছিল না যে ১৬০-এর ঘরে অলআউট হয়ে যাবে দল। পুরো ৫০ ওভারও খেলে
আসতে পারবে না। কিন্তু নিজেদের ভুলগুলো বড় করে তুলে ধরে বাংলাদেশের
কৃতিত্ব খাটো করতে চাইলেন না বেহারডিয়েন। বরং করলেন ভূয়সী প্রশংসাই। তাঁর
মতে, জয়ের ক্ষুধা আর সুযোগের সর্বোচ্চ ব্যবহারই বাংলাদেশের এমন দাপুটে জয়ের
কারণ। সেই সঙ্গে নিজেদের জুটি গড়তে না পারা ব্যর্থতার কথাও বললেন এই ৩৬
বছর বয়সী।
বেহারডিয়েন বলেছেন, ‘গত কিছুদিনে তারা পাকিস্তান আর ভারতকে বেশ ভালোভাবেই হারিয়েছে। বাংলাদেশের এই জয়ে তাই একটুও বিস্মিত নই। আগেই জানতাম ওরা কী করে দেখাতে পারে। তাই এটা অন্তত বিস্ময় হয়ে আসেনি।’ তবে বেহারডিয়েন আত্মসমালোচনাও করলেন, ‘আমাদের দিনটা ভালো যায়নি, প্রথম দশ ওভার পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই খেলায় ছিলাম। কিন্তু তার পর দ্রুত কয়েকটি উইকেট পড়ে যাওয়ায় বিপদে পড়ে যাই। এর পর তো ওদের স্পিনাররা আক্রমণে এল, আর আমরাও নিয়মিত উইকেট হারাতে শুরু করলাম।’
তবে কি চাপের মুখেই ভেঙে পড়ল ব্যাটিং লাইনআপ? বিশেষত রোগটা প্রোটিয়াদের তো পুরোনোই। বেহারডিয়েন সেটাও মানতে নারাজ, ‘না এখানে চাপের কোনো প্রশ্নই নেই। আমাদের বেশ কয়েকজন উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসেছে।’
বেহারডিয়েন অবশ্য নিজে চেষ্টা করেছিলেন ঘুরে দাঁড়াতে। লেজের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে দলের রানকে নিয়ে গেছেন ১৬২-তে। সাতে নেমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ করেছেন। আট আর নয়ে দু্ই বোলারকে নিয়ে জুটি গড়ে ৪৪ রান এনে না দিলে আরও লজ্জাতেই পড়তে হতো সফরকারীদের। দলের একমাত্র ছক্কাটিও তাঁর। এমন একটা পরাজয়ের পর ঘুরে দাঁড়ানো কি কঠিন হয়ে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য? বেহারডিয়েন আশাবাদী, ‘১০০-ই করি কিংবা ৩৫০, আমরা সব সময় আত্মবিশ্বাসী থাকি। আমরা যেকোনো পরিস্থিতিতে খেলতে তৈরি। কিন্তু দ্রুত দুই উইকেটের পতনের পর ও ওরা ভালো একটা শুরু পেয়েছে। সৌম্য তো ছিল অসাধারণ।’
বেহারডিয়েন বলেছেন, ‘গত কিছুদিনে তারা পাকিস্তান আর ভারতকে বেশ ভালোভাবেই হারিয়েছে। বাংলাদেশের এই জয়ে তাই একটুও বিস্মিত নই। আগেই জানতাম ওরা কী করে দেখাতে পারে। তাই এটা অন্তত বিস্ময় হয়ে আসেনি।’ তবে বেহারডিয়েন আত্মসমালোচনাও করলেন, ‘আমাদের দিনটা ভালো যায়নি, প্রথম দশ ওভার পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই খেলায় ছিলাম। কিন্তু তার পর দ্রুত কয়েকটি উইকেট পড়ে যাওয়ায় বিপদে পড়ে যাই। এর পর তো ওদের স্পিনাররা আক্রমণে এল, আর আমরাও নিয়মিত উইকেট হারাতে শুরু করলাম।’
তবে কি চাপের মুখেই ভেঙে পড়ল ব্যাটিং লাইনআপ? বিশেষত রোগটা প্রোটিয়াদের তো পুরোনোই। বেহারডিয়েন সেটাও মানতে নারাজ, ‘না এখানে চাপের কোনো প্রশ্নই নেই। আমাদের বেশ কয়েকজন উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসেছে।’
বেহারডিয়েন অবশ্য নিজে চেষ্টা করেছিলেন ঘুরে দাঁড়াতে। লেজের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে দলের রানকে নিয়ে গেছেন ১৬২-তে। সাতে নেমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ করেছেন। আট আর নয়ে দু্ই বোলারকে নিয়ে জুটি গড়ে ৪৪ রান এনে না দিলে আরও লজ্জাতেই পড়তে হতো সফরকারীদের। দলের একমাত্র ছক্কাটিও তাঁর। এমন একটা পরাজয়ের পর ঘুরে দাঁড়ানো কি কঠিন হয়ে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য? বেহারডিয়েন আশাবাদী, ‘১০০-ই করি কিংবা ৩৫০, আমরা সব সময় আত্মবিশ্বাসী থাকি। আমরা যেকোনো পরিস্থিতিতে খেলতে তৈরি। কিন্তু দ্রুত দুই উইকেটের পতনের পর ও ওরা ভালো একটা শুরু পেয়েছে। সৌম্য তো ছিল অসাধারণ।’
বাংলাদেশকে প্রাপ্য কৃতিত্ব দিতে এতটুকু কার্পণ্য করেননি বেহারডিয়েন। ছবি: এএফপি |
No comments