নির্বাচনের প্রস্তাব না পাওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন- এজেন্ডাবিহীন সংলাপের ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি by মঈন উদ্দিন খান
নতুন
নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সরকারের তরফ থেকে আলোচনার ‘সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব’
না পাওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয়
জোট। নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো ইস্যুতে ‘তথাকথিত’ সংলাপের উদ্যোগেও সাড়া
দেবে না এই জোট।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতা বলেছেন, তাদের চলমান আন্দোলনের মূল দাবিই হচ্ছে নতুন নির্বাচন। এ দাবিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সারা দেশে জনগণের সরাসরি সমর্থনে তুমুল আন্দোলন গড়ে উঠেছে। এই পর্যায়ে এসে এজেন্ডাবিহীন সংলাপের ফাঁদে তারা পা দেবে না। দলটির নেতারা মনে করছেন, সরকার ২০ দলীয় জোটের আন্দোলনকে নাশকতায় রূপ দেয়ার চেষ্টা করছে; কিন্তু তাতে কোনো লাভ হবে না। কারণ নাশকতার সাথে তারা জড়িত নয়, উল্টো বিভিন্ন স্থানে সরকারি দলের নেতাকর্মীদেরই নাশকতার কারণে হাতেনাতে ধরা হচ্ছে। শিগগিরই সঙ্কট উত্তরণের পথ বের করা না হলে পরিস্থিতি যেকোনো সময় আরো অবনতি হতে পারে এমন আশঙ্কার কথাও বলছেন বিএনপির নেতারা।
নাগরিক সমাজের সংলাপের উদ্যোগ প্রসঙ্গে বিএনপির এক নেতা গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেছেন, ‘নাগরিক সমাজ নতুন নির্বাচনের জন্যই সংলাপের উদ্যোগের কথা জানিয়েছে। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না। পরিস্থিতি আঁচ করে সরকারের মধ্যে বোধোদয় না হলে নাগরিক সমাজের উদ্যোগ চূড়ান্তভাবে কাজে নাও আসতে পারে।’
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের অবরোধ আজ ৩৬তম দিনে পড়েছে। ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধ এক দিনের জন্যও শিথিল করা হয়নি; বরং অবরোধ কর্মসূচি কঠোর রাখতে সারা দেশে লাগাতার হরতালও দিয়ে আসছে জোট। গত দুই সপ্তাহ ধরে সরকারি ছুটির দিন বাদে টানা হরতাল চলছে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলন দ্রুত একটি পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নানা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অবরোধের পাশাপাশি টানা হরতাল খুবই কার্যকর হচ্ছে বলে মনে করছে বিএনপির হাইকমান্ড। হরতাল শুক্র-শনিবারও চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কেউ কেউ। কর্মসূচি নির্ধারণে আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত নেতাদের পরামর্শ নিলেও ২০ দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়া এককভাবে সব েেত্র চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। যত দিন লাগে, নির্বাচনের দাবি আদায়ে অনড়ও রয়েছেন তিনি।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া নয়া দিগন্তকে দলের অবস্থান সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরে বলেছেন, দলের নেতাকর্মীরা সবাই ঐক্যবদ্ধ আছেন। যতণ না নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি মেনে না নেয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ অবরোধ-হরতাল চলবে।
দলের সিনিয়র নেতারা জানিয়েছেন, আন্দোলন প্রশ্নে বিএনপির ঐক্যে ফাটল ধরানোর নানামুখী চেষ্টা সত্ত্বেও সব কিছু পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে চলছে। সরকারের ‘দমন নীতির’ কারণে প্রকাশ্যে না এলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত সব নেতা কার্যকর ভূমিকা রেখে চলছেন। খালেদা জিয়া সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাদের আন্দোলনের মাঠে সক্রিয় রাখতে নিয়মিত তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। ২০ দলের শীর্ষ নেতাদের সাথেও কথা বলে নানা দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি।
বিএনপির শীর্ষপর্যায়ের বেশির ভাগ নেতাই বলেছেন, সরকার সরাসরি নির্বাচন নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব না দেয়া পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেই। লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সাফল্য আসবে বলেও মনে করছেন তারা।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, বর্তমান সঙ্কট উত্তরণে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। তিনি জানান, তাদের দাবি স্পষ্ট; নির্দলীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। সরকার যদি আনুষ্ঠানিকভাবে সব দলের অংশগ্রহণে দ্রুত নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে সংলাপে বসতে চায় তবেই তারা আন্দোলন স্থগিত করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবেন, অন্যথায় নয়।
জানা গেছে, এক মাস পার হয়ে গেলেও বিএনপির তৃণমূল পর্যায় থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারই পরামর্শ দেয়া হয়েছে। জেলা পর্যায়ের নেতারা কেন্দ্রকে জানিয়েছেন, ‘আন্দোলন একটি ছকে চলে এসেছে। এ অবস্থায় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’
চট্টগ্রাম বিএনপির নেতা মাহবুবুর রহমান শামীম নয়া দিগন্তকে বলেন, আন্দোলনে বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আর ঘরে ফেরার সুযোগ নেই। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ আছেন। এরই মধ্যে তাদের আন্দোলনের কারণে সরকার দেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। মহাসড়কে রাতে বাস চলাচল ঘোষণা দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতা বলেছেন, তাদের চলমান আন্দোলনের মূল দাবিই হচ্ছে নতুন নির্বাচন। এ দাবিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সারা দেশে জনগণের সরাসরি সমর্থনে তুমুল আন্দোলন গড়ে উঠেছে। এই পর্যায়ে এসে এজেন্ডাবিহীন সংলাপের ফাঁদে তারা পা দেবে না। দলটির নেতারা মনে করছেন, সরকার ২০ দলীয় জোটের আন্দোলনকে নাশকতায় রূপ দেয়ার চেষ্টা করছে; কিন্তু তাতে কোনো লাভ হবে না। কারণ নাশকতার সাথে তারা জড়িত নয়, উল্টো বিভিন্ন স্থানে সরকারি দলের নেতাকর্মীদেরই নাশকতার কারণে হাতেনাতে ধরা হচ্ছে। শিগগিরই সঙ্কট উত্তরণের পথ বের করা না হলে পরিস্থিতি যেকোনো সময় আরো অবনতি হতে পারে এমন আশঙ্কার কথাও বলছেন বিএনপির নেতারা।
নাগরিক সমাজের সংলাপের উদ্যোগ প্রসঙ্গে বিএনপির এক নেতা গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেছেন, ‘নাগরিক সমাজ নতুন নির্বাচনের জন্যই সংলাপের উদ্যোগের কথা জানিয়েছে। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না। পরিস্থিতি আঁচ করে সরকারের মধ্যে বোধোদয় না হলে নাগরিক সমাজের উদ্যোগ চূড়ান্তভাবে কাজে নাও আসতে পারে।’
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের অবরোধ আজ ৩৬তম দিনে পড়েছে। ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধ এক দিনের জন্যও শিথিল করা হয়নি; বরং অবরোধ কর্মসূচি কঠোর রাখতে সারা দেশে লাগাতার হরতালও দিয়ে আসছে জোট। গত দুই সপ্তাহ ধরে সরকারি ছুটির দিন বাদে টানা হরতাল চলছে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলন দ্রুত একটি পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নানা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অবরোধের পাশাপাশি টানা হরতাল খুবই কার্যকর হচ্ছে বলে মনে করছে বিএনপির হাইকমান্ড। হরতাল শুক্র-শনিবারও চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কেউ কেউ। কর্মসূচি নির্ধারণে আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত নেতাদের পরামর্শ নিলেও ২০ দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়া এককভাবে সব েেত্র চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। যত দিন লাগে, নির্বাচনের দাবি আদায়ে অনড়ও রয়েছেন তিনি।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া নয়া দিগন্তকে দলের অবস্থান সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরে বলেছেন, দলের নেতাকর্মীরা সবাই ঐক্যবদ্ধ আছেন। যতণ না নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি মেনে না নেয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ অবরোধ-হরতাল চলবে।
দলের সিনিয়র নেতারা জানিয়েছেন, আন্দোলন প্রশ্নে বিএনপির ঐক্যে ফাটল ধরানোর নানামুখী চেষ্টা সত্ত্বেও সব কিছু পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে চলছে। সরকারের ‘দমন নীতির’ কারণে প্রকাশ্যে না এলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত সব নেতা কার্যকর ভূমিকা রেখে চলছেন। খালেদা জিয়া সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাদের আন্দোলনের মাঠে সক্রিয় রাখতে নিয়মিত তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। ২০ দলের শীর্ষ নেতাদের সাথেও কথা বলে নানা দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি।
বিএনপির শীর্ষপর্যায়ের বেশির ভাগ নেতাই বলেছেন, সরকার সরাসরি নির্বাচন নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব না দেয়া পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেই। লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সাফল্য আসবে বলেও মনে করছেন তারা।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, বর্তমান সঙ্কট উত্তরণে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। তিনি জানান, তাদের দাবি স্পষ্ট; নির্দলীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। সরকার যদি আনুষ্ঠানিকভাবে সব দলের অংশগ্রহণে দ্রুত নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে সংলাপে বসতে চায় তবেই তারা আন্দোলন স্থগিত করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবেন, অন্যথায় নয়।
জানা গেছে, এক মাস পার হয়ে গেলেও বিএনপির তৃণমূল পর্যায় থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারই পরামর্শ দেয়া হয়েছে। জেলা পর্যায়ের নেতারা কেন্দ্রকে জানিয়েছেন, ‘আন্দোলন একটি ছকে চলে এসেছে। এ অবস্থায় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’
চট্টগ্রাম বিএনপির নেতা মাহবুবুর রহমান শামীম নয়া দিগন্তকে বলেন, আন্দোলনে বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আর ঘরে ফেরার সুযোগ নেই। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ আছেন। এরই মধ্যে তাদের আন্দোলনের কারণে সরকার দেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। মহাসড়কে রাতে বাস চলাচল ঘোষণা দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।
No comments