পরিবহন সঙ্কটে উত্তরাঞ্চলে সরবরাহ ব্যাহত- নগরবাড়ী ও বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে সারের স্তূপ by শফিউল আযম
( নগরবাড়ীতে জাহাজ থেকে সার নামিয়ে যমুনার পাড়ে স্তূপ করে রাখা হচ্ছে : নয়া দিগন্ত) টানা
অবরোধ আর হরতালে নগরবাড়ী ও বাঘাবাড়ী নৌবন্দর ঘাট থেকে উত্তরাঞ্চলের ১৬
জেলায় রাসায়নিক সার সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সেখানে বিদেশ
থেকে আমদানি করা হাজার হাজার টন রাসায়নিক সার আকাশের নিচে স্তূপাকারে রাখা
হচ্ছে। এতে সারের গুণগতমান নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি আমদানিকারক, ডিলার ও
বন্দরের হাজার হাজার শ্রমিক বিপাকে পড়েছেন। সময় মতো সার সরবরাহ না হওয়ায়
উত্তরাঞ্চলে বোরো আবাদ ও ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করেছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।
নগরবাড়ী নৌবন্দর ঘাটের সার আমদানিকারক এশা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আরিফ হোসেন জানান, বিসিআইসি আমদানিকারকদের মাধ্যমে চীন, মিসর, সৌদি আরব, তিউনিসিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরিয়া, ডিএপি, এমওপি ও টিএসপি সার আমদানি করে। পরে বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মাধ্যমে রাসায়নিক সার লাইটারেজ জাহাজে করে নগরবাড়ী ও বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে আনা হয়। পরে সেখান থেকে সড়ক পথে উত্তরাঞ্চলের বিসিআইসির পাবনা-সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী, বগুড়া, সান্তাহার, জয়পুরহাট, রাজশাহী, নাটোর, রংপুর, লালমনিহাটের মহেন্দ্রনগর, দিনাজপুর, পার্বতীপুর চরকাট, ঠাকুরগাঁও, বিরামপুর ও গাইবান্ধায় বাফার গুদামে ওই সার পৌঁছে দেয়া হয়।
কিন্তু অবরোধ ও হরতালে পরিবহন সঙ্কটে সার সরবরাহ অনেক কমে গেছে। এ দিকে নৌপথে যোগাযোগ স্বাভাবিক থাকায় প্রতিদিনই সারবাহী জাহাজ বাঘাবাড়ী ও নগরবাড়ী নৌবন্দরে ভিড়ছে। ফলে খোলা আকাশের নিচে সারের স্তূপ বেড়েই চলেছে। নওগাঁ থেকে সার নিতে আসা ট্রাকচালক আবুল হোসেন বলেন, পুলিশি নিরাপত্তায় বগুড়া পর্যন্ত এসেছি। পরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নগরবাড়ী বন্দর পর্যন্ত আসতেই পথে পিকেটারদের হামলার শিকার হতে হয়েছে। তবুও এসেছি জীবন-জীবিকার তাগিদে।
জানা যায়, স্বাভাবিক অবস্থায় পাবনার নগরবাড়ী ও সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নৌবন্দর ঘাট থেকে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ ট্রাক সার উত্তরাঞ্চলে ১৪টি বাফার গুদামে সরবরাহ করা হতো। বর্তমানে সেখানে ৪০ থেকে ৫০ ট্রাক সার সরবরাহ হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন অঞ্চলে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি হচ্ছে।
নগরবাড়ী নৌবন্দরের রুহুল আমিন জানান, অবরোধ ও হরতালের কারণে বন্দরে সার নিতে ট্রাক কম আসায় শ্রমিকদের কাজ কমে গেছে। নগরবাড়ী সার আমদানিকারক সমিতির যুগ্মসম্পাদক বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী গোলাম মোস্তফা জানান, অবরোধের কারণে ব্যবসায়বাণিজ্যে ব্যাঘাত ঘটছে। ট্রাক চালকেরা ঝুঁকি নিয়ে সার পরিবহনে রাজি হচ্ছে না। ফলে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। এতে সার পরিবহনে খরচ বেশি পড়ায় ঠিকাদারেরা বিভিন্ন বাফার গুদামে সার পাঠাতে আগ্রহী হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
রাসায়নিক সার আমদানিকারক রতন সাহা নয়া দিগন্ত প্রতিনিধিকে জানান, সময় মতো সরবরাহ করতে না পারায় প্রায় দুই লাখ বস্তা সার খোলা আকাশের নিচে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। নগরবাড়ী বন্দরে একটি বাফার গুদাম থাকলে সার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকত না। অবরোধের কারণে পর্যাপ্ত সার নগরবাড়ী ও বাঘাবাড়ী বন্দরে মজুদ পড়ে রয়েছে। এতে চলতি বোরো মওসুমে কৃষিপ্রধান উত্তরাঞ্চলে সার সরবরাহ নির্বিঘ্ন না করতে পারলে কৃষি ক্ষেত্রের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) বগুড়া অফিসের লিয়াজোঁ অফিসার রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সার সরবরাহ মনিটরিং অফিসার শামীম আক্তার জানান, নগরবাড়ী ও বাঘাবাড়ী নৌবন্দর ঘাটে খোলা আকাশের নিচে বিপুল সার মজুদ আছে। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলের ১৪টি বাফার গুদামে ফেব্রুয়ারি মাসের চাহিদার দ্বিগুণ সার মজুদ আছে। ফলে চলতি বোরো মওসুমে এ অঞ্চলে ইউরিয়া সার সঙ্কটের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।
নগরবাড়ী নৌবন্দর ঘাটের সার আমদানিকারক এশা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আরিফ হোসেন জানান, বিসিআইসি আমদানিকারকদের মাধ্যমে চীন, মিসর, সৌদি আরব, তিউনিসিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরিয়া, ডিএপি, এমওপি ও টিএসপি সার আমদানি করে। পরে বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মাধ্যমে রাসায়নিক সার লাইটারেজ জাহাজে করে নগরবাড়ী ও বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে আনা হয়। পরে সেখান থেকে সড়ক পথে উত্তরাঞ্চলের বিসিআইসির পাবনা-সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী, বগুড়া, সান্তাহার, জয়পুরহাট, রাজশাহী, নাটোর, রংপুর, লালমনিহাটের মহেন্দ্রনগর, দিনাজপুর, পার্বতীপুর চরকাট, ঠাকুরগাঁও, বিরামপুর ও গাইবান্ধায় বাফার গুদামে ওই সার পৌঁছে দেয়া হয়।
কিন্তু অবরোধ ও হরতালে পরিবহন সঙ্কটে সার সরবরাহ অনেক কমে গেছে। এ দিকে নৌপথে যোগাযোগ স্বাভাবিক থাকায় প্রতিদিনই সারবাহী জাহাজ বাঘাবাড়ী ও নগরবাড়ী নৌবন্দরে ভিড়ছে। ফলে খোলা আকাশের নিচে সারের স্তূপ বেড়েই চলেছে। নওগাঁ থেকে সার নিতে আসা ট্রাকচালক আবুল হোসেন বলেন, পুলিশি নিরাপত্তায় বগুড়া পর্যন্ত এসেছি। পরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নগরবাড়ী বন্দর পর্যন্ত আসতেই পথে পিকেটারদের হামলার শিকার হতে হয়েছে। তবুও এসেছি জীবন-জীবিকার তাগিদে।
জানা যায়, স্বাভাবিক অবস্থায় পাবনার নগরবাড়ী ও সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নৌবন্দর ঘাট থেকে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ ট্রাক সার উত্তরাঞ্চলে ১৪টি বাফার গুদামে সরবরাহ করা হতো। বর্তমানে সেখানে ৪০ থেকে ৫০ ট্রাক সার সরবরাহ হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন অঞ্চলে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি হচ্ছে।
নগরবাড়ী নৌবন্দরের রুহুল আমিন জানান, অবরোধ ও হরতালের কারণে বন্দরে সার নিতে ট্রাক কম আসায় শ্রমিকদের কাজ কমে গেছে। নগরবাড়ী সার আমদানিকারক সমিতির যুগ্মসম্পাদক বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী গোলাম মোস্তফা জানান, অবরোধের কারণে ব্যবসায়বাণিজ্যে ব্যাঘাত ঘটছে। ট্রাক চালকেরা ঝুঁকি নিয়ে সার পরিবহনে রাজি হচ্ছে না। ফলে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। এতে সার পরিবহনে খরচ বেশি পড়ায় ঠিকাদারেরা বিভিন্ন বাফার গুদামে সার পাঠাতে আগ্রহী হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
রাসায়নিক সার আমদানিকারক রতন সাহা নয়া দিগন্ত প্রতিনিধিকে জানান, সময় মতো সরবরাহ করতে না পারায় প্রায় দুই লাখ বস্তা সার খোলা আকাশের নিচে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। নগরবাড়ী বন্দরে একটি বাফার গুদাম থাকলে সার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকত না। অবরোধের কারণে পর্যাপ্ত সার নগরবাড়ী ও বাঘাবাড়ী বন্দরে মজুদ পড়ে রয়েছে। এতে চলতি বোরো মওসুমে কৃষিপ্রধান উত্তরাঞ্চলে সার সরবরাহ নির্বিঘ্ন না করতে পারলে কৃষি ক্ষেত্রের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) বগুড়া অফিসের লিয়াজোঁ অফিসার রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সার সরবরাহ মনিটরিং অফিসার শামীম আক্তার জানান, নগরবাড়ী ও বাঘাবাড়ী নৌবন্দর ঘাটে খোলা আকাশের নিচে বিপুল সার মজুদ আছে। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলের ১৪টি বাফার গুদামে ফেব্রুয়ারি মাসের চাহিদার দ্বিগুণ সার মজুদ আছে। ফলে চলতি বোরো মওসুমে এ অঞ্চলে ইউরিয়া সার সঙ্কটের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।
No comments