পরিবারের সঙ্গে খুশি গ্রামবাসী
হুইলচেয়ারে চলাফেরা করেন মজিবর রহমান |
জয়পুরহাট
সদর উপজেলার মহুরুল গ্রামের মজিবর রহমান দেবদাস (৮৫) ১৯৭১ সালে
স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে অমানসিক নির্যাতনের
শিকার হন। ধীর ধীরে তিনি স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। দীর্ঘ ৪৪ বছর পর তিনি
একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন। এ খবরে পরিবার ও গ্রামবাসী আনন্দিত হলেও
স্মৃতিশক্তি হারানো মজিবর কিছুই বুঝতে পারছেন না।
গত সোমবার মহুরুল গ্রামে গিয়ে মজিবরের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি ১৯৩০ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। তিনি ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। মজিবরের ভাতিজা শিক্ষক মাহফুজার রহমান জানান, মজিবর স্থানীয় খঞ্জনপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৪৬ সালে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর বগুড়ার আজিজুল হক কলেজে পড়ালেখা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৫২ সালে গণিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে এমএ ডিগ্রি লাভ করার পর বগুড়ার আজিজুল হক কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের করাচির নাজিমাবাদ কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরে তিনি ১৯৬৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত গণিতে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। নাজিমাবাদ কলেজের চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে ১৯৬৭ সালের ১৬ অক্টোবর তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। সর্বশেষ তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি একটি চিঠি লিখেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। এ ছাড়া তিনি ওই গণহত্যার প্রতিবাদে এফিডেভিটের মাধ্যমে নাম পরিবর্তন করে নিজের নামের শেষে ‘দেবদাস’ যুক্ত করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রশাসন জোহা হলে স্থাপন করা সেই সময়ের সেনাক্যাম্পে তাঁর ওই চিঠি পৌঁছে দেয়। ওই চিঠি নিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর এক ক্যাপ্টেন ১৯৭১ সালের ১২ মে তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। দীর্ঘদিন পাকিস্তানি বাহিনী তাদের ক্যাম্পে তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।
ছোট ভাই মোখলেছার রহমানের স্ত্রী রোকেয়া বেগম জানান, নির্যাতনের পর মজিবর ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। তবে প্রতিদিন সকালে তাঁকে দু-তিনটি জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকা পড়ার জন্য দিতে হয়। এ জন্য বাসায় নিয়মিত পত্রিকা রাখা হয়েছে। স্বাধীনতার পর কেউ মজিবরের খবর রাখেননি। তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৮ সালের ২ আগস্ট মজিবরকে সংবর্ধনা দেয়।
জেলা জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক জানান, অধ্যাপক মজিবরকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক কান পেতে রই নমে একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছেন, যা বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিতও হয়েছে।
গত সোমবার মহুরুল গ্রামে গিয়ে মজিবরের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি ১৯৩০ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। তিনি ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। মজিবরের ভাতিজা শিক্ষক মাহফুজার রহমান জানান, মজিবর স্থানীয় খঞ্জনপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৪৬ সালে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর বগুড়ার আজিজুল হক কলেজে পড়ালেখা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৫২ সালে গণিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে এমএ ডিগ্রি লাভ করার পর বগুড়ার আজিজুল হক কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের করাচির নাজিমাবাদ কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরে তিনি ১৯৬৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত গণিতে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। নাজিমাবাদ কলেজের চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে ১৯৬৭ সালের ১৬ অক্টোবর তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। সর্বশেষ তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি একটি চিঠি লিখেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। এ ছাড়া তিনি ওই গণহত্যার প্রতিবাদে এফিডেভিটের মাধ্যমে নাম পরিবর্তন করে নিজের নামের শেষে ‘দেবদাস’ যুক্ত করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রশাসন জোহা হলে স্থাপন করা সেই সময়ের সেনাক্যাম্পে তাঁর ওই চিঠি পৌঁছে দেয়। ওই চিঠি নিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর এক ক্যাপ্টেন ১৯৭১ সালের ১২ মে তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। দীর্ঘদিন পাকিস্তানি বাহিনী তাদের ক্যাম্পে তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।
ছোট ভাই মোখলেছার রহমানের স্ত্রী রোকেয়া বেগম জানান, নির্যাতনের পর মজিবর ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। তবে প্রতিদিন সকালে তাঁকে দু-তিনটি জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকা পড়ার জন্য দিতে হয়। এ জন্য বাসায় নিয়মিত পত্রিকা রাখা হয়েছে। স্বাধীনতার পর কেউ মজিবরের খবর রাখেননি। তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৮ সালের ২ আগস্ট মজিবরকে সংবর্ধনা দেয়।
জেলা জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক জানান, অধ্যাপক মজিবরকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক কান পেতে রই নমে একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছেন, যা বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিতও হয়েছে।
No comments