সহিংসতা বন্ধে সব পক্ষকে ভূমিকা রাখার আহ্বান
দেশের
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশেষ করে সহিংসতাকে ‘সত্যি মর্মান্তিক’ উল্লেখ
করে এটি বন্ধে সব পক্ষকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকাস্থ মার্কিন
রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট। একই সঙ্গে জনগণের গণতান্ত্রিক
অধিকার চর্চার পূর্ণাঙ্গ সুযোগ দেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গতকাল
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর উপস্থিত
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রদূত এ আহ্বান জানান। ওদিকে, ঢাকায়
নবনিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনোট-পিয়েরে লারামিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। তিনিও সহিসংতা বন্ধের তাগিদ দিয়েছেন। এদিকে
বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে
জানিয়ে বার্নিকাট বলেন, দেশব্যাপী যে সহিংস পরিস্থিতি চলছে তা সত্যি
মর্মান্তিক। আমরা এ নিয়ে আলোচনা করেছি। এ সহিংসতা বন্ধে প্রত্যেকের ভূমিকা
রাখতে হবে। বাংলাদেশে ফলপ্রসূ গণতন্ত্র রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,
গণতন্ত্রের মধ্যেই সব মতপার্থক্য নিরসনের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের সহিংস
রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সমপ্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে আহ্বান জানিয়েছে
তার পুনরুল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ওয়াশিংটনের সেই আহ্বান আমরা স্মরণ
করতে পারি। সেখানে সহিংসতা থামাতে সব পক্ষকে ভূমিকা রাখার আহ্বান করা
হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের গণতন্ত্র চর্চার ঐতিহ্য মতে এখানে গণতন্ত্র
চর্চার সুযোগ উন্মুক্ত করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের
বিদ্যমান সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বার্নিকাট বলেন, এ সম্পর্ক এখন
অনেক বেশি বিস্তৃত ও গভীর। এ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।
এটি দুই দেশের জনগণের সাধরণ চাওয়া বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গত ৪ঠা
ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্টের কাছে পরিচয়পত্র পেশের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে
রাষ্ট্রদূত হিসাবে কাজ শুরু করেছেন বার্নিকাট। পরদিন পররাষ্ট্র সচিব এবং গত
সোমবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। গতকাল
মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ৭৫ মিনিট স্থায়ী হয়। তারা দ্বিপক্ষীয়
স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায়
রাষ্ট্রদূত ‘অত্যন্ত আনন্দিত’ বলে জানান।
রাত ৮টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের বিষয়ে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাটকে আজ (গতকাল) সকালে তার কার্যালয়ে স্বাগত জানান। বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় তাকে আন্তরিক অভিনন্দনও জানান। মন্ত্রীর সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকে ঢাকা-ওয়াশিংটন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক ও সহনশীল চরিত্রের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বলেছেন চরিত্রের এই দিকগুলো বাংলাদেশের মানুষের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অতীতের অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে গভীর ও ব্যাপক উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সফলতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, বহু ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গী বিশ্ব পরিমণ্ডলে সমাদৃত। তিনি সহিংস জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকারের প্রশংসা করেছেন। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে উন্নয়নের শত্রু আখ্যা দিয়ে মার্কিন দূত জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানান। তিনি তার দায়িত্বকালে দু’দেশের বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়াও তিনি তৈরী পোশাক শিল্পের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় সহায়তার নিশ্চয়তা দেন। মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে জানান, ১৯৭১ সালের ২৬শে এপ্রিল বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে নিউ ইয়র্কস্থ পাকিস্তান কনস্যুলেট ত্যাগ করেন। সেদিনে বাংলাদেশের পক্ষে নিজের আনুগত্য প্রকাশ করার প্রসঙ্গ তোলে মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, রেডিও-টিভি, সংবাদপত্র, সুশীল সমাজ, বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী তিনি মুজিব নগরে অবস্থিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিজ এ নিবন্ধন লাভ করেছিলেন। ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক বিগত ৪৩ বছরে যথেষ্ট পরিণত হয়েছে’ মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে দু’দেশের সমন্বিত প্রচেষ্টার কারণে নতুন অনেক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বলেন, এখন সমাজের সর্বস্তরে নারীরা তাদের সামর্থ্যের প্রমাণ রাখছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং তার সাফল্য কামনা করেন। বৈঠককালে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভরশীল: কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনোট-পিয়েরে লারামি গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে সহিংসতা বন্ধের ব্যাপারে তাগিদ দেন। পশ্চিমা ওই দূত মনে করেন যে কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন দেশটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করে। গত ২রা ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্টের কাছে পরিচয়পত্র পেশের মধ্য দিয়ে ঢাকায় দূতিয়ালি মিশন শুরু হওয়া লারামি গতকাল দিনের শুরুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন। তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে কথা বলেন। হাইকমিশনার লারামি বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও সব উন্নয়ন প্রকল্প এগিয়ে নেয়ার তাগিদ দেন। তবে ওই উন্নয়ন প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং সহিংসতা বন্ধ হওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি। আগামী দিনে বিশেষ করে তার সময়কালে বাংলাদেশের সঙ্গে কানাডা সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আশাও ব্যক্ত করেন নতুন দায়িত্ব নেয়া হাইকমিশনার। এদিকে সন্ধ্যায় কানাডার দূতের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- হাইকমিশনার লারামিকে তার কার্যালয়ে স্বাগত জানিয়েছেন মন্ত্রী। সেখানে আলাপকালে কানাডীয় হাইকমিশনার বাংলাদেশের মিডিয়াকে অত্যন্ত তৎপর বলে অভিহিত করে বলেন যে, বাংলাদেশে বাক-স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে নিবিড় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের প্রসঙ্গ এনে বলেন যে, দু’দেশের মধ্যে যে অংশীদারিত্ব গড়ে উঠেছে তাতে দু’দেশই সমানভাবে লাভবান হচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাাধীনতার অব্যবহিত পরপরই কানাডার স্বীকৃতি প্রদানের কথা উল্লেখ করলে হাইকমিশনার বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে তার সামপ্রতিক সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারী উন্নয়নে ও নারীদের অধিকার অর্জনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। কানাডীয় হাইকমিশনার নারী উন্নয়ন, শিশু স্বাস্থ্য ও প্রাথমিক শিক্ষাখাতে কানাডীয় প্রকল্প সাহায্য অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন যে, কানাডীয় পার্লামেন্ট বাংলাদেশে বিনিয়োগে বরাবরই আগ্রহী। কারণ বাংলাদেশ বৈদেশিক সাহায্য যথেষ্ট কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম। তিনি বাল্যবিবাহ রোধেও একত্রে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কানাডীয় হাইকমিশনারকে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে সর্বাত্মক সহায়তার নিশ্চয়তা দেন এবং তার সাফল্য কামনা করেন।
রাত ৮টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের বিষয়ে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাটকে আজ (গতকাল) সকালে তার কার্যালয়ে স্বাগত জানান। বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় তাকে আন্তরিক অভিনন্দনও জানান। মন্ত্রীর সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকে ঢাকা-ওয়াশিংটন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক ও সহনশীল চরিত্রের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বলেছেন চরিত্রের এই দিকগুলো বাংলাদেশের মানুষের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অতীতের অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে গভীর ও ব্যাপক উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সফলতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, বহু ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গী বিশ্ব পরিমণ্ডলে সমাদৃত। তিনি সহিংস জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকারের প্রশংসা করেছেন। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে উন্নয়নের শত্রু আখ্যা দিয়ে মার্কিন দূত জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানান। তিনি তার দায়িত্বকালে দু’দেশের বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়াও তিনি তৈরী পোশাক শিল্পের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় সহায়তার নিশ্চয়তা দেন। মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে জানান, ১৯৭১ সালের ২৬শে এপ্রিল বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে নিউ ইয়র্কস্থ পাকিস্তান কনস্যুলেট ত্যাগ করেন। সেদিনে বাংলাদেশের পক্ষে নিজের আনুগত্য প্রকাশ করার প্রসঙ্গ তোলে মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, রেডিও-টিভি, সংবাদপত্র, সুশীল সমাজ, বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী তিনি মুজিব নগরে অবস্থিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিজ এ নিবন্ধন লাভ করেছিলেন। ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক বিগত ৪৩ বছরে যথেষ্ট পরিণত হয়েছে’ মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে দু’দেশের সমন্বিত প্রচেষ্টার কারণে নতুন অনেক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বলেন, এখন সমাজের সর্বস্তরে নারীরা তাদের সামর্থ্যের প্রমাণ রাখছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং তার সাফল্য কামনা করেন। বৈঠককালে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভরশীল: কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনোট-পিয়েরে লারামি গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে সহিংসতা বন্ধের ব্যাপারে তাগিদ দেন। পশ্চিমা ওই দূত মনে করেন যে কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন দেশটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করে। গত ২রা ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্টের কাছে পরিচয়পত্র পেশের মধ্য দিয়ে ঢাকায় দূতিয়ালি মিশন শুরু হওয়া লারামি গতকাল দিনের শুরুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন। তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে কথা বলেন। হাইকমিশনার লারামি বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও সব উন্নয়ন প্রকল্প এগিয়ে নেয়ার তাগিদ দেন। তবে ওই উন্নয়ন প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং সহিংসতা বন্ধ হওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি। আগামী দিনে বিশেষ করে তার সময়কালে বাংলাদেশের সঙ্গে কানাডা সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আশাও ব্যক্ত করেন নতুন দায়িত্ব নেয়া হাইকমিশনার। এদিকে সন্ধ্যায় কানাডার দূতের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- হাইকমিশনার লারামিকে তার কার্যালয়ে স্বাগত জানিয়েছেন মন্ত্রী। সেখানে আলাপকালে কানাডীয় হাইকমিশনার বাংলাদেশের মিডিয়াকে অত্যন্ত তৎপর বলে অভিহিত করে বলেন যে, বাংলাদেশে বাক-স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে নিবিড় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের প্রসঙ্গ এনে বলেন যে, দু’দেশের মধ্যে যে অংশীদারিত্ব গড়ে উঠেছে তাতে দু’দেশই সমানভাবে লাভবান হচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাাধীনতার অব্যবহিত পরপরই কানাডার স্বীকৃতি প্রদানের কথা উল্লেখ করলে হাইকমিশনার বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে তার সামপ্রতিক সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারী উন্নয়নে ও নারীদের অধিকার অর্জনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। কানাডীয় হাইকমিশনার নারী উন্নয়ন, শিশু স্বাস্থ্য ও প্রাথমিক শিক্ষাখাতে কানাডীয় প্রকল্প সাহায্য অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন যে, কানাডীয় পার্লামেন্ট বাংলাদেশে বিনিয়োগে বরাবরই আগ্রহী। কারণ বাংলাদেশ বৈদেশিক সাহায্য যথেষ্ট কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম। তিনি বাল্যবিবাহ রোধেও একত্রে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কানাডীয় হাইকমিশনারকে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে সর্বাত্মক সহায়তার নিশ্চয়তা দেন এবং তার সাফল্য কামনা করেন।
No comments