শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা, ছাত্রীনিবাসে ফাটল, ছাড়ার নির্দেশ
(ছাত্রীনিবাসে ফাটল ধরায় বন্ধ ঘোষণার পর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা গতকাল মালামালসহ হল ত্যাগ করছেন l প্রথম আলো) বরিশাল
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ তিন সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কলেজের একটি ছাত্রীনিবাস বসবাসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার
দুপুরে একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা ডেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কলেজ বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি গতকাল বিকেলের মধ্যে ছাত্রীনিবাস খালি করারও নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে দুর্ভোগে পড়েন দূরের শিক্ষার্থীরা। অবরোধ-হরতালের মধ্যে তাঁরা কীভাবে বাড়ি যাবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় অনেকে। কেউ কেউ নগরে থাকা আত্মীয়স্বজন বা সহপাঠীদের বাসায় উঠেছেন।
কলেজ অধ্যক্ষ ভাস্কর সাহা বলেন, পুরোনো ছাত্রীনিবাসের পেছনে নতুন একটি ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এটির কাস্টিং পাইল স্থাপন শুরু হলে পুরোনো ভবনটির পলেস্তারা খসে পড়তে শুরু করে। ফাটল দেখা দেয় বিমে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাঁদের নেমে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তিন সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে কলেজ। কলেজ সূত্র জানায়, তিন মাস আগে প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে ছাত্রীদের জন্য একটি পাঁচতলা ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ৬৫ ফুটের পিলার স্থাপন শুরু হলে পাশের ভবনে ব্যাপক কম্পন সৃষ্টি হয়। ওই কম্পনের ফলে পুরোনো পাঁচতলা ছাত্রীনিবাসটির পলেস্তারা খসে পড়তে শুরু করে। ভবনের বিভিন্ন স্থানে দেখা দেয় ফাটল। এতে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন ছাত্রীরা। বিষয়টি নিয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রকৌশলী দিয়ে ভবনটি পরীক্ষা করা হয়। তখন ভবনটিতে ঝুঁকি নেই বলায় শিক্ষার্থীরা বসবাস করতে থাকেন। গতকাল আবারও একটি বিমে ফাটল দেখা দেয়। এরপর কর্তৃপক্ষ জরুরি বৈঠক ডেকে ছাত্রীনিবাস খালি করা ও কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন।
কলেজ থেকে সদ্য পাস করা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতা মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল না। নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর এটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধের মধ্যে ছাত্রীনিবাস ত্যাগ করতে বলায় বাইরের শিক্ষার্থীরা বিপদে পড়েছেন। তাঁদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করে কলেজ বন্ধ ঘোষণা করলে ভালো হতো।
ছাত্রীনিবাসের শিক্ষার্থীরা বেলা দুইটা থেকে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেন। তবে পঞ্চম বর্ষের চূড়ান্ত পর্বের ৭৫ জন শিক্ষার্থীকে অন্য একটি ভবনে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কলেজ বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি গতকাল বিকেলের মধ্যে ছাত্রীনিবাস খালি করারও নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে দুর্ভোগে পড়েন দূরের শিক্ষার্থীরা। অবরোধ-হরতালের মধ্যে তাঁরা কীভাবে বাড়ি যাবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় অনেকে। কেউ কেউ নগরে থাকা আত্মীয়স্বজন বা সহপাঠীদের বাসায় উঠেছেন।
কলেজ অধ্যক্ষ ভাস্কর সাহা বলেন, পুরোনো ছাত্রীনিবাসের পেছনে নতুন একটি ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এটির কাস্টিং পাইল স্থাপন শুরু হলে পুরোনো ভবনটির পলেস্তারা খসে পড়তে শুরু করে। ফাটল দেখা দেয় বিমে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাঁদের নেমে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তিন সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে কলেজ। কলেজ সূত্র জানায়, তিন মাস আগে প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে ছাত্রীদের জন্য একটি পাঁচতলা ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ৬৫ ফুটের পিলার স্থাপন শুরু হলে পাশের ভবনে ব্যাপক কম্পন সৃষ্টি হয়। ওই কম্পনের ফলে পুরোনো পাঁচতলা ছাত্রীনিবাসটির পলেস্তারা খসে পড়তে শুরু করে। ভবনের বিভিন্ন স্থানে দেখা দেয় ফাটল। এতে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন ছাত্রীরা। বিষয়টি নিয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রকৌশলী দিয়ে ভবনটি পরীক্ষা করা হয়। তখন ভবনটিতে ঝুঁকি নেই বলায় শিক্ষার্থীরা বসবাস করতে থাকেন। গতকাল আবারও একটি বিমে ফাটল দেখা দেয়। এরপর কর্তৃপক্ষ জরুরি বৈঠক ডেকে ছাত্রীনিবাস খালি করা ও কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন।
কলেজ থেকে সদ্য পাস করা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতা মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল না। নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর এটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধের মধ্যে ছাত্রীনিবাস ত্যাগ করতে বলায় বাইরের শিক্ষার্থীরা বিপদে পড়েছেন। তাঁদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করে কলেজ বন্ধ ঘোষণা করলে ভালো হতো।
ছাত্রীনিবাসের শিক্ষার্থীরা বেলা দুইটা থেকে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেন। তবে পঞ্চম বর্ষের চূড়ান্ত পর্বের ৭৫ জন শিক্ষার্থীকে অন্য একটি ভবনে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
No comments