১০ শিশুসহ ৩২ রোগীর মৃত্যুতে তোলপাড় ওসমানী মেডিক্যালে আতঙ্ক by ওয়েছ খছরু
সিলেট
ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একই দিনে ১০ শিশুসহ ৩২ রোগীর মৃত্যুর
ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এত রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় জন্ম
দিয়েছে নানা প্রশ্নের। সবচেয়ে বেশি আলোড়িত হচ্ছে ১০ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা। আর
এই শিশুগুলোর মৃত্যু হয়েছে মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে, অর্থাৎ- সোমবার
সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেরাই জানিয়েছে,
জানুয়ারির হিসাব মতে প্রতিদিন গড়ে ১৪ জন রোগী মারা গেছেন। ওই মাসে মোট ৪৩৩
জন রোগী মারা যায়। চলতি মাসেও গড় মৃত্যুর তেমনটি হেরফের হয়নি। রোববারও
হাসপাতালে ১০ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট
কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হাসপাতালে ছুটে গেছেন
আওয়ামী লীগ নেতারাও। এরপরও রোগী মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় গতকাল অনেক
রোগীই হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান। ওসমানী হাসপাতালে একদিনে এতো রোগীর মৃত্যুর
ঘটনায় চিকিৎসার অবহেলাকেই দায়ী করেছেন রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা। গতকাল
হাসপাতাল ঘুরেও জানা গেছে এর সত্যতা। সকাল ১০ টায় ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতালে ২২ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীদের স্বজনরা মানবজমিন-এর কাছে
সোমবার রাতের বর্ণনা দিয়েছেন। রাত তখন আড়াইটা। সুনামগঞ্জ সদরের সাড়ে তিন
বছরের এক শিশু ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এমন সময় রোগীর
স্বজন এক মহিলা দেখলেন শিশুটি নড়ছে না। তিনি উচ্চস্বরে ডাকাডাকি করলেও
নার্স এলেন না। এক সময় তিনি নিজেই এসে নার্সকে ঘুম থেকে জাগানোর চেষ্টা
করলেন। এমন সময় নার্স ও ওয়ার্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ওই মহিলাকে মারধর
শুরু করেন। একপর্যায়ে ওয়ার্ডের বাইরে এনে মহিলাকে আটকে রাখা হয়। ওদিকে, এ
অবস্থা চলার ফাঁকে মারা যায় সাড়ে ৩ তিন বছরের শিশুটি। ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন
রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন, শিশু ওয়ার্ডে রাত ৩টা ও আড়াইটায় দুই দফা ঝামেলা
হয়। কিন্তু প্রতিবারই হাসপাতালের নার্স ও ওয়ার্ডের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও
কর্মচারীরা রোগীর আত্মীয়স্বজনকে মারধর করেন। ২২ নং ওয়ার্ডে ডানপাশের বেডে
একসঙ্গে চিকিৎসাধীন ছিল চারটি শিশু। এর মধ্যে রাতেই তিনটি শিশু মারা যায়।
ওসমানী হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান,
হাসপাতালের তিনটি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোট ১০টি শিশু মারা গেছে। এর
মধ্যে ২২ নং ওয়ার্ডেই মারা গেছে ৭ টি শিশু। এছাড়া ২১ নম্বর ওয়ার্ডে আরও
তিনটি ও ২৩ নং সার্জারি ওয়ার্ডে আরও একটি শিশু মারা যায়। সন্ধ্যা ৭টা থেকে
সকাল ৭ টার মধ্যে এই শিশু রোগীর মৃত্যু ঘটে। মারা যাওয়া শিশুর মধ্যে চারটি
শিশু নবজাতক বলে দাবি করেছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক আবদুস সালাম। তিনি
জানিয়েছেন, বাকি ৭ টি শিশুর মধ্যে একটি সার্জারি ওয়ার্ডে ছিল। অন্য ৫ টি
শিশু অপুষ্টি, শ্বাসকষ্টসহ নানা কারণে মারা গেছে। তিনি জানান, প্রতিদিন
হাসপাতালে ২ থেকে ৩টি শিশু মারা যায়। আর গতকাল হয়তো একটু বেশি শিশু মারা
গেছে। তবে, এতে চিকিৎসার অবহেলায় হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। মৃত শিশুরা হলো,
সিলেটের গোয়াইনঘাটের সায়মা (দেড় বছর), জকিগঞ্জের দশগ্রামের আকাশ (৭দিন),
নগরীর শেখঘাটের নিলুমার নবজাতক মেয়ে, শাহ্পরাণের আসমা ও সন্ধ্যা রাণীর
নবজাতক মেয়ে, সুনামগঞ্জ সদরের তাজরিয়া (সাড়ে তিন বছর), মেহেদী (আড়াই মাস),
ছাতকের শাফরাজ (৩ বছর), বিশ্বম্ভরপুরের নাদিনা (৬ মাস), হবিগঞ্জের ইয়াসমিন
(৩ দিন)। শিশু মারা যাওয়ার পর ভোররাতেই তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।
সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে এতো রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় শুরু
হয়। মৃত শিশুদের কয়েকজন স্বজনের অভিযোগ, রাত ১০টার পর শিশু ওয়ার্ডে কোন
চিকিৎসককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। শিশুদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তারা
নার্সদেরও ডেকে আনতে পারেননি। ফলে একের পর এক শিশু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
হাসপাতালে মারা যাওয়া এক শিশুর খালা রেখা রাণী মানবজমিনকে বলেন, রাত ১০টার
পর তার বোনের মেয়ে ছটফট শুরু করলে তারা ওয়ার্ডে ডাক্তার খুঁজে পাননি।
শিশুটিকে দেখে যাওয়ার জন্য নার্সদের পায়ে ধরেন। কিন্তু তাৎক্ষণিক নার্সরা
আসেননি। রাতে চিকিৎসক ও নার্স কোন চিকিৎসা সেবা বা ওষুধ না দেয়ায় সকালে
শিশুটি মারা যায়। এতো রোগীর মুত্যুর ঘটনায় রাতভর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের
সামনে কান্নার রোল পড়ে। ঘণ্টা পরপর শিশু মারা যাওয়ার খবর বাইরে আসছিল। শিশু
মৃত্যু হলেও ডাক্তার কিংবা নার্সদের টনক নড়েনি। সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল
কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক আবদুস সালাম জানিয়েছেন, একরাতে শিশু ওয়ার্ডে
অধিক হারে শিশু মৃত্যুর ঘটনাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে
ধরে নিয়েছে। এ কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন বিলম্ব না করেই মেডিসিন
বিভাগের প্রধান প্রফেসর ঈসমাইল হোসেন পাটওয়ারীকে প্রধান করে তিন সদস্যের
একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। এই তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে তাদের কাজ শুরু
করেছে। যদি তদন্তে কারও বিরুদ্ধে দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে হাসপাতাল
কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল
কলেজ হাসপাতালে ১০ শিশু ছাড়াও আরও ২২ জন রোগীর মৃত্যুর হয়েছে। এরই মধ্যে ৯
জন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে, ৫ জন ব্রেইন স্ট্রোক, লেবার ওয়ার্ডে ২ জন, একজন
ক্যান্সার, দুইজন সড়ক দুর্ঘটনা, একজন সংঘর্ষসহ আরও বিভিন্ন ঘটনায় এদের
মৃত্যুর হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এসব মৃত্যুর ঘটনা অনেকটা
স্বাভাবিক। তাদের মতে, যেহেতু ওসমানী হাসপাতাল হচ্ছে চিকিৎসার শেষ
আশ্রয়স্থল। এ কারণে মুমূর্ষু রোগীরা এখানে আসেন। কেউ কেউ আসেন মৃত
অবস্থায়ও। গতকাল মারা যাওয়া ৩২ জনের মধ্যে একজন মারা যাওয়ার পর হাসপাতালে
আসে। পরবর্তীতে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তার মৃত্যু নিশ্চিত হয়। হাসপাতালের
পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুস সবুর জানিয়েছেন, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতালে গতকালও ১৮০০ রোগী ভর্তি ছিল। এই হাসপাতাল হচ্ছে ৫০০ শয্যা
বিশিষ্ট। তবে, ৯০০ জন রোগীর খাদ্য ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। ধারণ
ক্ষমতার বেশি রোগী বহন করছে এই হাসপাতাল। তিনি তথ্য উপস্থাপন করে বলেন,
সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গত জানুয়ারি মাসে মোট ৪৩৩ জন রোগী
মারা গেছে। এতে দেখা গেছে প্রতিদিন গড়ে ১৪ জন রোগী মারা গেছে। চলতি মাসের
হিসাবও অনেকটা এ রকম। তবে, সোমবার রাতে একটু অধিকহারে রোগী মারা গেছে। তিনি
দাবি করেন, আপাত দৃষ্টিতে রোগী মৃত্যুর বিষয়টি স্বাভাবিক বলে মনে করা
হচ্ছে। এরপরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পর
পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর
ঘটনায় রাতভর বিভিন্ন ওয়ার্ডে উত্তেজনা চললেও সকালের দিকে পরিস্থিতি
স্বাভাবিক হয়ে এসেছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মারা যাওয়া রোগীদের আগেই
অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করেন। এ কারণে সকাল ১০টার মধ্যে বেশির ভাগ
স্বজনই মৃতদের নিয়ে বাড়ি চলে যান। আর ময়নাতদন্তের জন্য দুর্ঘটনায় মারা
যাওয়া রোগীদের রাখা হয়। এদিকে, সকাল হতেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে। সকাল ১০টায় ২১, ২২ ও ২৩ নং ওয়ার্ড ঘুরে দেখা
গেছে, তিনটি ওয়ার্ডে ডাক্তার ও নার্সরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। প্রতিটি বেডে
বেডে রয়েছে নার্স। দু’টি বেডের পর পর ডাক্তারদের অবস্থান। এরই মধ্যে
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুস সবুর ও উপ-পরিচালক আবদুল
সালাম সিনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে তিনটি ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। তারা নিজেরাও
রোগীদের সেবা দিতে যান। হাসপাতালের উপ-পরিচালক জানান, ঠাণ্ডার মওসুম চলছে। এ
কারণে শিশু রোগীর সংখ্যা খুব বেশি। গতকালও তিনটি ওয়ার্ডে ৭০ জন শিশু
চিকিৎসাধীন ছিল। শিশুরা বেশির ভাগই শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিল।
এছাড়া তিনটি ওয়ার্ডের ইনকিউভেটর ছিল অসুস্থ শিশু রোগীদের ঠাসা। তিনি বলেন,
শীতের কারণে হার্ট ও ব্রেইন রোগে স্ট্রোক হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। একই
অবস্থা লেবার ওয়ার্ডেও। এদিকে, এক দিনে ৩২জন রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় সকালে
হাসপাতালজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালে ভর্তি হতে আসা অনেক রোগীই চলে
গেছেন অন্যত্র। কেউ কেউ আবার সিট কেটেও চলে গেছেন। শিশুদের নিয়ে আসা
অভিভাবকরাই অন্য হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে চলে গেছেন বেশি। তারা জানান,
আতঙ্কের কারণেই হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। এই আতঙ্কময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক
রাখতে সকালে হাসপাতাল এলাকা পরিদর্শনে যান কোতোয়ালি থানার ওসি
আসাদুজ্জামান। তিনি যাওয়ার আগেই ৫ম তলার শিশু ওয়ার্ডে অধিক সংখ্যক পুলিশ
মোতায়েন করা হয়। ওদিকে, দুপুরে হাসপাতাল এলাকায় যান সিলেটের সাবেক মেয়র
বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, মহানগরের
যুগ্ম সম্পাদক আজহার উদ্দিন জাহাঙ্গীরসহ আওয়ামী লীগ নেতারা। এ সময় সিলেটের
সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান জানিয়েছেন, একদিনে ৩২ রোগীর মৃত্যুর
ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ ঘটনায় কেউ যাতে পরিস্থিতি ঘোলাটে না করতে সে বিষয়টি আওয়ামীলীগ
পর্যবেক্ষণ করছে। এর বাইরে এখানে আতঙ্কময় পরিস্থিতি কেটে গেছে বলে মন্তব্য
করেন তিনি। সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী জানান, হাসপাতাল
কর্তৃপক্ষ বলেছে স্বাভাবিক মৃত্যু। পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে সেজন্য
আমরা এসেছি। তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের সাধ্য অনুযায়ী আপ্রাণ
চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
কেন এই পরিস্থিতি: সামপ্রতিক সময়ে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান সূচকের নিচে চলে এসেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ড, করোনারি ওয়ার্ড, লেবার ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ওই ওয়ার্ডগুলোতে ডাক্তার ও নার্সদের অবহেলা উল্লেখযোগ্য। ডাক্তার ও নার্সদের অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে প্রতিনিয়তই হাসপাতালে বাগ্বিতণ্ডা ও মারামারি হচ্ছে। সমপ্রতি হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। গত দুই মাসে দালালদের হাতেই প্রতারিত হয়েছেন শতাধিক রোগী। এসব রোগীর স্বজনরা যতবারই প্রতিবাদ করার উদ্যোগ নিয়েছেন, ততবারই তারা আইনি জটিলতায় ভুগেছেন। তবে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতালের পরিচালক। তিনি বলেন, তার কাছে অভিযোগ এলেই তিনি প্রতিকারের ব্যবস্থা নিচ্ছেন। কাউকে কাউকে আইনের আওতায়ও নিয়ে আসছেন বলে জানান।
সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বজনদের কান্না -নিজস্ব ছবি
কেন এই পরিস্থিতি: সামপ্রতিক সময়ে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান সূচকের নিচে চলে এসেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ড, করোনারি ওয়ার্ড, লেবার ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ওই ওয়ার্ডগুলোতে ডাক্তার ও নার্সদের অবহেলা উল্লেখযোগ্য। ডাক্তার ও নার্সদের অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে প্রতিনিয়তই হাসপাতালে বাগ্বিতণ্ডা ও মারামারি হচ্ছে। সমপ্রতি হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। গত দুই মাসে দালালদের হাতেই প্রতারিত হয়েছেন শতাধিক রোগী। এসব রোগীর স্বজনরা যতবারই প্রতিবাদ করার উদ্যোগ নিয়েছেন, ততবারই তারা আইনি জটিলতায় ভুগেছেন। তবে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতালের পরিচালক। তিনি বলেন, তার কাছে অভিযোগ এলেই তিনি প্রতিকারের ব্যবস্থা নিচ্ছেন। কাউকে কাউকে আইনের আওতায়ও নিয়ে আসছেন বলে জানান।
সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বজনদের কান্না -নিজস্ব ছবি
No comments