মাসে ৮০০ রিয়াল বেতন ধার্য করে চুক্তি স্বাক্ষর
যাবতীয়
ব্যয় বাদে ন্যূনতম মাসিক ৮শ’ রিয়াল বেতন ধার্য করে সৌদি আরবে কর্মী
পাঠানোর বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। গতকাল রাজধানীর ইস্কাটনে
সন্ধ্যা ৭টায় এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও
বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ইফতেখার হায়দার সৌদি আরবের পক্ষে
দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের উপমন্ত্রী আহমেদ
এফ. আল-ফাহিদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এছাড়া গতকাল দিনভর ব্যস্ত সময় কাটান
রোববার দুপুর ১২টায় ঢাকায় আসা ১৯ সদস্যের সৌদি আরবের প্রতিনিধি দলটি।
চুক্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের কর্মীদের যথাযথ নিরাপত্তা দেবে
সৌদি সরকার। এছাড়া মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য রোধ করতে সরকারিভাবে
নিয়ন্ত্রণ করা হবে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চুক্তিতে হাউস সার্ভিস
ওয়ার্কার হিসেবে ১২টি ক্যাটাগরি করা হয়েছে। তার মধ্যে শুধু একটি ক্যাটাগরি
অর্থাৎ গৃহকর্মীর বেতন নির্ধারণ হয়েছে। যার বেতন ধরা হয়েছে ৮০০ রিয়াল
অর্থাৎ বাংলাদেশী টাকায় ১৬ হাজার টাকা। তবে তার থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসা ব্যয়
বহন করবেন সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তা। এছাড়া কর্মীর কাজের দক্ষতা অনুযায়ী বেতন
বাড়তে পারে বলেও চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্য ১১টি ক্যাটাগরির বেতন
এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। এর আগে সৌদি আরবে কর্মী নেয়ার প্রক্রিয়া ঠিক করতে
সোমবার সকালে রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে সফররত সৌদি আরবের শ্রম
মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের উপমন্ত্রী আহমেদ এফ. আল-ফাহিদের
নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি বৈঠকে মিলিত হয়। এরপর উভয় দেশের টেকনিক্যাল কমিটির
সঙ্গেও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বায়রা-সানারকম চুক্তি স্বাক্ষর: একই বেতন নির্ধারণ করে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা) এবং সৌদি আরবে জনশক্তি আমদানিকারকদের একমাত্র সংগঠন সৌদি ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট কমিটি (সানারকম) এর মধ্যে আরও একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বায়রা সভাপতি মো. আবুল বাশার চুক্তি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শ্রমিকদের ভিসা, যাতায়াত এবং লেভি খরচ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বহন করবে বলেও জানান তিনি। পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ থেকে প্রায় দু’লাখ গৃহকর্মী ও ড্রাইভার সৌদি আরবে কাজ পাবেন বলে জানিয়েছে সৌদি রিক্রুটিং এজেন্সি (সানারকম)। তবে বায়রা সূত্র জানায়, দেন দরবার করে সৌদি প্রতিনিধিরা শেষ পর্যন্ত ৮০০ রিয়ালে সম্মত হয়েছে।
বাংলাদেশী কর্মীদের নিরাপদ কর্মপরিবেশের আশ্বাস: বাংলাদেশী শ্রমিকদের সুরক্ষা ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে সৌদি আরব। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠককালে সৌদি শ্রম ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপমন্ত্রী ড. আহমেদ আল-ফাহিদ এ আশ্বাস দেন। গতকাল দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আধাঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সৌদি উপমন্ত্রী অত্যন্ত সহজ উপায়ে বাংলাদেশী শ্রমিক নিয়োগের চেষ্টা অব্যহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বাংলাদেশী শ্রমিকরা দেশের মর্যাদা ও সুনাম রক্ষা করে কাজ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সৌদিতে বাংলাদেশী শ্রমিকদের অবস্থা দেখার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সফরের আমন্ত্রণও জানান আল-ফাহিদ। সাক্ষাৎকালে সৌদি উপমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকদের সুরক্ষা ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে তার সরকার সজাগ থাকবে। বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য দীর্ঘদিন পর পুনরায় সৌদি শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ায় বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি উপমন্ত্রীর মাধ্যমে সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান। সাধারণ শ্রমিক ছাড়াও বাংলাদেশে ব্যাপকসংখ্যক চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, তথ্য প্রযুক্তিবিদ, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টসহ বিভিন্ন রকমের দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ শ্রেণীর জনবল রয়েছে। এরা শুধু দেশে নয় বরং পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার দেশসমূহ, কোরিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করছে বলে মাহমুদ আলী সৌদি প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন এবং বলেন যে, এসব দক্ষ শ্রম শক্তি সৌদি আরবের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এছাড়াও বাংলাদেশ হতে ওষুধসহ উন্নতমানের বিভিন্ন পণ্য সৌদি আরবে রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। এছাড়া সৌদি আরবের প্রতিনিধি দলটি গতকাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং এসবি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) অফিস পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, সৌদি আরব বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ শ্রমবাজার। দেশটিতে ২০ লাখের বেশি বাংলাদেশী কর্মরত রয়েছেন। ২০০৮ সালে বাংলাদেশী শ্রমিক নেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল সৌদি আরব।
বায়রা-সানারকম চুক্তি স্বাক্ষর: একই বেতন নির্ধারণ করে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা) এবং সৌদি আরবে জনশক্তি আমদানিকারকদের একমাত্র সংগঠন সৌদি ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট কমিটি (সানারকম) এর মধ্যে আরও একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বায়রা সভাপতি মো. আবুল বাশার চুক্তি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শ্রমিকদের ভিসা, যাতায়াত এবং লেভি খরচ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বহন করবে বলেও জানান তিনি। পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ থেকে প্রায় দু’লাখ গৃহকর্মী ও ড্রাইভার সৌদি আরবে কাজ পাবেন বলে জানিয়েছে সৌদি রিক্রুটিং এজেন্সি (সানারকম)। তবে বায়রা সূত্র জানায়, দেন দরবার করে সৌদি প্রতিনিধিরা শেষ পর্যন্ত ৮০০ রিয়ালে সম্মত হয়েছে।
বাংলাদেশী কর্মীদের নিরাপদ কর্মপরিবেশের আশ্বাস: বাংলাদেশী শ্রমিকদের সুরক্ষা ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে সৌদি আরব। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠককালে সৌদি শ্রম ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপমন্ত্রী ড. আহমেদ আল-ফাহিদ এ আশ্বাস দেন। গতকাল দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আধাঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সৌদি উপমন্ত্রী অত্যন্ত সহজ উপায়ে বাংলাদেশী শ্রমিক নিয়োগের চেষ্টা অব্যহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বাংলাদেশী শ্রমিকরা দেশের মর্যাদা ও সুনাম রক্ষা করে কাজ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সৌদিতে বাংলাদেশী শ্রমিকদের অবস্থা দেখার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সফরের আমন্ত্রণও জানান আল-ফাহিদ। সাক্ষাৎকালে সৌদি উপমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকদের সুরক্ষা ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে তার সরকার সজাগ থাকবে। বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য দীর্ঘদিন পর পুনরায় সৌদি শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ায় বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি উপমন্ত্রীর মাধ্যমে সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান। সাধারণ শ্রমিক ছাড়াও বাংলাদেশে ব্যাপকসংখ্যক চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, তথ্য প্রযুক্তিবিদ, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টসহ বিভিন্ন রকমের দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ শ্রেণীর জনবল রয়েছে। এরা শুধু দেশে নয় বরং পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার দেশসমূহ, কোরিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করছে বলে মাহমুদ আলী সৌদি প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন এবং বলেন যে, এসব দক্ষ শ্রম শক্তি সৌদি আরবের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এছাড়াও বাংলাদেশ হতে ওষুধসহ উন্নতমানের বিভিন্ন পণ্য সৌদি আরবে রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। এছাড়া সৌদি আরবের প্রতিনিধি দলটি গতকাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং এসবি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) অফিস পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, সৌদি আরব বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ শ্রমবাজার। দেশটিতে ২০ লাখের বেশি বাংলাদেশী কর্মরত রয়েছেন। ২০০৮ সালে বাংলাদেশী শ্রমিক নেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল সৌদি আরব।
No comments