যুক্তরাষ্ট্রকে পুতিনের হুশিয়ারি
ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের কড়া হুশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন। ইউক্রেন সংকটের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে দায়ী করে তিনি তা সমাধানের জন্য জার্মানি ও ফ্রান্সের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করার কথাও জানিয়েছেন। মিসর সফরে যাওয়ার আগে রোববার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আল-আহরামকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো মতামত না নিয়ে ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর নাক গলানোর পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে আমরা সতর্ক করছি। পুতিন বলেন, পশ্চিমা দেশ তাদের সামরিক সংগঠন ন্যাটোর আওতা বাড়াতে রাশিয়া ও এর মিত্রদের মধ্যে বিশৃংখলার বীজ রোপণ করছে। ইউক্রেন সংকটের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোয় দায়ী।
তারা কিয়েভের উগ্র জাতীয়তাবাদীদের উসকে দিচ্ছে। রাশিয়া ইউক্রেনে সেনা পাঠিয়ে বিদ্রোহীদের সাহায্য করছে পশ্চিমা দেশের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, রাশিয়া তার মিত্র দেশকে কখনোই সমস্যায় ফেলে না। ক্রেমলিনের এ ব্যাপারে কোনো হাত নেই। ইতিমধ্যে জার্মানি ও ফ্রান্সের শান্তি প্রস্তাবে রাজি হয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়া। গত শুক্রবার ফ্রান্স ও জার্মান নেতারা মস্কোয় ওই প্রস্তাব নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। ইউক্রেনে চলমান অস্থিরতা ও সহিংসতার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিনকে একজন স্বৈরাচারী শাসক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি যুক্তরাজ্য বলছে, একমাত্র রাজনৈতিক সমাধানই পারে পূর্ব ইউক্রেনের রক্তক্ষয়ী অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি টানতে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড বলেছেন, ‘রুশ বাহিনীকে হারাতে পারবে না ইউক্রেনের জনতা। এটা কোনো বাস্তব সমাধান নয়। অবশ্যই এর একটা রাজনৈতিক সমাধান থাকতে হবে।’ রুশ প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন প্রসঙ্গে ফিলিপ বলেন, ‘এই মানুষটা আন্তর্জাতিক এক সীমান্তে তার সৈন্যদল পাঠিয়েছেন। অন্য একটি দেশের টেরিটরিকে অধিগ্রহণ করেছেন। এই একবিংশ শতকে তিনি যেন বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ের এক স্বৈরশাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। কোনো সভ্য জাতি এমন আচরণ করতে পারে না।’ পূর্ব ইউক্রেনের দখল ও নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে কিয়েভের সেনবাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা লড়াই করছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড বলেছেন, ‘রুশ বাহিনীকে হারাতে পারবে না ইউক্রেনের জনতা। এটা কোনো বাস্তব সমাধান নয়। অবশ্যই এর একটা রাজনৈতিক সমাধান থাকতে হবে।’ রুশ প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন প্রসঙ্গে ফিলিপ বলেন, ‘এই মানুষটা আন্তর্জাতিক এক সীমান্তে তার সৈন্যদল পাঠিয়েছেন। অন্য একটি দেশের টেরিটরিকে অধিগ্রহণ করেছেন। এই একবিংশ শতকে তিনি যেন বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ের এক স্বৈরশাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। কোনো সভ্য জাতি এমন আচরণ করতে পারে না।’ পূর্ব ইউক্রেনের দখল ও নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে কিয়েভের সেনবাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা লড়াই করছে।
No comments