ধারদেনায় সংসার চলছে দিনমজুরদের, অবরোধ-হরতালে কাজ কমেছে
(অবরোধ–হরতালে দিনের পর দিন কর্মহীন থাকছেন রাজধানীর দিনমজুরেরা। মিরপুর–১ নম্বরে গতকালের ছবি l প্রথম আলো) দৈনিক
মজুরিতে ইট-বালু তোলার কাজ করেন মো. রাজু ভূঁইয়া। পরিবার নিয়ে থাকেন
মিরপুরের গুদারাঘাটে। চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ ১০ হাজার টাকার মতো। অথচ
গত নয় দিনে কাজ পেয়েছেন তিন দিন। আয় এক হাজার টাকা।
রাজু জানালেন, পুরো জানুয়ারি মাসেই চলেছে এমন অবস্থা। এখন কিছু জমানো আর ধার করা টাকায় চলছেন। স্বাভাবিক সময়ে দৈনিক ৪০০-৪৫০ টাকা মজুরিতে মাসে অন্তত ২৫ দিন কাজ পেতেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাতটা থেকে দশটা পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর, মোহাম্মদপুর টাউন হল এবং যাত্রাবাড়ী ঘুরে রাজুর মতো এমন অন্তত ৪০ জন দিনমজুরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টানা ৩৬ দিনের অবরোধ-হরতালে তাঁরা দিনের পর দিন কর্মহীন থাকছেন। অন্য কাজে পারদর্শী না হওয়ায় দিনমজুরিই তাঁদের আয়ের একমাত্র পথ। কিন্তু আয়-রোজগার কমে যাওয়ায় বর্তমানে ধার-দেনা করে চালাচ্ছেন সংসার। আর যাঁদের পরিবার ঢাকার বাইরে থাকে তাঁরা এখনো বাড়িতে সংসার খরচের টাকা পাঠাতে পারেননি।
মিরপুর-১ নম্বর মুক্তবাংলা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে ভোর সাড়ে ছয়টা থেকেই জড়ো হতে শুরু করেন আশপাশের এলাকার দিনমজুরেরা। দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে মাটি কাটেন, ইট-বালু তোলেন, কাঠ ও রঙের কাজ করেন এমন নানা ধরনের শ্রমিকেরা আসেন এখানে। গতকাল সকাল সাতটায় গিয়ে দেখা যায়, ৬০-৭০ জন দিনমজুর কাজ পাওয়ার আশায় অপেক্ষা করছেন।
টুকরি, কোদাল সামনে রেখে বসেছিলেন ইব্রাহিম। থাকেন মিরপুরের দিয়াবাড়িতে। পরিবার থাকে জামালপুরে। ইব্রাহিম বললেন, ‘আগের দুই দিন বইসা ছিলাম। কাজ না পাইয়া কাল (সোমবার) দেড় শ টাকা দিয়ে একজনের বাগান পরিষ্কার করছি। অন্য সময় ৪০০ টাকা রোজে কাজ করতাম।’
মিরপুর-১ নম্বরের এই দিনমজুর-সমাগমের জায়গাটিকে শ্রমিকেরা নিজেরা ডাকেন ‘মার্কেট’ বলে। দিনমজুরদের এই মার্কেটে কাজের আশায় এসেছেন ২৫-৩০ জন মহিলা শ্রমিকও। মুক্তবাংলা শপিং কমপ্লেক্সের সিঁড়ি, সামনের সড়ক বিভাজকের ওপর বসে কাজ পাওয়ার অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা।
মাটি টানার কাজ করেন নাজমা বেগম। তিনি একা থাকেন গাবতলীতে। সপ্তম শ্রেিণপড়ুয়া মেয়ে আর পঞ্চম শ্রেিণপড়ুয়া ছেলে থাকে কুড়িগ্রামে। প্রতি মাসে বাড়িতে দুই-তিন হাজার টাকা পাঠাতে হয়।
সকাল সোয়া আটটার দিকে মোহাম্মদপুর টাউন হল গভর্নমেন্ট মার্কেটের সামনে গিয়ে দেখা যায়, এখানেও দিনমজুরেরা জড়ো হয়ে আছেন। কারও কাছে রাজমিিস্ত্রর সরঞ্জাম, কারও কাছে চুনকাম করার চুন লাগানো বালতি-ব্রাশ। ১৫-১৬ জন কাঠমিিস্ত্র তাঁদের যন্ত্রের বাক্সের ওপর বসেছিলেন। কাঠমিিস্ত্র মো. ফোরকান থাকেন বেড়িবাঁধে আর পরিবারের চার সদস্য থাকে ভোলার লালমোহনে। তিন দিন ধরে কাজ পাচ্ছেন না তিনি।
রাজু জানালেন, পুরো জানুয়ারি মাসেই চলেছে এমন অবস্থা। এখন কিছু জমানো আর ধার করা টাকায় চলছেন। স্বাভাবিক সময়ে দৈনিক ৪০০-৪৫০ টাকা মজুরিতে মাসে অন্তত ২৫ দিন কাজ পেতেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাতটা থেকে দশটা পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর, মোহাম্মদপুর টাউন হল এবং যাত্রাবাড়ী ঘুরে রাজুর মতো এমন অন্তত ৪০ জন দিনমজুরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টানা ৩৬ দিনের অবরোধ-হরতালে তাঁরা দিনের পর দিন কর্মহীন থাকছেন। অন্য কাজে পারদর্শী না হওয়ায় দিনমজুরিই তাঁদের আয়ের একমাত্র পথ। কিন্তু আয়-রোজগার কমে যাওয়ায় বর্তমানে ধার-দেনা করে চালাচ্ছেন সংসার। আর যাঁদের পরিবার ঢাকার বাইরে থাকে তাঁরা এখনো বাড়িতে সংসার খরচের টাকা পাঠাতে পারেননি।
মিরপুর-১ নম্বর মুক্তবাংলা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে ভোর সাড়ে ছয়টা থেকেই জড়ো হতে শুরু করেন আশপাশের এলাকার দিনমজুরেরা। দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে মাটি কাটেন, ইট-বালু তোলেন, কাঠ ও রঙের কাজ করেন এমন নানা ধরনের শ্রমিকেরা আসেন এখানে। গতকাল সকাল সাতটায় গিয়ে দেখা যায়, ৬০-৭০ জন দিনমজুর কাজ পাওয়ার আশায় অপেক্ষা করছেন।
টুকরি, কোদাল সামনে রেখে বসেছিলেন ইব্রাহিম। থাকেন মিরপুরের দিয়াবাড়িতে। পরিবার থাকে জামালপুরে। ইব্রাহিম বললেন, ‘আগের দুই দিন বইসা ছিলাম। কাজ না পাইয়া কাল (সোমবার) দেড় শ টাকা দিয়ে একজনের বাগান পরিষ্কার করছি। অন্য সময় ৪০০ টাকা রোজে কাজ করতাম।’
মিরপুর-১ নম্বরের এই দিনমজুর-সমাগমের জায়গাটিকে শ্রমিকেরা নিজেরা ডাকেন ‘মার্কেট’ বলে। দিনমজুরদের এই মার্কেটে কাজের আশায় এসেছেন ২৫-৩০ জন মহিলা শ্রমিকও। মুক্তবাংলা শপিং কমপ্লেক্সের সিঁড়ি, সামনের সড়ক বিভাজকের ওপর বসে কাজ পাওয়ার অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা।
মাটি টানার কাজ করেন নাজমা বেগম। তিনি একা থাকেন গাবতলীতে। সপ্তম শ্রেিণপড়ুয়া মেয়ে আর পঞ্চম শ্রেিণপড়ুয়া ছেলে থাকে কুড়িগ্রামে। প্রতি মাসে বাড়িতে দুই-তিন হাজার টাকা পাঠাতে হয়।
সকাল সোয়া আটটার দিকে মোহাম্মদপুর টাউন হল গভর্নমেন্ট মার্কেটের সামনে গিয়ে দেখা যায়, এখানেও দিনমজুরেরা জড়ো হয়ে আছেন। কারও কাছে রাজমিিস্ত্রর সরঞ্জাম, কারও কাছে চুনকাম করার চুন লাগানো বালতি-ব্রাশ। ১৫-১৬ জন কাঠমিিস্ত্র তাঁদের যন্ত্রের বাক্সের ওপর বসেছিলেন। কাঠমিিস্ত্র মো. ফোরকান থাকেন বেড়িবাঁধে আর পরিবারের চার সদস্য থাকে ভোলার লালমোহনে। তিন দিন ধরে কাজ পাচ্ছেন না তিনি।
No comments