পেট্রলবোমা রহস্য- সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত
বিরোধী
২০ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে দেশে যানবাহনে
পেট্রলবোমা হামলায় বহু লোক হতাহত হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী,
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, গাজীপুর ও গাইবান্ধার তুলসীঘাটে যাত্রীবাহী বাসে
পেট্রলবোমা হামলায় নিরীহ লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এখন
আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই ভয়ঙ্কর পেট্রলবোমা হামলার সাথে কারা কিভাবে জড়িত, এর
কোনো সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। ক্ষমতাসীনেরা এসব হামলার সাথে বিরোধী রাজনৈতিক
দলের নেতাদের দায়ী করলেও বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকারের
এজেন্টরা এসব ঘটনা ঘটিয়ে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপাচ্ছে। বিরোধী দলের
আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।
মানুষের জীবনহানি ঘটে এমন হামলা নিয়ে দোষারোপের রাজনীতির কারণে প্রকৃত অপরাধীরা যেমন আড়ালে থেকে যাচ্ছে, তেমনি এর রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিরোধী দলকে দায়ী করে মন্ত্রী-এমপিদের প্রবল প্রচারণার মধ্যেও বিস্ময়কর কিছু খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। যেমন চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কার্যালয় থেকে বিপুল পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বোমা ও পেট্রলবোমাসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী আটকের খবর প্রকাশ হয়েছে। রাজধানীর কাছাকাছি রূপগঞ্জে বোমা বানানোর সময় ছাত্রলীগের একজন নেতা নিহত হয়েছে। এসব বোমা উদ্ধারের ঘটনা প্রমাণ করে সহিংসতার ঘটনার সাথে ক্ষমতাসীনেরাও জড়িত রয়েছেÑ জনমনে এমন ধারণা জন্ম নেয়া স্বাভাবিক। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই, যানবাহন ভাঙচুর ও আগুন দেয়ার সাথে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরাও জড়িত রয়েছে। কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও ক্ষমতাসীনদের নৈতিক কাজ হচ্ছে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু তাদের হাতে যখন বোমা পাওয়া যায়, তখন সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আরো বেড়ে যায়।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে একই ধরনের পেট্রলবোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। সে সময় বহু লোক হতাহত হয়েছে। এরপর এক বছরের বেশি সময় চলে গেলেও এসব হামলার একটি ঘটনারও সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। কে কিভাবে পেট্রলবোমা ছুড়েছে, তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। অথচ এসব ঘটনায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের মামলার আসামি করা হয়েছে। নিশ্চয়ই এরা নিজেরা গিয়ে এসব হামলার ঘটনা ঘটাননি। কিন্তু যারা সরাসরি জড়িত ছিল, তাদের কাউকে গ্রেফতার করা বা বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব হয়নি।
আমরা মনে করি, প্রাণঘাতী এসব পেট্রলবোমা হামলার ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সাথে জড়িত যেসব লোক পেট্রলবোমা বহন ও সংরক্ষণের সাথে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। দলবাজির ঊর্ধ্বে উঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এসব অপরাধের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার। না হলে এভাবে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে থাকবে। এসব ঘটনার দায় তাদেরও বহন করতে হবে।
মানুষের জীবনহানি ঘটে এমন হামলা নিয়ে দোষারোপের রাজনীতির কারণে প্রকৃত অপরাধীরা যেমন আড়ালে থেকে যাচ্ছে, তেমনি এর রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিরোধী দলকে দায়ী করে মন্ত্রী-এমপিদের প্রবল প্রচারণার মধ্যেও বিস্ময়কর কিছু খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। যেমন চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কার্যালয় থেকে বিপুল পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বোমা ও পেট্রলবোমাসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী আটকের খবর প্রকাশ হয়েছে। রাজধানীর কাছাকাছি রূপগঞ্জে বোমা বানানোর সময় ছাত্রলীগের একজন নেতা নিহত হয়েছে। এসব বোমা উদ্ধারের ঘটনা প্রমাণ করে সহিংসতার ঘটনার সাথে ক্ষমতাসীনেরাও জড়িত রয়েছেÑ জনমনে এমন ধারণা জন্ম নেয়া স্বাভাবিক। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই, যানবাহন ভাঙচুর ও আগুন দেয়ার সাথে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরাও জড়িত রয়েছে। কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও ক্ষমতাসীনদের নৈতিক কাজ হচ্ছে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু তাদের হাতে যখন বোমা পাওয়া যায়, তখন সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আরো বেড়ে যায়।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে একই ধরনের পেট্রলবোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। সে সময় বহু লোক হতাহত হয়েছে। এরপর এক বছরের বেশি সময় চলে গেলেও এসব হামলার একটি ঘটনারও সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। কে কিভাবে পেট্রলবোমা ছুড়েছে, তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। অথচ এসব ঘটনায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের মামলার আসামি করা হয়েছে। নিশ্চয়ই এরা নিজেরা গিয়ে এসব হামলার ঘটনা ঘটাননি। কিন্তু যারা সরাসরি জড়িত ছিল, তাদের কাউকে গ্রেফতার করা বা বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব হয়নি।
আমরা মনে করি, প্রাণঘাতী এসব পেট্রলবোমা হামলার ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সাথে জড়িত যেসব লোক পেট্রলবোমা বহন ও সংরক্ষণের সাথে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। দলবাজির ঊর্ধ্বে উঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এসব অপরাধের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার। না হলে এভাবে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে থাকবে। এসব ঘটনার দায় তাদেরও বহন করতে হবে।
No comments