স্মরণ : সাংবাদিক শেখ বেলালউদ্দীন
আজ সাংবাদিক শেখ বেলালউদ্দীনের শাহাদতবার্ষিকী। ১৯৫৭ সালের ৩ ডিসেম্বর খুলনা মহানগরীর রায়েরমহল এলাকার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। ১৯৭২ সালে তিনি খুলনা জিলা স্কুল থেকে এসএসসি পাস এবং খুলনা সরকারি বিএল কলেজ থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ গ্র্যাজুয়েশন করেন। স্কুলের ছাত্র থাকাকালেই ইসলামি আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯৯১ সালে দৈনিক সংগ্রামের খুলনা প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতা জগতে প্রবেশ করেন। পেশাগত জীবনে তিনি সাংবাদিকদের ট্রেড ইউনিয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। দুইবার সাধারণ সম্পাদক ও এবং দুইবার সভাপতি নির্বাচিত হন খুলনা মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের। সাংস্কৃতিক কার্যক্রমেও শেখ বেলালউদ্দীনের আগ্রহ ছিল প্রবল। তিনি জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ফুলকুঁড়ি আসরের খুলনা মহানগর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি খুলনা সংস্কৃতি কেন্দ্রের সভাপতি ছিলেন। খুলনা নেছারিয়া আলিয়া মাদরাসা পরিচালনা কমিটিরও সদস্য ছিলেন। সাংবাদিকতা পেশায় তিনি সততা ও দেশপ্রেমকে সব সময় প্রাধান্য দিতেন। সেই সাথে নবাগতদের পেশায় উন্নতি করার জন্য সহায়তা করার েেত্রও ছিলেন সদা আগ্রহী। তিনি সাংবাদিকদের পেশাগত উন্নতির সুযোগ সৃষ্টির জন্য খুলনায় কয়েকটি প্রশিণ কর্মশালার আয়োজনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। শেখ বেলাল একটি শোষণহীন ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন। মিষ্টি ব্যবহারের জন্য তিনি সবার খুব প্রিয় ছিলেন। ২০০৫ সালের ৫ ফেব্র“য়ারি সন্ধ্যার পর খুলনা প্রেস কাব চত্বরে দুর্বৃত্তদের বোমা হামলায় বেলালউদ্দীন মারাত্মকভাবে আহত হন। ১১ ফেব্র“য়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি শাহাদতের অমিয় সুধা পান করেন। বেলালউদ্দীন হত্যা মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। অথচ মামলার প্রধান অভিযুক্তরা বেকসুর খালাস পেয়েছে। পুলিশ তার প্রকৃত খুনিদের শনাক্ত করে সঠিকভাবে তদন্ত রিপোর্ট ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র দাখিলে ব্যর্থ হয় বলে বেলালউদ্দীনের আত্মীয়স্বজন ও সহকর্মী সাংবাদিকদের বিশ্বাস। তার জীবিত পিতামাতা প্রিয় সন্তান হত্যার সুষ্ঠু বিচারের জন্য আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোয়া করেন।
No comments