প্রেমিকাকে নিয়ে বাংলাদেশে শান্তিতে বসবাস করতে চেয়েছিল ভারতের গুড্ডু
প্রেমিকাকে নিয়ে বাংলাদেশে এসে শান্তিতে বসবাস করতে চেয়েছিল ভারতের এক প্রেমিক। এজন্য সে অন্য এক নারীকে খুন করেছে। তার আগেই তার প্রেমিকাকে পাঠিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশে। সঙ্গে দিয়েছে কিছু অর্থ, যাতে তার থাকা-খাওয়ার কোন সমস্যা না হয়। সীমান্তে দালালদের হাতে তুলে দিয়েছে অর্থ। তারাই এর বিনিময়ে ওই প্রেমিকাকে সীমান্ত গলিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশে। কিন্তু এরই মধ্যে খুন করার কারণে ওই প্রেমিকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে পুলিশ। সীমান্তে সতর্কতা দেয়া হয়েছে, যাতে সে পালিয়ে যেতে না পারে। গতকাল ভারতের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে এ খবর দেয়া হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, ওই প্রেমিক পুরুষের নাম অরবিন্দ গুপ্ত ওরফে গুড্ডু। সে গোরেগাঁও (পূর্ব) এলাকার বাসিন্দা। পেশায় মোবাইলের কারিগর। মঙ্গলবার সে মুম্বইয়ের মারভে রোডে রুস্তমজি টাওয়ারে হত্যা করে সাগুফতা খান নামে এক নারীকে। ৫ বছর ও ১১ বছর বয়সী দু’কন্যার সামনে তাকে হত্যা করে গুড্ডু। পুলিশের অপরাধ শাখার এক কর্মকর্তা বলেছেন, গ্রান্ট রোডের সানা খান (পরিবর্তিত নাম) নামে এক দেহপসারিণীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে গুড্ডুর। প্রতিদিন সানার বাসায় যেত গুড্ডু। কিন্তু ১৫ দিন আগে সে সানা খানকে পাঠিয়ে দেয় বাংলাদেশে। এ সময় নিজের মোবাইল ফোন দিয়ে দেয় সানাকে। বলে দেয়, দু’এক সপ্তাহের মধ্যে সেও পাড়ি জমাবে বাংলাদেশে। এখানে এসে সুখে-শান্তিতে বসবাস করবে দু’জন। ওদিকে অনুসন্ধানে আরও বেরিয়ে আসে তথ্য। তাতে বলা হয়, সাগুফতার স্বামী ব্যবসায়ী সনু ঝালম। প্রায় দেড় বছর আগে তাদের সম্পর্ক ভেঙে গেছে। তিনি এখন বসবাস করেন অস্ট্রেলিয়া। এরপর অবাধ প্রেমে মেতে ওঠে সাগুফতা। মৃত্যুর আগে কমপক্ষে তিনটি প্রেমের সম্পর্ক চলছিল তার। তার প্রেমিকের মধ্যে একজন কলকাতার। তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, সিরাজ খান নামে এক মালিকের মোবাইলের দোকানে কাজ করতো গুড্ডু। এই সিরাজ খানের সঙ্গে গত এক বছরেরও বেশি সময় সম্পর্ক চলছিল সাগুফতার। ফলে গুড্ডুকে দিয়ে সিরাজ নিয়মিত উপঢৌকন পাঠাতো সাগুফতার কাছে। মাঝে মাঝেই নতুন মোবাইল ফোন সেট পাঠাতো। এই মোবাইল ফোন দিতে গিয়েই সাগুফতার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে গুড্ডু। কিন্তু সাগুফতার সঙ্গে সে সংসার পাতার স্বপ্ন দেখেনি। ওদিকে সানা খানকে নিয়ে দেশের ভেতরে থাকলে সমস্যা হবে এই ভেবে সে খুন করে বসে সাগুফতাকে। তার আগেই সানা খানকে পাঠিয়ে দেয় বাংলাদেশে।
No comments