মিশেলকে দেয়া ব্রুনাইয়ের রানীর স্বর্ণালঙ্কার উপহার তালিকার শীর্ষে
বিদেশী নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে ওবামা প্রশাসন হাজার হাজার ডলারের উপহার সামগ্রী পেয়ে থাকেন। এ তালিকায় গত বছর শীর্ষে রয়েছে মিশেল ওবামাকে ব্রুনাইয়ের রানীর দেয়া উপহার। মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালে ব্রুনাইয়ের রানী মিশেল ওবামাকে ৭১ হাজার ৪৬৮ ডলার মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার উপহার দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে হলুদ নীলা ও হীরা খচিত ফুলের আকৃতির শ্বেতস্বর্ণের কানের দুল, আংটি ও হার। বারাক ওবামার পাওয়া সব থেকে ব্যয়বহুল উপহারের তুলনায় যা প্রায় সাত গুণ বেশি দামি। কাতারের রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে ওবামা স্বচ্ছ হলুদাভ বাদামি পাথরের একটি বাজপাখির ভাস্কর্য পেয়েছেন যার মূল্য ১০ হাজার ৪০০ ডলার। এছাড়াও ওবামা পেয়েছেন আরও মূল্যবান সব কূটনৈতিক উপহার সামগ্রী। এর মধ্যে রয়েছে আজারবাইজানের রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে ৬৫৬০ ডলার মূল্যের বড় একটি গালিচা। কাতারের আমিরের কাছ থেকে কাতার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব ও অবস্থান নির্দেশক সিলভারের বিশেষ মানচিত্র যেখানে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো খোদাই করে স্থাপন করা হয়েছে। এর মূল্য ৬৫০০ ডলার। তানজানিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে বাঁধাই করা জেব্রার চামড়া, একটি চিত্রকর্ম এবং একটি ভাস্কর্য যার মূল্য ৪০০০ ডলার। আর সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ৪০০০ ডলারের একটি সিংহাসন সদৃশ আসন। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় নীতিগত বিধান অনুযায়ী এসব কূটনৈতিক উপহার সামগ্রী সরকারি কোষাগারে হস্তান্তর করাটা বাধ্যতামূলক। তবে, উপহার গ্রহণকারী চাইলে জেনারেল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছ থেকে এগুলো কিনে রাখতে পারেন। এমনটা করে থাকেন কম নেতৃবৃন্দই। পরিসংখ্যানের তালিকা অনুযায়ী দু’জন মাত্র উপহার নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছিলেন। একজনক সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটন, অপরজন বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রী তেরেসা হেইঞ্জ কেরি। অং সান সু চি’র কাছ থেকে পাওয়া মণি-মুক্তা খচিত একটি হার এতটাই পছন্দ হয়েছিল হিলারির যে তিনি ৯৭০ ডলারের বিনিময়ে তা কিনে নিয়েছিলেন। ২০১২ সালে হিলারি তা পেয়েছিলেন। এ বছরের রিপোর্টে এটা স্থান পাওয়ার কারণ যারা এ তালিকা প্রস্তুত করে থাকেন তখন তাদের কাছে এ তথ্য ছিল না। আর তেরেসা ৪২৫ ডলারের বিনিময়ে কিনেছিলেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে পাওয়া রূপা ও প্রবালের অলঙ্কার সেট।
No comments