এশিয়ায় বাংলাদেশ সপ্তম
বিদ্যুৎ, সড়ক, রেল ও বন্দর- গুরুত্বপূর্ণ এ চার অবকাঠামো সূচকেই এশিয়ার আটটি প্রতিযোগী দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে। শেষের দিক থেকে দ্বিতীয়। সবচেয়ে দুুর্বল অবস্থান মিয়ানমারের। দেশটির অবস্থান অষ্টম। আর বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। বিশ্বব্যাংকের এ সংক্রান্ত জরিপ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বিনিয়োগ আকর্ষণ ও আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের গতি বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ বাকি ছয়টি দেশ হল- চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা।
বিশ্বব্যাংকের জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম হলেও উন্নত অবকাঠামোর আন্তর্জাতিক মূল্যায়নে বাংলাদেশের অবস্থান এখনও সপ্তম। সড়ক যোগাযোগ এবং বন্দরের সক্ষমতা ও আধুনিকায়ন পরিস্থিতি সূচকে ষষ্ঠ। আর রেল সংযোগের ক্ষেত্রে থাইল্যান্ডের সঙ্গে যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু মধ্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিনিয়োগ আকর্ষণ ও আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের গতি বাড়াতে এসব অবকাঠামো সূচকের ক্রমোন্নতি অপরিহার্য।
বিশ্বব্যাংকের মূল্যায়ন জরিপে সার্বিক অবকাঠামো সূচক বিবেচনায় আট দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে শ্রীলংকা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন। সার্বিক সূচকের অবস্থানে দেশটির মূল্যায়ন স্কোর ৪ দশমিক ৪। ৪ দশমিক ১ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাইল্যান্ড। চতুর্থ অবস্থানে থাকা ভারতের স্কোর ৩ দশমিক ৭। আর বাংলাদেশের স্কোর ২ দশমিক ৮।
সূত্রমতে, বিশ্বের ১৪৪টি দেশের অবকাঠামো পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে এ জরিপ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অবস্থান পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকে এগিয়ে থাকলেও পিছিয়ে রয়েছে অন্যতম প্রতিযোগী দেশ ভারত ও কম্বোডিয়া থেকে। সবচেয়ে সুবিধাজনক ও ভালো অবকাঠামোর অধিকারী দেশ চীন। এরপরই রয়েছে থাইল্যান্ডের অবস্থান।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এসব অবকাঠামো খাতে প্রত্যাশিত বিনিয়োগ না হওয়ায় আন্তর্জাতিক মূল্যায়নে এখনও পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। সড়ক, বন্দর, বিদ্যুৎ ও রেলসহ গুরুত্বপুর্ণ এসব খাতে বাংলাদেশের বিনিয়োগ মাত্র ৩ বিলিয়ন ডলার। যা জিডিপির মাত্র ২ শতাংশ। সম্প্রতি বিদ্যুতে যদিও উল্লেখযোগ্য হারে বিনিয়োগ বাড়ানো হচ্ছে। তবে অন্যান্য খাতে তেমন বাড়ছে না।
ড. জাহিদ মনে করেন, শীর্ষ অবকাঠামোর অধিকারী দেশগুলোর মানদণ্ড অর্জন করতে হলে বাংলাদেশকে আগামী ১০ বছরে অন্তত ৭ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার করে বিনিয়োগ করতে হবে। বিশেষ করে বড় প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ বলেন, বিদ্যুৎ, সড়ক, রেল ও বন্দর- এই চার গুরুত্বপূর্ণ খাতেই বাংলাদেশের ক্রমোন্নতি হচ্ছে। এটি দৃশ্যমানও। তবে এ উন্নতি আরও দ্রুত, মানসম্পন্ন ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার আওতায় হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, ক্রমোন্নতি সত্ত্বেও এখন এসব অবকাঠামো সূচকের ঘাটতি রয়ে গেছে। এ কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লেও চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ মিলছে না। এর ফলে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদনে যেতে পারছে না। আবার যারা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ক্যাপটিভ পাওয়ার ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে তাদের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম ফোর লেন হাইওয়ে, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-ময়মনসিংহ প্রভৃতি অর্থনৈতিক করিডোরের উন্নয়ন দ্রুত শেষ করার পাশাপাশি রেল ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের প্রতিও বিশেষ দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
বিদ্যুৎপ্রাপ্তির অবস্থা : একটি দেশের উন্নত অবকাঠামোর অন্যতম কাঁচামাল বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা ও চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ সক্ষমতা না থাকলে শিল্পায়ন বাড়বে না। উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবেন না। তাই বিশ্বব্যাংকের সার্বিক অবকাঠামো সূচকের প্রথম মাপকাঠি ধরা হয়েছে দেশগুলোর বিদ্যুপ্রাপ্তির পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে। প্রতিবেদনমতে, এশিয়ার এ আটটি দেশের মধ্যে বিদ্যুতে সবচেয়ে ভালো ও প্রথম অবস্থানে রয়েছে চীন। দেশটির স্কোর ৫ দশমিক ২। দ্বিতীয় অবস্থান থাইল্যান্ডের, তৃতীয় শ্রীলংকার, চতুর্থ অবস্থান ভারতের। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে কম্বোডিয়া, ষষ্ঠ মিয়ানমার ও সপ্তম অবস্থানে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে এশিয়ার এ দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে।
সড়ক যোগাযোগ : যে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা যত সমৃদ্ধ, সে দেশ তত বেশি উন্নত। বিনিয়োগ সূচকে এ অবকাঠামো খাতটিতে পিছিয়ে থাকার মানেই হচ্ছে সে দেশে এখনও শতভাগ বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরিতে ঘাটতি রয়ে গেছে। বিশ্বব্যাংকের দৃষ্টিতে এ ক্ষেত্রে শ্রীলংকাই সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। আর সবার পেছনে থাকা মিয়ানমারের চেয়ে সামান্য এগিয়ে বাংলাদেশ। এখানে চীন রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে আর থাইল্যান্ডের অবস্থান তৃতীয়। এ ক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তানের অবস্থান যৌথভাবে চতুর্থ এবং কম্বোডিয়ার অবস্থান পঞ্চম।
রেলওয়ে : এশিয়ার আট প্রতিযোগী দেশের মধ্যে অবকাঠামোর তৃতীয় গুরুত্বপূূূর্ণ সূচক রেল যোগাযোগ। বন্দর থেকে মালামাল পরিবহনে সবচেয়ে কম ব্যয়ে বেশি পণ্য পরিবহনের মাধ্যম রেল। বিশ্বব্যাংকের এ সংক্রান্ত জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অবস্থান থাইল্যান্ডের সঙ্গে যৌথভাবে চতুর্থ। চীন প্রথম, ভারত দ্বিতীয় এবং শ্রীলংকা তৃতীয়।
বন্দরের সক্ষমতা : আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সিংহভাগই হয়ে থাকে সমুদ্রপথে। এ ক্ষেত্রে আমদানি-রফতানির সব চালান বন্দরের মাধ্যমে খালাস হয়। মালামাল লোড-আনলোড এবং শুল্কায়নের বিষয়টি যত বেশি প্রযুক্তিগত উপায়ে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়, বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিতে ওই বন্দর তত বেশি উন্নত। বন্দরের সক্ষমতা বিচেনায় বিশ্বব্যাংকের এ সংক্রান্ত জরিপ প্রতিবেদনে সর্বোচ্চ সক্ষমতা অর্জনকারী দেশ চীন। এ ছাড়া প্রতিযোগী অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ডের অবস্থান দ্বিতীয়, পাকিস্তান তৃতীয়, শ্রীলংকা চতুর্থ, ভারত পঞ্চম, বাংলাদেশ ষষ্ঠ, কম্বোডিয়া সপ্তম এবং মিয়ানমারের অবস্থান অষ্টম।
বিশ্বব্যাংকের জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম হলেও উন্নত অবকাঠামোর আন্তর্জাতিক মূল্যায়নে বাংলাদেশের অবস্থান এখনও সপ্তম। সড়ক যোগাযোগ এবং বন্দরের সক্ষমতা ও আধুনিকায়ন পরিস্থিতি সূচকে ষষ্ঠ। আর রেল সংযোগের ক্ষেত্রে থাইল্যান্ডের সঙ্গে যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু মধ্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিনিয়োগ আকর্ষণ ও আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের গতি বাড়াতে এসব অবকাঠামো সূচকের ক্রমোন্নতি অপরিহার্য।
বিশ্বব্যাংকের মূল্যায়ন জরিপে সার্বিক অবকাঠামো সূচক বিবেচনায় আট দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে শ্রীলংকা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন। সার্বিক সূচকের অবস্থানে দেশটির মূল্যায়ন স্কোর ৪ দশমিক ৪। ৪ দশমিক ১ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাইল্যান্ড। চতুর্থ অবস্থানে থাকা ভারতের স্কোর ৩ দশমিক ৭। আর বাংলাদেশের স্কোর ২ দশমিক ৮।
সূত্রমতে, বিশ্বের ১৪৪টি দেশের অবকাঠামো পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে এ জরিপ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অবস্থান পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকে এগিয়ে থাকলেও পিছিয়ে রয়েছে অন্যতম প্রতিযোগী দেশ ভারত ও কম্বোডিয়া থেকে। সবচেয়ে সুবিধাজনক ও ভালো অবকাঠামোর অধিকারী দেশ চীন। এরপরই রয়েছে থাইল্যান্ডের অবস্থান।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এসব অবকাঠামো খাতে প্রত্যাশিত বিনিয়োগ না হওয়ায় আন্তর্জাতিক মূল্যায়নে এখনও পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। সড়ক, বন্দর, বিদ্যুৎ ও রেলসহ গুরুত্বপুর্ণ এসব খাতে বাংলাদেশের বিনিয়োগ মাত্র ৩ বিলিয়ন ডলার। যা জিডিপির মাত্র ২ শতাংশ। সম্প্রতি বিদ্যুতে যদিও উল্লেখযোগ্য হারে বিনিয়োগ বাড়ানো হচ্ছে। তবে অন্যান্য খাতে তেমন বাড়ছে না।
ড. জাহিদ মনে করেন, শীর্ষ অবকাঠামোর অধিকারী দেশগুলোর মানদণ্ড অর্জন করতে হলে বাংলাদেশকে আগামী ১০ বছরে অন্তত ৭ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার করে বিনিয়োগ করতে হবে। বিশেষ করে বড় প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ বলেন, বিদ্যুৎ, সড়ক, রেল ও বন্দর- এই চার গুরুত্বপূর্ণ খাতেই বাংলাদেশের ক্রমোন্নতি হচ্ছে। এটি দৃশ্যমানও। তবে এ উন্নতি আরও দ্রুত, মানসম্পন্ন ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার আওতায় হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, ক্রমোন্নতি সত্ত্বেও এখন এসব অবকাঠামো সূচকের ঘাটতি রয়ে গেছে। এ কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লেও চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ মিলছে না। এর ফলে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদনে যেতে পারছে না। আবার যারা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ক্যাপটিভ পাওয়ার ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে তাদের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম ফোর লেন হাইওয়ে, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-ময়মনসিংহ প্রভৃতি অর্থনৈতিক করিডোরের উন্নয়ন দ্রুত শেষ করার পাশাপাশি রেল ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের প্রতিও বিশেষ দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
বিদ্যুৎপ্রাপ্তির অবস্থা : একটি দেশের উন্নত অবকাঠামোর অন্যতম কাঁচামাল বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা ও চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ সক্ষমতা না থাকলে শিল্পায়ন বাড়বে না। উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবেন না। তাই বিশ্বব্যাংকের সার্বিক অবকাঠামো সূচকের প্রথম মাপকাঠি ধরা হয়েছে দেশগুলোর বিদ্যুপ্রাপ্তির পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে। প্রতিবেদনমতে, এশিয়ার এ আটটি দেশের মধ্যে বিদ্যুতে সবচেয়ে ভালো ও প্রথম অবস্থানে রয়েছে চীন। দেশটির স্কোর ৫ দশমিক ২। দ্বিতীয় অবস্থান থাইল্যান্ডের, তৃতীয় শ্রীলংকার, চতুর্থ অবস্থান ভারতের। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে কম্বোডিয়া, ষষ্ঠ মিয়ানমার ও সপ্তম অবস্থানে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে এশিয়ার এ দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে।
সড়ক যোগাযোগ : যে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা যত সমৃদ্ধ, সে দেশ তত বেশি উন্নত। বিনিয়োগ সূচকে এ অবকাঠামো খাতটিতে পিছিয়ে থাকার মানেই হচ্ছে সে দেশে এখনও শতভাগ বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরিতে ঘাটতি রয়ে গেছে। বিশ্বব্যাংকের দৃষ্টিতে এ ক্ষেত্রে শ্রীলংকাই সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। আর সবার পেছনে থাকা মিয়ানমারের চেয়ে সামান্য এগিয়ে বাংলাদেশ। এখানে চীন রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে আর থাইল্যান্ডের অবস্থান তৃতীয়। এ ক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তানের অবস্থান যৌথভাবে চতুর্থ এবং কম্বোডিয়ার অবস্থান পঞ্চম।
রেলওয়ে : এশিয়ার আট প্রতিযোগী দেশের মধ্যে অবকাঠামোর তৃতীয় গুরুত্বপূূূর্ণ সূচক রেল যোগাযোগ। বন্দর থেকে মালামাল পরিবহনে সবচেয়ে কম ব্যয়ে বেশি পণ্য পরিবহনের মাধ্যম রেল। বিশ্বব্যাংকের এ সংক্রান্ত জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অবস্থান থাইল্যান্ডের সঙ্গে যৌথভাবে চতুর্থ। চীন প্রথম, ভারত দ্বিতীয় এবং শ্রীলংকা তৃতীয়।
বন্দরের সক্ষমতা : আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সিংহভাগই হয়ে থাকে সমুদ্রপথে। এ ক্ষেত্রে আমদানি-রফতানির সব চালান বন্দরের মাধ্যমে খালাস হয়। মালামাল লোড-আনলোড এবং শুল্কায়নের বিষয়টি যত বেশি প্রযুক্তিগত উপায়ে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়, বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিতে ওই বন্দর তত বেশি উন্নত। বন্দরের সক্ষমতা বিচেনায় বিশ্বব্যাংকের এ সংক্রান্ত জরিপ প্রতিবেদনে সর্বোচ্চ সক্ষমতা অর্জনকারী দেশ চীন। এ ছাড়া প্রতিযোগী অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ডের অবস্থান দ্বিতীয়, পাকিস্তান তৃতীয়, শ্রীলংকা চতুর্থ, ভারত পঞ্চম, বাংলাদেশ ষষ্ঠ, কম্বোডিয়া সপ্তম এবং মিয়ানমারের অবস্থান অষ্টম।
No comments