বগুড়ায় ৭ কোটি টাকা নিয়ে এনজিও পরিচালক উধাও
বগুড়ার নন্দীগ্রামে অ্যাসপো নামের একটি বেসরকারি সংস্থা প্রায় তিন হাজার গ্রাহকের জামানতের অন্তত ৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে সংস্থাটির পরিচালক আনোয়ার হোসেন। জমিজমা ও সহায়সম্বল বিক্রি করে টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়ে ওই এলাকার অসহায় কৃষক শ্রমিকসহ সাধারণ লোকজন অসহায় হয়ে পড়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের হাজারকি গ্রামের আনোয়ার হোসেন গত ২০০৪ সালে স্থানীয় সমাজসেবা অধিদফতর থেকে তার কৃষি ও সমাজকল্যাণ সংস্থার (অ্যাসপো) নিবন্ধন (রেজিঃ বগুড়া-১০৯৩/০৪) লাভ করেন। পরে ধুন্দারবাজার এলাকায় প্রধান কার্যালয় স্থাপন করে। অ্যাসপোর উদ্যোক্তা ও পরিচালক আনোয়ার হোসেন প্রথম দিকে কিস্তিতে ও স্বল্পমূল্যে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বিক্রি শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি সমাজসেবার নামে শুধু নন্দীগ্রাম নয়; পার্শ্ববর্তী শাজাহানপুর ও শেরপুর উপজেলার সহজ-সরল মানুষদের ফাঁদে ফেলেন। দ্বিগুণ মুনাফা দেয়ার প্রলোভন দিয়ে তাদের কাছে জামানত সংগ্রহ করেন। প্রথম প্রথম কিছু গ্রাহককে মুনাফা দিয়ে বিশ্বাস অর্জন করেন। এভাবে তিনি কয়েকটি উপজেলার প্রায় তিন হাজার গ্রাহকের কাছে অন্তত সাত কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
প্রতারণার শিকার শাজাহানপুরের আনসার আলী জানান, তিনি চার বিঘা জমি বিক্রি করে অ্যাসপোতে ৬০ লাখ টাকা জামানত রাখেন। কথা ছিল দশ বছরে দ্বিগুণ এবং প্রত্যেক তিন মাস পর ৬০ হাজার টাকা মুনাফা তোলা যাবে। কিছু দিন ধরে পরিচালক আনোয়ার হোসেন গা-ঢাকা দিয়েছেন, তার মোবাইল ফোন বন্ধ।তবে আনোয়ার অজ্ঞাত স্থান থেকে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কয়েকজন গ্রাহক সামান্য কিছু টাকা পাবেন। জমি বিক্রি করে শিগগিরই তা পরিশোধ করা হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার ইমাম জানান, অ্যাসপোর পরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অর্থ আÍসাতের অভিযোগ শোনার পর বিষয়টি তদন্ত করতে সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতারণার শিকার শাজাহানপুরের আনসার আলী জানান, তিনি চার বিঘা জমি বিক্রি করে অ্যাসপোতে ৬০ লাখ টাকা জামানত রাখেন। কথা ছিল দশ বছরে দ্বিগুণ এবং প্রত্যেক তিন মাস পর ৬০ হাজার টাকা মুনাফা তোলা যাবে। কিছু দিন ধরে পরিচালক আনোয়ার হোসেন গা-ঢাকা দিয়েছেন, তার মোবাইল ফোন বন্ধ।তবে আনোয়ার অজ্ঞাত স্থান থেকে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কয়েকজন গ্রাহক সামান্য কিছু টাকা পাবেন। জমি বিক্রি করে শিগগিরই তা পরিশোধ করা হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার ইমাম জানান, অ্যাসপোর পরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অর্থ আÍসাতের অভিযোগ শোনার পর বিষয়টি তদন্ত করতে সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments