ফেনীতে এমপি রহিম উল্লাহকে মারধর করেছে যুবলীগ কর্মীরা- ওবায়দুল কাদেরের হস্তক্ষেপে রক্ষা
ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা হাজী রহিম উল্যাহকে মারধর করেছে যুবলীগ কর্মীরা। ফেনী সার্কিট হাউজে আজ শনিবার রাতে এ ঘটনার সময় সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্র জানায়, সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নোয়াখালীর দলীয় কর্মসূচি শেষে ফেনী সার্কিট হাউজে পৌঁছলে দলীয় নেতাকর্মীরা তার সাথে দেখা করতে ভীড় জমায়। এসময় ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেদ্দা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী রহিম উল্লাহ, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বি.কমসহ বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনী এলাকা দাগনভূঞা ও সোনাগাজীতে টিআর কাবিখা বণ্টনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে মূল্যায়ন না করার অভিযোগ এনে দলীয় নেতাকর্মীরা হাজী রহিম উল্লাহর উপর চড়াও হন। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তাকে কিল-ঘুষি দিয়ে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এসময় তার সাথে থাকা লোকজনকেও মারধর করা হয়েছে বলে হাজী রহিম উল্লাহ অভিযোগ করেন।
তিনি জানান, ঘটনার সময় সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এশার নামাজ পড়ছিলেন। হই-হট্টগোল শুনে মন্ত্রী ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। একপর্যায়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার ঘটনাস্থলে গিয়ে এমপিকে উদ্ধার করে পুলিশ পাহারায় সোনাগাজীর নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেন। জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান বি.কম দলীয় নেতা-কর্মীদের হাতে হাজী রহিম উল্লাহ লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিকট অস্বীকার করেন।
এর আগে দাগনভূঞার শরীফপুর গ্রামের কাঁচা রাস্তা পরিদর্শন ও স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মতবিনিময় সভার কথা ছিল ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাজী রহিম উল্যার। এজন্য এমপিকে অভিনন্দন জানিয়ে নারায়নপুর রাস্তার মাথা ও শরীফপুর গ্রামে দুটি তোরণ নির্মাণ করা হয়। নারায়ণপুর রাস্তার মাথার তোরণটি অনুষ্ঠান শুরুর একঘণ্টা আগে দুপুর আড়াইটার দিকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তোরণটি সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়। এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিকেল ৩টার দিকে সংসদ সদস্য রহিম উল্যা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলেও আতঙ্কে লোকজনের উপস্থিতি ছিল নগন্য। তিনি ১০ মিনিট উপস্থিত কয়েকজনের সাথে কথা বলে দ্রুত সভাস্থল ত্যাগ করেন।
তিনি জানান, ঘটনার সময় সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এশার নামাজ পড়ছিলেন। হই-হট্টগোল শুনে মন্ত্রী ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। একপর্যায়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার ঘটনাস্থলে গিয়ে এমপিকে উদ্ধার করে পুলিশ পাহারায় সোনাগাজীর নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেন। জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান বি.কম দলীয় নেতা-কর্মীদের হাতে হাজী রহিম উল্লাহ লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিকট অস্বীকার করেন।
এর আগে দাগনভূঞার শরীফপুর গ্রামের কাঁচা রাস্তা পরিদর্শন ও স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মতবিনিময় সভার কথা ছিল ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাজী রহিম উল্যার। এজন্য এমপিকে অভিনন্দন জানিয়ে নারায়নপুর রাস্তার মাথা ও শরীফপুর গ্রামে দুটি তোরণ নির্মাণ করা হয়। নারায়ণপুর রাস্তার মাথার তোরণটি অনুষ্ঠান শুরুর একঘণ্টা আগে দুপুর আড়াইটার দিকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তোরণটি সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়। এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিকেল ৩টার দিকে সংসদ সদস্য রহিম উল্যা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলেও আতঙ্কে লোকজনের উপস্থিতি ছিল নগন্য। তিনি ১০ মিনিট উপস্থিত কয়েকজনের সাথে কথা বলে দ্রুত সভাস্থল ত্যাগ করেন।
প্রসঙ্গত; ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে ফেনী-৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে মহাজোট প্রার্থী রিন্টু আনোয়ারকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী রহিম উল্লাহ। নির্বাচনের পর থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে দূরত্ব বাড়তে থাকে সৌদি প্রবাসী এ ধনকুবেরের।
No comments