‘আব্বু আমাকে নিয়ে যাও, নইলে ওরা মেরে ফেলবে’ -ফোনে বাবার সঙ্গে শেষ কথা শামারুখের
মারা যাওয়ার আগের রাতে বাবাকে ফোন করেন শামারুখ মাহজাবীন। কান্নাকাটি করে বলেন, ‘আব্বু, তুমি আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও, নইলে ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’ এটাই ছিল বাবা নুরুল ইসলামের সঙ্গে মেয়ের শেষ কথা। গত বৃহস্পতিবার রাতে ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম এ কথা উল্লেখ করেন।
হলি ফ্যামিলির চিকিৎসক শামারুখের স্বামী হুমায়ুন সুলতান যশোর-৫ আসনের সরকারদলীয় সাবেক সাংসদ খান টিপু সুলতানের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্বশুর খান টিপু সুলতানের ধানমন্ডির বাসায় শামারুখের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ওই রাতেই শামারুখের বাবা নুরুল ইসলাম মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ এনে মামলা করেন। মামলায় হুমায়ুন সুলতান এবং তাঁর বাবা ও মাকে আসামি কর হয়।
নুরুল ইসলাম গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার রাত ১১টার দিকে মুঠোফোনে মেয়ের সঙ্গে তাঁর ৩২ মিনিট কথা হয়। তিনি বলেন, ‘মেয়ে আমাকে এও বলে যে “বাবা, আমার শ্বশুর সম্পর্কে ভয়ংকর সব তথ্য পেয়েছি। এসব কাগজপত্র গোপন স্থানে রেখে দিয়েছি।” আমি জানতে চাই কী তথ্য পেয়েছ? মেয়ে বলল, এগুলো পরে তোমাকে দেখাব।’
নুরুল ইসলামের ধারণা, বিষয়টি খান টিপু সুলতান জেনে গিয়েছিলেন। এ কারণে শামারুখকে মেরে ফেলা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, খান টিপু সুলতান, তাঁর স্ত্রী জেসমিন আরা ও ছেলে হুমায়ুন সুলতান পরস্পর যোগসাজশে পরিকল্পিতভাবে শামারুখকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। মামলা করার পর থেকে খান টিপু সুলতানের পক্ষ থেকে তাঁকে ভয় দেখানো হচ্ছে।
স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে শামারুখকে বিভিন্ন অজুহাতে খান টিপু সুলতান ও তাঁর স্ত্রী নির্যাতন করে আসছিলেন। এ বিষয়ে খান টিপু সুলতানের বক্তব্য জানতে চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। অবশ্য বৃহস্পতিবার রাতে এ প্রতিবেদক তাঁর বাসায় গেলে তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তে হত্যায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে খান টিপু সুলতান ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হবে।
এদিকে এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া শামারুখের স্বামী হুমায়ুন সুলতানকে গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। আদালত রিমান্ডের শুনানির জন্য কাল রোববার দিন ধার্য করেন।
গতকাল দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে শামারুখের লাশের ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্তকারী ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক সোহেল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, মরদেহের ঘাড়ের অংশবিশেষ পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের হিস্টোপ্যাথলজিক্যাল পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। পরে স্বজনেরা মরদেহ যশোরে নিয়ে যান। রাত নয়টার দিকে শহরের কারবালা কবরস্থানে শামারুখকে দাফন করা হয়।
হলি ফ্যামিলির চিকিৎসক শামারুখের স্বামী হুমায়ুন সুলতান যশোর-৫ আসনের সরকারদলীয় সাবেক সাংসদ খান টিপু সুলতানের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্বশুর খান টিপু সুলতানের ধানমন্ডির বাসায় শামারুখের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ওই রাতেই শামারুখের বাবা নুরুল ইসলাম মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ এনে মামলা করেন। মামলায় হুমায়ুন সুলতান এবং তাঁর বাবা ও মাকে আসামি কর হয়।
নুরুল ইসলাম গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার রাত ১১টার দিকে মুঠোফোনে মেয়ের সঙ্গে তাঁর ৩২ মিনিট কথা হয়। তিনি বলেন, ‘মেয়ে আমাকে এও বলে যে “বাবা, আমার শ্বশুর সম্পর্কে ভয়ংকর সব তথ্য পেয়েছি। এসব কাগজপত্র গোপন স্থানে রেখে দিয়েছি।” আমি জানতে চাই কী তথ্য পেয়েছ? মেয়ে বলল, এগুলো পরে তোমাকে দেখাব।’
নুরুল ইসলামের ধারণা, বিষয়টি খান টিপু সুলতান জেনে গিয়েছিলেন। এ কারণে শামারুখকে মেরে ফেলা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, খান টিপু সুলতান, তাঁর স্ত্রী জেসমিন আরা ও ছেলে হুমায়ুন সুলতান পরস্পর যোগসাজশে পরিকল্পিতভাবে শামারুখকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। মামলা করার পর থেকে খান টিপু সুলতানের পক্ষ থেকে তাঁকে ভয় দেখানো হচ্ছে।
স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে শামারুখকে বিভিন্ন অজুহাতে খান টিপু সুলতান ও তাঁর স্ত্রী নির্যাতন করে আসছিলেন। এ বিষয়ে খান টিপু সুলতানের বক্তব্য জানতে চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। অবশ্য বৃহস্পতিবার রাতে এ প্রতিবেদক তাঁর বাসায় গেলে তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তে হত্যায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে খান টিপু সুলতান ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হবে।
এদিকে এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া শামারুখের স্বামী হুমায়ুন সুলতানকে গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। আদালত রিমান্ডের শুনানির জন্য কাল রোববার দিন ধার্য করেন।
গতকাল দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে শামারুখের লাশের ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্তকারী ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক সোহেল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, মরদেহের ঘাড়ের অংশবিশেষ পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের হিস্টোপ্যাথলজিক্যাল পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। পরে স্বজনেরা মরদেহ যশোরে নিয়ে যান। রাত নয়টার দিকে শহরের কারবালা কবরস্থানে শামারুখকে দাফন করা হয়।
No comments