রহস্যময় কণা নিউট্রিনো
কোনো কিছুই আটকে রাখতে পারে না রহস্যময় কণা নিউট্রিনোকে। সব পদার্থই ভেদ করে চলে যেতে পারে এ কণা। এমনকি মানুষের শরীরের মধ্যে দিয়েও লাখ লাখ কণা চলে যাচ্ছে, আমরা টের পাই না। কিন্তু কোথা থেকে আসে এই কণা? মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার গবেষকরা জানান, মিল্কিওয়ে ছায়াপথের কেন্দ্রে যে বিশাল ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর রয়েছে, সেখান থেকেই উৎপন্ন হতে পারে রহস্যময় কণা নিউট্রিনো। নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের কারণেই নিউট্রিনোকে বলা হয় রহস্যময় কণা। গবেষকরা মনে করেন, পরমাণুর চেয়েও ক্ষুদ্রতর এই কণার উৎস রহস্য সমাধান করা গেলে দূরবর্তী অঞ্চলে সংঘটিত বিভিন্ন মহাজাগতিক ঘটনার (নক্ষত্রের বিস্ফোরণ ও কৃষ্ণগহ্বর) ব্যাপারে নতুন তথ্য জানা সম্ভব হবে। আলো কিংবা অন্য বৈদ্যুতিক আধানযুক্ত কণার সঙ্গে নিউট্রিনোর পার্থক্য হল- এ কণা মহাশূন্যের গভীর থেকে উৎপন্ন হয়ে সারা বিশ্বে পরিভ্রমণ করতে পারে, কোনো বস্তু একে শোষণ করতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসনের উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়েরর গবেষক ইয়াং বাই জানান, তারা প্রথমবারের মতো প্রমাণ পেয়েছেন- মহাজাগতিক একটি উৎস থেকে এই নিউট্রিনো উৎপন্ন হচ্ছে। মিল্কিওয়ে ছায়াপথের কেন্দ্রে থাকা কৃষ্ণগহ্বর থেকেও আসতে পারে এই উচ্চ ক্ষমতার নিউট্রিনো।গবেষকরা আরও দাবি করেন, তাদের এই গবেষণার ফল অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের আরেকটি জটিল ধাঁধার সমাধান দিতে পারবে, বিশেষ করে উচ্চশক্তির মহাজাগতিক বিকিরণের উৎস বের করা সম্ভব হবে। ওয়েবসাইট।
No comments