যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দিচ্ছেন ওবামা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা একক নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ব্যবস্থায় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন। এতে কমপক্ষে ৫০ লাখ অবৈধ অভিবাসীর বৈধতা পাওয়া সুযোগ সৃষ্টি হবে। নিউইয়র্ক টাইমস ও ফক্স নিউজের এক খবরে শুক্রবার বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী কয়েকজনের বাবা-মাকে প্রত্যাবাসন থেকে জোরালো সুরক্ষা দেয়ার পরিকল্পনা করছেন ওবামা।
রিপাবলিকানদের বিরোধিতার পরও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ ওয়াশিংটনের রাজনীতিকে উত্তপ্ত করে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।কংগ্রেসে রিপাবলিকানরা বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার এখতিয়ার ওবামার নেই। হাউস স্পিকার জন বোয়েনার সাংবাদিকদের বলেন, প্রেসিডেন্ট তার অবস্থান থেকে সরে না এলে আমরাও এর বিরুদ্ধে লড়াই করব। সিনেটে পরবর্তী সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা মিচ ম্যাককোনেল যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ব্যবস্থার উন্নতি সাধনের উপায় খুঁজতে তাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টকে বার বার বলা হয়েছে এবং আমরা আজ আবার বলছি- এটা করবেন না। কারণ তার নির্বাহী আদেশে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না। এশিয়া সফর শেষে আগামী রোববার দেশে ফিরবেন ওবামা। এক সপ্তাহ আগে তিনি আইনপ্রণেতাদের বলেছিলেন, নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এ বছর শেষ হওয়ার আগেই অভিবাসন সমস্যার সমাধান করতে চান তিনি। নির্বাহী আদেশের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব রয়েছে এমন সব সন্তানদের পিতামাতার অবৈধতার অবসান ঘটবে। অনেকে পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর আর ফিরে যাননি। অনেকে নানা পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পর বিয়ে করেছেন, লিভ টুগেদার করেছেন, সন্তান জন্ম দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেই জন্মসূত্রে সেদেশের নাগরিক হওয়া যায়। ফলে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়া সন্তানের পিতমাতা প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশে বৈধতার সুযোগ পাবেন।তবে নির্বাহী আদেশে অভিবাসন নীতিতে সংস্কার আনা ওবামার জন্য খুব সহজ হবে না। কারণ মধ্যবর্তী নির্বাচনের পর কংগ্রেস এখন রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে। আর কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে নির্বাহী আদেশে অবৈধদের বৈধতা দেয়ার পরিণাম খারাপ হবে। বলে রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।এছাড়া খোদ নিজ দলের মধ্য থেকেও ওবামার ওপর চাপ রয়েছে। সিনেটে শীর্ষ ডেমোক্রেট হ্যারি রিড মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকারকে তহবিল দেয়া সংক্রান্ত বিল কংগ্রেসে পাস হওয়ার পরই কেবল প্রেসিডেন্ট তার পদক্ষেপ নিতে পারেন। তিনি বলেন, বিষয়টি আপনার ওপর নির্ভর করছে। তবে আমি মনে করি, সংকট থেকে বের হয়ে আসতে তহবিল প্রয়োজন। এএফপি
রিপাবলিকানদের বিরোধিতার পরও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ ওয়াশিংটনের রাজনীতিকে উত্তপ্ত করে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।কংগ্রেসে রিপাবলিকানরা বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার এখতিয়ার ওবামার নেই। হাউস স্পিকার জন বোয়েনার সাংবাদিকদের বলেন, প্রেসিডেন্ট তার অবস্থান থেকে সরে না এলে আমরাও এর বিরুদ্ধে লড়াই করব। সিনেটে পরবর্তী সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা মিচ ম্যাককোনেল যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ব্যবস্থার উন্নতি সাধনের উপায় খুঁজতে তাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টকে বার বার বলা হয়েছে এবং আমরা আজ আবার বলছি- এটা করবেন না। কারণ তার নির্বাহী আদেশে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না। এশিয়া সফর শেষে আগামী রোববার দেশে ফিরবেন ওবামা। এক সপ্তাহ আগে তিনি আইনপ্রণেতাদের বলেছিলেন, নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এ বছর শেষ হওয়ার আগেই অভিবাসন সমস্যার সমাধান করতে চান তিনি। নির্বাহী আদেশের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব রয়েছে এমন সব সন্তানদের পিতামাতার অবৈধতার অবসান ঘটবে। অনেকে পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর আর ফিরে যাননি। অনেকে নানা পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পর বিয়ে করেছেন, লিভ টুগেদার করেছেন, সন্তান জন্ম দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেই জন্মসূত্রে সেদেশের নাগরিক হওয়া যায়। ফলে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়া সন্তানের পিতমাতা প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশে বৈধতার সুযোগ পাবেন।তবে নির্বাহী আদেশে অভিবাসন নীতিতে সংস্কার আনা ওবামার জন্য খুব সহজ হবে না। কারণ মধ্যবর্তী নির্বাচনের পর কংগ্রেস এখন রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে। আর কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে নির্বাহী আদেশে অবৈধদের বৈধতা দেয়ার পরিণাম খারাপ হবে। বলে রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।এছাড়া খোদ নিজ দলের মধ্য থেকেও ওবামার ওপর চাপ রয়েছে। সিনেটে শীর্ষ ডেমোক্রেট হ্যারি রিড মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকারকে তহবিল দেয়া সংক্রান্ত বিল কংগ্রেসে পাস হওয়ার পরই কেবল প্রেসিডেন্ট তার পদক্ষেপ নিতে পারেন। তিনি বলেন, বিষয়টি আপনার ওপর নির্ভর করছে। তবে আমি মনে করি, সংকট থেকে বের হয়ে আসতে তহবিল প্রয়োজন। এএফপি
No comments