ভয়াবহ মাদকের ছোবল দোহারে চালকের আসনে ওসি
মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের সঙ্গে বিশেষ দোস্তি গড়ে তুলেছেন দোহার থানার ওসি মাহমুদুল হক। এ দোস্তির বন্ধন হিসেবে ভূমিকা রাখছে নির্ধারিত হারে মোটা অংকের মাসোয়ারা। ইতিমধ্যে তিনি এলাকায় মাদকবান্ধব পুলিশ অফিসার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। এমন অভিযোগ দোহারের বেশিরভাগ সমাজসচেতন ও ভুক্তভোগী মহলের। তারা যুগান্তরকে এও বলেছেন, যেখানে যুব সমাজকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে খোদ প্রধানমন্ত্রী কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন সেখানে এই ওসির তত্ত্বাবধানে মাদকের ভয়াবহ বিস্তার লাভ করছে। এটি মেনে নেয়া যায় না। সরেজমিন দোহার এলাকায় অনুসন্ধানে গিয়ে জানা গেছে, বোনাপোল থেকে ফরিদপুর হয়ে ঢাকায় মাদক আসার সবচাইতে নিরাপদ ট্রানজিট দোহার। ঢাকার কাছের এ থানা এলাকা দিয়ে রাজধানীতে প্রতিদিনই বিপুলসংখ্যক ফেনসিডিল, হেরোইন, প্যাথেডিনসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য অবাধে প্রবেশ করছে। আর এর নেপথ্যে রয়েছে দোহার থানা পুলিশের মাসিক প্রায় ১০ লাখ টাকার ঘুষবাণিজ্য। ওসি মাহমুদুল হকের নির্দেশেই নাকি এই বেআইনি ঘুষ কারবার চলছে। এর ফলে দোহার এলাকাসহ আশপাশের এলাকার যুব সমাজের একটি বড় অংশ ক্রমেই মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। কেউ কেউ লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে মাদকের ভয়াল গ্রাসে আটকা পড়েছে। অনেক অভিভাবকের এ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে ওসি মাহমুদুল হককে বলা হয় মাদক ব্যবসায়ীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। ঘুষবাণিজ্য একক নিয়ন্ত্রণে রাখতে থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) পদটিও তিনি প্রভাব খাটিয়ে খালি রেখেছেন। একজন এসআইকে লোক দেখানোভাবে এই পদের ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই ওসির বদৌলতে এখন দোহারে হাত বাড়ালেই মেলে ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইনসহ সব মাদকসামগ্রী। দোহারের বিভিন্ন এলাকায় নিত্যপণ্যের চাইতেও এখন সহজলভ্য ফেনসিডিল। ওসি পক্ষে থাকায় মাদক বিক্রেতাদের এখন পোয়াবারো অবস্থা। প্রকাশ্যে মাদক বেচা-কেনা হয় হাটে-বাজারে, গ্রামে-গ্রামে, পাড়ায়-মহল্লায়। এলাকার নিরীহ মানুষ প্রতিবাদ করলে চরম মূল্য দিতে হয়। মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মিলে উল্টো নিরীহ লোকজনকেই মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে দেয়া হয়। অথবা থানার পেন্ডিং চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, দস্যুতার মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হয়। আদায় করা হয় নগদ টাকা।
দোহারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে অসংখ্য মাদক স্পটের কথা জানা গেছে। এমনকি মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও রিকশায় চলন্ত অবস্থায়ও মাদক বেচাকেনা হয়। বেচাকেনা হয় নৌকা ও ট্রলারে বসেও। দোহার উপজেলায় মুকসেদপুর ট্রলারঘাট, নারিশা ট্রলারঘাট, মৈনট ট্রলারঘাট, বাহ্রা ট্রলারঘাট দিয়ে বানের পানির মতো মাদকদ্রব্য আনা-নেয়া করা হয়।
মাদকের স্পটগুলোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে থানার এসআই সেকেন্দার আলী, মো. জামাল হোসেন, মশিউর রহমান ও আবদুল কাদের। ঘুষের টাকা কম হলেই তারা মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ীদের আটক করে। অনেক সময় বেশি টাকা আদায়ের জন্য মিডিয়ায় সংবাদ ছাপানোর হুমকি দেয়া হয়। আবার টাকা কম হলে মাঝেমধ্যে মাদকের মামলা না নিয়ে আইওয়াশ হিসেবে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়।
সূত্র জানায়, পদ্মার ফরিদপুর প্রান্ত থেকে নৌকা বা ট্রলার যোগে দোহারের বাহ্রাঘাট, মৈনটঘাট, বাঁশতলা, পালামগঞ্জ, নারিশাঘাটে মাদকদ্রব্য আসে। সেখান থেকে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন হাটে কিছু মাদক বিক্রি হয়। আর বড় অংশ চলে আসে রাজধানী ঢাকা, কামরাঙ্গীরচর কেরানীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে। দোহারের প্রসিদ্ধ মাদক স্পট বউবাজার, রাইপাড়া, লক্ষ্মীপ্রসাদ থেকে ভোররাতে মোটরসাইকেল, পিকআপ ও বাসে করে ঢাকায় মাদকদ্রব্য পাঠানো হয়।
জানা গেছে, দোহার পৌরসভা, জয়পাড়া, ইছবপুর, সুতারপাড়া, নিকড়া, খাড়াকান্দা ও ইসলামপুর ইটভাট এলাকায় মো. মাহবুব, লিটন, মিজান ও ইমারতের নেতৃত্বে চলে মাদকের ব্যবসা। তারা সবাই ওসিকে মাসোয়ারা দেন। দোহার বাজার, পাম্প স্টেশন, নারিশা, মুকসেদপুর, গোড়াবন, মেঘুলা-মালিকান্দা এলাকায় ফরিদপুর সিএমভিঘাট, পেঁয়াজখালী এলাকা থেকে ট্রলারে বা নৌকায় করে ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইন প্রকাশ্যে বিক্রি হয়।
সূত্রগুলো বলছে, মাদকের এই ভয়াবহ বিস্তারের নেপথ্যে রয়েছে দোহার থানার ওসি মাহমুদুল হক। থানার ক্যাশিয়ার মোহাম্মদ আলী ও ড্রাইভার ফিরোজের মাধ্যমে মাদক বিক্রেতার কাছ থেকে প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকারও বেশি আদায় হয়। যার লিখিত কোনো প্রমাণ না থাকলেও এটিই বাস্তবতা। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকে নিরপেক্ষ তদন্ত করলে ওসির বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ এক ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করা সম্ভব।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে ওসি মাহমুদুল হককে বলা হয় মাদক ব্যবসায়ীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। ঘুষবাণিজ্য একক নিয়ন্ত্রণে রাখতে থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) পদটিও তিনি প্রভাব খাটিয়ে খালি রেখেছেন। একজন এসআইকে লোক দেখানোভাবে এই পদের ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই ওসির বদৌলতে এখন দোহারে হাত বাড়ালেই মেলে ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইনসহ সব মাদকসামগ্রী। দোহারের বিভিন্ন এলাকায় নিত্যপণ্যের চাইতেও এখন সহজলভ্য ফেনসিডিল। ওসি পক্ষে থাকায় মাদক বিক্রেতাদের এখন পোয়াবারো অবস্থা। প্রকাশ্যে মাদক বেচা-কেনা হয় হাটে-বাজারে, গ্রামে-গ্রামে, পাড়ায়-মহল্লায়। এলাকার নিরীহ মানুষ প্রতিবাদ করলে চরম মূল্য দিতে হয়। মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মিলে উল্টো নিরীহ লোকজনকেই মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে দেয়া হয়। অথবা থানার পেন্ডিং চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, দস্যুতার মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হয়। আদায় করা হয় নগদ টাকা।
দোহারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে অসংখ্য মাদক স্পটের কথা জানা গেছে। এমনকি মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও রিকশায় চলন্ত অবস্থায়ও মাদক বেচাকেনা হয়। বেচাকেনা হয় নৌকা ও ট্রলারে বসেও। দোহার উপজেলায় মুকসেদপুর ট্রলারঘাট, নারিশা ট্রলারঘাট, মৈনট ট্রলারঘাট, বাহ্রা ট্রলারঘাট দিয়ে বানের পানির মতো মাদকদ্রব্য আনা-নেয়া করা হয়।
মাদকের স্পটগুলোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে থানার এসআই সেকেন্দার আলী, মো. জামাল হোসেন, মশিউর রহমান ও আবদুল কাদের। ঘুষের টাকা কম হলেই তারা মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ীদের আটক করে। অনেক সময় বেশি টাকা আদায়ের জন্য মিডিয়ায় সংবাদ ছাপানোর হুমকি দেয়া হয়। আবার টাকা কম হলে মাঝেমধ্যে মাদকের মামলা না নিয়ে আইওয়াশ হিসেবে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়।
সূত্র জানায়, পদ্মার ফরিদপুর প্রান্ত থেকে নৌকা বা ট্রলার যোগে দোহারের বাহ্রাঘাট, মৈনটঘাট, বাঁশতলা, পালামগঞ্জ, নারিশাঘাটে মাদকদ্রব্য আসে। সেখান থেকে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন হাটে কিছু মাদক বিক্রি হয়। আর বড় অংশ চলে আসে রাজধানী ঢাকা, কামরাঙ্গীরচর কেরানীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে। দোহারের প্রসিদ্ধ মাদক স্পট বউবাজার, রাইপাড়া, লক্ষ্মীপ্রসাদ থেকে ভোররাতে মোটরসাইকেল, পিকআপ ও বাসে করে ঢাকায় মাদকদ্রব্য পাঠানো হয়।
জানা গেছে, দোহার পৌরসভা, জয়পাড়া, ইছবপুর, সুতারপাড়া, নিকড়া, খাড়াকান্দা ও ইসলামপুর ইটভাট এলাকায় মো. মাহবুব, লিটন, মিজান ও ইমারতের নেতৃত্বে চলে মাদকের ব্যবসা। তারা সবাই ওসিকে মাসোয়ারা দেন। দোহার বাজার, পাম্প স্টেশন, নারিশা, মুকসেদপুর, গোড়াবন, মেঘুলা-মালিকান্দা এলাকায় ফরিদপুর সিএমভিঘাট, পেঁয়াজখালী এলাকা থেকে ট্রলারে বা নৌকায় করে ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইন প্রকাশ্যে বিক্রি হয়।
সূত্রগুলো বলছে, মাদকের এই ভয়াবহ বিস্তারের নেপথ্যে রয়েছে দোহার থানার ওসি মাহমুদুল হক। থানার ক্যাশিয়ার মোহাম্মদ আলী ও ড্রাইভার ফিরোজের মাধ্যমে মাদক বিক্রেতার কাছ থেকে প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকারও বেশি আদায় হয়। যার লিখিত কোনো প্রমাণ না থাকলেও এটিই বাস্তবতা। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকে নিরপেক্ষ তদন্ত করলে ওসির বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ এক ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করা সম্ভব।
No comments