সাক্ষ্য দিতে কাল ফের ভারত যাচ্ছেন ফেলানীর বাবা
ভারতের কোচবিহারে বিএসএফ সেক্টর সদর দফতরে স্থাপিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্টের ডাক পেয়ে আগামীকাল ভারত যাচ্ছেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরু। সঙ্গে যাচ্ছেন বিজিবির ৪৫ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মোফাজ্জাল হোসেন আকন্দ ও কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন।
সোমবার সকাল ১০টায় ভারতের ওই বিশেষ আদালতে সাক্ষ্য দেবেন ফেলানীর বাবা। আদালতকে জানাবেন বিএিসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ ঠাণ্ডা মাথায় কিভাবে কাছ থেকে গুলি করে ফেলানীকে হত্যা করেছিলেন।অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন জানান, ফেলানী হত্যা মামলার পুনর্বিচার কাজ শুরু হয় ২২ সেপ্টেম্বর। একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছাড়াই আদালত চলে ৩ দিন। আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার আমন্ত্রণ পেয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামের ৪৫ বিজিবির সদর দফতর থেকে ভারতের পথে রওনা হন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলামসহ তিন সদস্যের দল। কিন্তু লালমনিরহাট জেলার বড়বাড়ি নামক স্থানে পৌঁছার পর মোবাইলে জানানো হয় আদালত ৩ দিনের জন্য মুলতবি হয়ে গেছে। পরে সাক্ষ্য দেয়ার সময় ও তারিখ জানানো হবে। ফলে মাঝপথ থেকেই ফিরে আসে তিন সদস্যের ওই দল। শুক্রবার বিকালে আবারও সাক্ষ্য দিতে ভারতে যাওয়ার কথা জানানো হয়। তারা এখন ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরু বলেন, অনেক দিন পর ডাক পাইলাম। আমার চোক্ষের সামনে মেয়েডারে গুলি কইর্যা পাখির মতো মেরেছে। পানি খাইতে চাইলে দেয় নাই। আগেরবার বিচারের নামে ওরা তামশা করছিল। আশা করি এবার ন্যায়বিচার পামু।লে. কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ জানান, শুধু ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরুর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। তিন সদস্যের দল রোববার সকালে কুড়িগ্রাম বিজিবির সদর সফতর থেকে বুড়িমারী চেকপোস্টের উদ্দেশে রওনা হবে।উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্য অমিয় ঘোষ ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে। ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্টে ফেলানী হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। ওই বিচারে বিএসএফ সদস্যকে নির্দোষ ঘোষণা করে রায় দেয়া হয়। রায় প্রত্যাখ্যান করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে মানবাধিকার সংগঠন আসকের (আইন ও সালিশ কেন্দ্র) মাধ্যমে আবেদন করেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি পুনর্বিচারের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসএফ।
সোমবার সকাল ১০টায় ভারতের ওই বিশেষ আদালতে সাক্ষ্য দেবেন ফেলানীর বাবা। আদালতকে জানাবেন বিএিসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ ঠাণ্ডা মাথায় কিভাবে কাছ থেকে গুলি করে ফেলানীকে হত্যা করেছিলেন।অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন জানান, ফেলানী হত্যা মামলার পুনর্বিচার কাজ শুরু হয় ২২ সেপ্টেম্বর। একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছাড়াই আদালত চলে ৩ দিন। আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার আমন্ত্রণ পেয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামের ৪৫ বিজিবির সদর দফতর থেকে ভারতের পথে রওনা হন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলামসহ তিন সদস্যের দল। কিন্তু লালমনিরহাট জেলার বড়বাড়ি নামক স্থানে পৌঁছার পর মোবাইলে জানানো হয় আদালত ৩ দিনের জন্য মুলতবি হয়ে গেছে। পরে সাক্ষ্য দেয়ার সময় ও তারিখ জানানো হবে। ফলে মাঝপথ থেকেই ফিরে আসে তিন সদস্যের ওই দল। শুক্রবার বিকালে আবারও সাক্ষ্য দিতে ভারতে যাওয়ার কথা জানানো হয়। তারা এখন ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরু বলেন, অনেক দিন পর ডাক পাইলাম। আমার চোক্ষের সামনে মেয়েডারে গুলি কইর্যা পাখির মতো মেরেছে। পানি খাইতে চাইলে দেয় নাই। আগেরবার বিচারের নামে ওরা তামশা করছিল। আশা করি এবার ন্যায়বিচার পামু।লে. কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ জানান, শুধু ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরুর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। তিন সদস্যের দল রোববার সকালে কুড়িগ্রাম বিজিবির সদর সফতর থেকে বুড়িমারী চেকপোস্টের উদ্দেশে রওনা হবে।উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্য অমিয় ঘোষ ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে। ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্টে ফেলানী হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। ওই বিচারে বিএসএফ সদস্যকে নির্দোষ ঘোষণা করে রায় দেয়া হয়। রায় প্রত্যাখ্যান করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে মানবাধিকার সংগঠন আসকের (আইন ও সালিশ কেন্দ্র) মাধ্যমে আবেদন করেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি পুনর্বিচারের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসএফ।
No comments