বিএনপি রাজাকারের দল: জয়
বিএনপিকে রাজাকারের দল মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রীর প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, যে ব্যক্তি যুদ্ধাপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে এনেছে তিনি কি করে মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন? স্বাধীন বাংলাদেশে জিয়াউর রহমান রাজাকারদের দেশে এনেছেন। যারা রাজাকারদের সঙ্গে রাজনীতি করে তারা কি রাজাকার নয়? জয় বলেন, সত্যিকার অর্থে বিএনপি হচ্ছে একটি রাজাকারের দল। আর তারা যদি রাজাকার না-ই হয় তাহলে তারা রাজাকারদের সঙ্গ ছেড়ে প্রমাণ দিক তারা আসলে স্বাধীনতা বিশ্বাসী দল। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি সংগঠন ‘সুচিন্তা ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সুশাসন’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যখন দেশের আদালত সাঈদীকে ফাঁসি না দিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিল তখন আমাদেরই এক শ্রেণীর ব্যক্তি বলেছিল এখানে একটি ষড়যন্ত্র হয়েছে। এ রায়ের মাধ্যমে জামায়াতকে বাঁচিয়ে দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ যদি জামায়াতকে বাঁচিয়েই দিতো তাহলে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরী ও জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের টেলিফোনে ফাঁসি না দেয়ার অনুরোধ করার পরও কি নির্বাচনের আগে কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেয়া হতো? এ সাহস আর কার হতো? অন্য কোন দেশ কি বলল না বলল তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা আমাদের মতো চলব। আওয়ামী লীগ যতদিন আছে মানবতাবিরোধীদের বিচার চলবে। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম উল্লেখ না করে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, এরা কি পাগল হয়ে গিয়েছে? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গোয়েবলস ছিল হিটলারের প্রচারমন্ত্রী। তার নীতি ছিল একটা মিথ্যা কথা যদি বারবার বলতে থাকা হয়, তাহলে এক সময় মানুষ ওটাই বিশ্বাস করবে। তাদের উদ্দেশ্যও এটাই। মিথ্যাচার চলতে থাকলে মানুষ এক সময় বিশ্বাস করবে। আমরা যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি তাদের দায়িত্ব অনেক। মিথ্যাচারের মোকাবিলা করতে হবে, লাজুক হলে চলবে না, টেলিভিশনে গিয়ে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে।
সুশাসনের জন্য প্রয়োজন একটি স্বাধীন আদালত উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা আইনগতভাবে রায় দিবে, স্বাধীনভাবে রায় দিবে। একটি আদালত যদি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন, সেখানে সরকারের কি করার আছে? এখানে সরকারের তো কোন কিছু করার নেই। এটি আদালতের রায়। তবে আমরা বলতে পারি, আদালত ভুল রায় দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস আদালত ভুল করেছেন, ভুল রায় দিয়েছেন। কিন্তু আমরা এ কথা বলতে পারি না এ রায়ের মধ্যে কোন ষড়যন্ত্র হয়েছে। আর এখানে দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমাদেরই স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী একশ্রেণীর লোকজন এই কথা বলেছে। আসলে আমাদের স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী কিছু লোকজন নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারছে। সংবাদ মাধ্যমের কড়া সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী তনয় বলেন, খবরের কাগজের সম্পাদকীয়তে সরকারের এই ভুল হয়েছে, সেই ভুল হয়েছে, সরকার এটা ভুল করেছে এরকম নানা বিষয়ে লিখেন। আমি তাদের বলতে চাই, গত পাঁচ-ছয় বছরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। শিক্ষায় উন্নয়ন হয়েছে, অর্থনীতিতে উন্নয়ন হয়েছে, একের পর এক আমরা আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ভোটের মাধ্যমে জিতে এসেছি। তারপরও আপনারা মন্তব্য লিখছেন আমাদের ভুল হচ্ছে, খারাপ হচ্ছে। সমালোচকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের ভুলতো থাকবেই, আমরাতো মানুষ। ভুল সবারই হয়, মানুষের দেশে সমস্যা হবে না এটা কি সম্ভব? কোন মতেই সম্ভব না। তারপরও সরকারের সফলতা তুলে ধরতে আপনাদের লজ্জা লাগে কেন? এমনকি কোন সাফল্যের কথা লিখতে গেলে খোঁচা দিয়ে বলেন এটা খারাপ হচ্ছে। তারাই আবার বলে আমরা আওয়ামী লীগের লোক। আমরা আওয়ামী লীগের ভাল চাই। আমি তাদের সমালোচনার জবাবে তখন তাদের বলি গত পাঁচ ছয় বছর আগে বাংলাদেশ কোথায় ছিল আর এখন কোথায় আছে? দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ আর বিদ্যুতের অভাব থেকে দেশকে আমরা কোথায় নিয়ে এসেছি। জয় আরও বলেন, পাঁচ বছরে আমরা দেশের দারিদ্র্যসীমা অর্ধেকে কমিয়ে এনেছি। জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণ নির্মূল করেছি। তারপরও যদি বলেন আরও ভাল করতে হবে, তাহলে এর জবাব দেব কি? এর চাইতেতো আমাদের পাঁচ বছরে বেশি করা সম্ভব নয়। আমরাতো আর জাদুকর নই। তিনি বলেন, সমালোচকরা বলেন, আমাদেরকে তো নিরপেক্ষ থাকতে হবে। নিরপেক্ষতার নামে আমাদের এক শ্রেণীর মানুষ যারা যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা-বিরোধী দলের সঙ্গে আমাদের একই পাল্লায় ফেলে। এটাই আমাদের দুঃখের বিষয়। আমি বলব হ্যাঁ যারা রাজাকার তাদের বিচার হতে হবে। কারণ তারা যুদ্ধাপরাধী। তবে আমি তাদেরকে একটি প্রশ্ন করতে চাই, যারা যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থন করে তারা কি করে স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী হতে পারে? আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ এ আরাফাত। বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ, চিত্রশিল্পী হাসেম খান, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সুশাসনের জন্য প্রয়োজন একটি স্বাধীন আদালত উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা আইনগতভাবে রায় দিবে, স্বাধীনভাবে রায় দিবে। একটি আদালত যদি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন, সেখানে সরকারের কি করার আছে? এখানে সরকারের তো কোন কিছু করার নেই। এটি আদালতের রায়। তবে আমরা বলতে পারি, আদালত ভুল রায় দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস আদালত ভুল করেছেন, ভুল রায় দিয়েছেন। কিন্তু আমরা এ কথা বলতে পারি না এ রায়ের মধ্যে কোন ষড়যন্ত্র হয়েছে। আর এখানে দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমাদেরই স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী একশ্রেণীর লোকজন এই কথা বলেছে। আসলে আমাদের স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী কিছু লোকজন নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারছে। সংবাদ মাধ্যমের কড়া সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী তনয় বলেন, খবরের কাগজের সম্পাদকীয়তে সরকারের এই ভুল হয়েছে, সেই ভুল হয়েছে, সরকার এটা ভুল করেছে এরকম নানা বিষয়ে লিখেন। আমি তাদের বলতে চাই, গত পাঁচ-ছয় বছরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। শিক্ষায় উন্নয়ন হয়েছে, অর্থনীতিতে উন্নয়ন হয়েছে, একের পর এক আমরা আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ভোটের মাধ্যমে জিতে এসেছি। তারপরও আপনারা মন্তব্য লিখছেন আমাদের ভুল হচ্ছে, খারাপ হচ্ছে। সমালোচকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের ভুলতো থাকবেই, আমরাতো মানুষ। ভুল সবারই হয়, মানুষের দেশে সমস্যা হবে না এটা কি সম্ভব? কোন মতেই সম্ভব না। তারপরও সরকারের সফলতা তুলে ধরতে আপনাদের লজ্জা লাগে কেন? এমনকি কোন সাফল্যের কথা লিখতে গেলে খোঁচা দিয়ে বলেন এটা খারাপ হচ্ছে। তারাই আবার বলে আমরা আওয়ামী লীগের লোক। আমরা আওয়ামী লীগের ভাল চাই। আমি তাদের সমালোচনার জবাবে তখন তাদের বলি গত পাঁচ ছয় বছর আগে বাংলাদেশ কোথায় ছিল আর এখন কোথায় আছে? দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ আর বিদ্যুতের অভাব থেকে দেশকে আমরা কোথায় নিয়ে এসেছি। জয় আরও বলেন, পাঁচ বছরে আমরা দেশের দারিদ্র্যসীমা অর্ধেকে কমিয়ে এনেছি। জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণ নির্মূল করেছি। তারপরও যদি বলেন আরও ভাল করতে হবে, তাহলে এর জবাব দেব কি? এর চাইতেতো আমাদের পাঁচ বছরে বেশি করা সম্ভব নয়। আমরাতো আর জাদুকর নই। তিনি বলেন, সমালোচকরা বলেন, আমাদেরকে তো নিরপেক্ষ থাকতে হবে। নিরপেক্ষতার নামে আমাদের এক শ্রেণীর মানুষ যারা যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা-বিরোধী দলের সঙ্গে আমাদের একই পাল্লায় ফেলে। এটাই আমাদের দুঃখের বিষয়। আমি বলব হ্যাঁ যারা রাজাকার তাদের বিচার হতে হবে। কারণ তারা যুদ্ধাপরাধী। তবে আমি তাদেরকে একটি প্রশ্ন করতে চাই, যারা যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থন করে তারা কি করে স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী হতে পারে? আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ এ আরাফাত। বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ, চিত্রশিল্পী হাসেম খান, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
No comments