জেলখানায় কুনাল ঘোষের আত্মহত্যার চেষ্টা
কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলের সেলে ঘুমের ওষুধ খেয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন সারদা-কাণ্ডে সিবিআইয়ের চার্জশিটে অভিযুক্ত তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত সংসদ সদস্য কুনাল ঘোষ। অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাতেই পিজি হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি শুক্রবার সকালে বিধানসভায় বিবৃতি দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র সচিবকে মাথায় রেখে তদন্ত কমিটি করেছি। তিনি তদন্ত করছেন। জেল সুপার ও ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসককে বরখাস্ত করা হয়েছে। ওয়ার্ডের দুই নিরাপত্তাকর্মীকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’ রেলমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম দু’বছরেও মমতার খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন কুনাল। ২২০০ কোটি রুপির সারদা কেলেংকারি নিয়ে দল থেকে বহিষ্কার হন কুনাল। গ্রেফতারও হন। দিনকয়েক আগে সিবিআই কুনালের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দিয়েছে। দুপুরে পিজি হাসপাতালের ডিরেক্টর ডা. প্রদীপ মিত্র জানিয়েছেন, ‘কুনাল ঘোষ শংকামুক্ত। তবু মেডিকেল বোর্ড গঠন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।’হাসপাতাল সূত্রের খবর, কুনাল ঘোষের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তিনি ডাক্তারদের সঙ্গে স্বাভাবিক কথাও বলেছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের দুই অফিসার। আত্মহত্যার চেষ্টায় ভারতীয় আইন মেনে কুনালের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ মামলার কার্যক্রম শুরু করেছে। এ ঘটনায় জেলে নজরদারির গাফিলতির জন্য বিরোধী দল সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি মমতা ব্যানার্জির সরকারকে দোষারপ করছে। বিরোধীদলীয় নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র অভিযোগ করেন, ‘অনেকদিন থেকে আমরা বলে আসছিলাম কুনালের প্রাণ সংশয় হতে পারে। কিন্তু সরকার তাকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়নি।’ বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সিদ্ধার্থনাথ সিং অভিযোগ করেন, ‘এটা শুধু আÍহত্যার চেষ্টা নয়, পুরোপুরি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। সারদা মামলার অনেক তথ্য জানে কুনাল। তাই কুনালকে প্ররোচনা দিয়ে আÍহত্যার পথে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।’ জানা গেছে, জেলের নিরাপত্তা নিয়ে গাফিলতির দায়ে কারামন্ত্রী হায়দার আজিজ সাফিকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত সংসদ সদস্য কুনালের আÍহত্যা চেষ্টার ঘটনা নিয়ে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানান, এত ট্যাবলেট একসঙ্গে কীভাবে জমেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পিজির ডাক্তারদের অভিমত, তিনি বেশি সংখ্যক ওষুধ খাননি।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র সচিবকে মাথায় রেখে তদন্ত কমিটি করেছি। তিনি তদন্ত করছেন। জেল সুপার ও ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসককে বরখাস্ত করা হয়েছে। ওয়ার্ডের দুই নিরাপত্তাকর্মীকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’ রেলমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম দু’বছরেও মমতার খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন কুনাল। ২২০০ কোটি রুপির সারদা কেলেংকারি নিয়ে দল থেকে বহিষ্কার হন কুনাল। গ্রেফতারও হন। দিনকয়েক আগে সিবিআই কুনালের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দিয়েছে। দুপুরে পিজি হাসপাতালের ডিরেক্টর ডা. প্রদীপ মিত্র জানিয়েছেন, ‘কুনাল ঘোষ শংকামুক্ত। তবু মেডিকেল বোর্ড গঠন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।’হাসপাতাল সূত্রের খবর, কুনাল ঘোষের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তিনি ডাক্তারদের সঙ্গে স্বাভাবিক কথাও বলেছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের দুই অফিসার। আত্মহত্যার চেষ্টায় ভারতীয় আইন মেনে কুনালের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ মামলার কার্যক্রম শুরু করেছে। এ ঘটনায় জেলে নজরদারির গাফিলতির জন্য বিরোধী দল সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি মমতা ব্যানার্জির সরকারকে দোষারপ করছে। বিরোধীদলীয় নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র অভিযোগ করেন, ‘অনেকদিন থেকে আমরা বলে আসছিলাম কুনালের প্রাণ সংশয় হতে পারে। কিন্তু সরকার তাকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়নি।’ বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সিদ্ধার্থনাথ সিং অভিযোগ করেন, ‘এটা শুধু আÍহত্যার চেষ্টা নয়, পুরোপুরি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। সারদা মামলার অনেক তথ্য জানে কুনাল। তাই কুনালকে প্ররোচনা দিয়ে আÍহত্যার পথে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।’ জানা গেছে, জেলের নিরাপত্তা নিয়ে গাফিলতির দায়ে কারামন্ত্রী হায়দার আজিজ সাফিকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত সংসদ সদস্য কুনালের আÍহত্যা চেষ্টার ঘটনা নিয়ে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানান, এত ট্যাবলেট একসঙ্গে কীভাবে জমেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পিজির ডাক্তারদের অভিমত, তিনি বেশি সংখ্যক ওষুধ খাননি।’
No comments