কিবরিয়া হত্যায় বিএনপি নেতাদের জড়ানো রাজনৈতিক
৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন নিয়ে বিএনপি যে কারচুপির আশংকা করেছিল, এইচটি ইমামের কথায় তা সত্য বলে প্রমাণ হয়েছে। শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, এইচটি ইমামের বক্তব্যে আমাদের অভিযোগ প্রমাণ হয়ে গেল। আমরা আগেই বলেছি, আওয়ামী লীগ তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে নির্বাচনকে পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে এমন একটি নির্বাচন করেছে। তা এইচটি ইমামের কথায় প্রমাণ হয়েছে। তিনি বলেন, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়া হত্যা মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিলের ব্যাপারে তীব্র নিন্দা জানানো হয়। বিএনপি মনে করে, ১০ বছর পর তৃতীয়বারের মতো অভিযোগপত্র দিয়ে সিলেটের মেয়র আরিফুল হক ও হবিগঞ্জের মেয়র জিকে গউছকে রাজনৈতিক কারণে জড়ানো হয়েছে। তবে এই মামলায় বিএনপির সাবেক নেতা হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হলেও এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি ফখরুল।যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, আমরা আগেই বলেছি, এ বিচার নিয়ে মন্তব্য করব না। তবে আমাদের আগে যে স্ট্যান্ড ছিল সেটাই এখনও আছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক তা আমরা চাই। তবে সেটা যেন রাজনৈতিক উদ্দেশে না হয়। বিচার সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হতে হবে।অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আন্দোলনের বিকল্প নেই। সময়মতো উপযুক্ত আন্দোলন কর্মসূচি দেয়া হবে। নির্বাচনের পর ১০ মাস অতিবাহিত হলেও বিএনপি জোরালো আন্দোলন সংগঠিত করতে পারেনি- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আন্দোলনেই আছি। আন্দোলন করছি। সময়মতো আন্দোলন যেভাবে আসা দরকার সেভাবে আসবে। জনগণকে সম্পৃক্ত করে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আন্দোলনের মাধ্যমে আদায় করা হবে।লিখিত বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তগুলো জানান ফখরুল। তিনি বলেন, সভায় খালেদা জিয়া একটি অর্থবহ নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার জন্য সব দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। অতি দ্রুত অঙ্গসংগঠনসহ মূল দলের সব স্তরে সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।তিনি জানান, সভায় বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে, অবৈধ সরকারের দুঃশাসনে জনজীবন দুঃসহ হয়ে উঠেছে। আইনশৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। হত্যা, খুন, অপহরণ, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ছিনতাই ধর্ষণ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি পুলিশের বেআইনি আচরণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশ একটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব পেটোয়া বাহিনী হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানও এ বিষয়ে তার উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। সভায় র্যাব ও পুলিশকে এ ধরনের আইনবহির্ভূত কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়।মির্জা আলমগীর জানান, ৮ নভেম্বর ঢাকায় তাদের সমাবেশ করতে না দেয়া এবং ৯ নভেম্বর বিএনপির কর্মসূচিতে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের হামলা চালানোর ঘটনায় সভায় নিন্দা জানানো হয়। ঢাকা মহানগরীতে বিএনপির কর্মিসভা, সমাবেশ, মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে এই অবৈধ সরকার গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে। সভা মনে করে, সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে এবং বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে দমন করার হীন চক্রান্ত করছে।তিনি অভিযোগ করেন, সরকার বিএনপি চেয়ারপারসনসহ সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় জনপ্রতিনিধিদের আটক করার মাধ্যমে বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার নীল নকশা বাস্তবায়ন করছে। সভায় যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেফতার, বিভিন্ন জায়গায় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার দাবি জানানো হয়।তিনি বলেন, সভায় জিয়াউর রহমানকে নিয়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বক্তব্যেরও নিন্দা জানানো হয়। সভা মনে করে, এ ধরনের মিথ্যাচার, কটূক্তি রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও কলুষিত করবে এবং এর দায়ভার বর্তমান সরকারকেই নিতে হবে।তিনি বলেন, অবৈধ সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের প্রত্যক্ষ মদদে দুর্নীতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ব্যাংক লুট, শেয়ারবাজার ধ্বংস, পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাওয়া, বিদেশে শ্রমবাজার বন্ধ, দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ-গ্যাস-জ্বালানিসহ কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এ অবস্থায় সব দলের অংশগ্রহণে একটি অর্থবহ নির্বাচন ছাড়া বিকল্প নেই।সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।এদিকে বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক স্মরণসভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের আজ যে পরিস্থিত এখানে মানুষের কথা বলার অধিকার নেই- গণতন্ত্র বিপন্ন। মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত। এ অবস্থায় নুরুল হুদা মির্জাদের মতো ক্ষণজন্মা মানুষদের খুব প্রয়োজন ছিল। নুরুল হুদা মির্জার তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নুরুল হুদা মির্জা স্মৃতি পরিষদ এ স্মরণসভার আয়োজন করে।নুরুল হুদার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, রাজনীতিতে আমার প্রথম হাতে খড়ি নুরুল হুদা মির্জার কাছ থেকেই। তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থেই বিরল ব্যক্তিত্বের অধিকারী। এ রকম আÍমর্যাদাসম্পন্ন লোক খুব কমই আমরা দেখেছি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ বলেন, আমরা যদি বাংলাদেশের আদর্শ পুরুষের নামের তালিকা তৈরি করি, তাহলে সে তালিকা খুব বেশি লম্বা হবে না। সংক্ষিপ্ত তালিকায় নুরুল হুদা মির্জার নাম ওপরের দিকেই থাকবে। তিনি ছিলেন স্বআদর্শ ও নীতিতে বিশ্বাসী এক বিরল মনীষী।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিশিষ্ট কলামিস্ট বদরুদ্দীন ওমর, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হায়দার আকবর খান রনো, অধ্যাপক নুরুল আহমেদ, সাংবাদিক কামাল উদ্দীন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ।
ফখরুল বলেন, এইচটি ইমামের বক্তব্যে আমাদের অভিযোগ প্রমাণ হয়ে গেল। আমরা আগেই বলেছি, আওয়ামী লীগ তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে নির্বাচনকে পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে এমন একটি নির্বাচন করেছে। তা এইচটি ইমামের কথায় প্রমাণ হয়েছে। তিনি বলেন, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়া হত্যা মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিলের ব্যাপারে তীব্র নিন্দা জানানো হয়। বিএনপি মনে করে, ১০ বছর পর তৃতীয়বারের মতো অভিযোগপত্র দিয়ে সিলেটের মেয়র আরিফুল হক ও হবিগঞ্জের মেয়র জিকে গউছকে রাজনৈতিক কারণে জড়ানো হয়েছে। তবে এই মামলায় বিএনপির সাবেক নেতা হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হলেও এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি ফখরুল।যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, আমরা আগেই বলেছি, এ বিচার নিয়ে মন্তব্য করব না। তবে আমাদের আগে যে স্ট্যান্ড ছিল সেটাই এখনও আছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক তা আমরা চাই। তবে সেটা যেন রাজনৈতিক উদ্দেশে না হয়। বিচার সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হতে হবে।অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আন্দোলনের বিকল্প নেই। সময়মতো উপযুক্ত আন্দোলন কর্মসূচি দেয়া হবে। নির্বাচনের পর ১০ মাস অতিবাহিত হলেও বিএনপি জোরালো আন্দোলন সংগঠিত করতে পারেনি- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আন্দোলনেই আছি। আন্দোলন করছি। সময়মতো আন্দোলন যেভাবে আসা দরকার সেভাবে আসবে। জনগণকে সম্পৃক্ত করে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আন্দোলনের মাধ্যমে আদায় করা হবে।লিখিত বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তগুলো জানান ফখরুল। তিনি বলেন, সভায় খালেদা জিয়া একটি অর্থবহ নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার জন্য সব দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। অতি দ্রুত অঙ্গসংগঠনসহ মূল দলের সব স্তরে সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।তিনি জানান, সভায় বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে, অবৈধ সরকারের দুঃশাসনে জনজীবন দুঃসহ হয়ে উঠেছে। আইনশৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। হত্যা, খুন, অপহরণ, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ছিনতাই ধর্ষণ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি পুলিশের বেআইনি আচরণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশ একটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব পেটোয়া বাহিনী হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানও এ বিষয়ে তার উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। সভায় র্যাব ও পুলিশকে এ ধরনের আইনবহির্ভূত কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়।মির্জা আলমগীর জানান, ৮ নভেম্বর ঢাকায় তাদের সমাবেশ করতে না দেয়া এবং ৯ নভেম্বর বিএনপির কর্মসূচিতে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের হামলা চালানোর ঘটনায় সভায় নিন্দা জানানো হয়। ঢাকা মহানগরীতে বিএনপির কর্মিসভা, সমাবেশ, মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে এই অবৈধ সরকার গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে। সভা মনে করে, সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে এবং বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে দমন করার হীন চক্রান্ত করছে।তিনি অভিযোগ করেন, সরকার বিএনপি চেয়ারপারসনসহ সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় জনপ্রতিনিধিদের আটক করার মাধ্যমে বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার নীল নকশা বাস্তবায়ন করছে। সভায় যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেফতার, বিভিন্ন জায়গায় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার দাবি জানানো হয়।তিনি বলেন, সভায় জিয়াউর রহমানকে নিয়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বক্তব্যেরও নিন্দা জানানো হয়। সভা মনে করে, এ ধরনের মিথ্যাচার, কটূক্তি রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও কলুষিত করবে এবং এর দায়ভার বর্তমান সরকারকেই নিতে হবে।তিনি বলেন, অবৈধ সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের প্রত্যক্ষ মদদে দুর্নীতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ব্যাংক লুট, শেয়ারবাজার ধ্বংস, পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাওয়া, বিদেশে শ্রমবাজার বন্ধ, দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ-গ্যাস-জ্বালানিসহ কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এ অবস্থায় সব দলের অংশগ্রহণে একটি অর্থবহ নির্বাচন ছাড়া বিকল্প নেই।সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।এদিকে বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক স্মরণসভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের আজ যে পরিস্থিত এখানে মানুষের কথা বলার অধিকার নেই- গণতন্ত্র বিপন্ন। মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত। এ অবস্থায় নুরুল হুদা মির্জাদের মতো ক্ষণজন্মা মানুষদের খুব প্রয়োজন ছিল। নুরুল হুদা মির্জার তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নুরুল হুদা মির্জা স্মৃতি পরিষদ এ স্মরণসভার আয়োজন করে।নুরুল হুদার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, রাজনীতিতে আমার প্রথম হাতে খড়ি নুরুল হুদা মির্জার কাছ থেকেই। তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থেই বিরল ব্যক্তিত্বের অধিকারী। এ রকম আÍমর্যাদাসম্পন্ন লোক খুব কমই আমরা দেখেছি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ বলেন, আমরা যদি বাংলাদেশের আদর্শ পুরুষের নামের তালিকা তৈরি করি, তাহলে সে তালিকা খুব বেশি লম্বা হবে না। সংক্ষিপ্ত তালিকায় নুরুল হুদা মির্জার নাম ওপরের দিকেই থাকবে। তিনি ছিলেন স্বআদর্শ ও নীতিতে বিশ্বাসী এক বিরল মনীষী।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিশিষ্ট কলামিস্ট বদরুদ্দীন ওমর, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হায়দার আকবর খান রনো, অধ্যাপক নুরুল আহমেদ, সাংবাদিক কামাল উদ্দীন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ।
No comments