সিলেটে ৩ নেতার পক্ষে মাঠে নামছে বিএনপি
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশিটে বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে কঠোর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে দলটি। শুক্রবার স্থানীয় একটি হোটেলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন করে আগামী রোববার নগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ সমাবেশ থেকেই পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান শমসের মবিন চৌধুরী। এদিকে, সিটি মেয়র আরিফকে কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সিটি কাউন্সিলররা। শুক্রবার বিকালে সিটি কর্পোরেশন হলরুমে আয়োজিত জরুরি সভায় এ বিস্ময় প্রকাশ করা হয়।
চার্জশিট থেকে তাদের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী এএমএস কিবরিয়া একজন সজ্জন মানুষ ছিলেন। আওয়ামী লীগ ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে। মানুষ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সেই নির্বাচন জনগণ বয়কট করেছিল। আওয়ামী লীগ মানুষের কথা শুনছে না। তারা দেশব্যাপী ন্যক্কারজনক আচরণ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ বছর পর কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের সম্পূরক চার্জশিট দিয়েছে। এই চার্জশিটে বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র জিকে গউছকে আসামি করা হয়েছে। অসৎ উদ্দেশ্য, বিএনপিকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে তাদের নাম চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। কিবরিয়া সাহেবের পরিবারের পক্ষ থেকে রেজা কিবরিয়া এই চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করেছেন, তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিএনপিও এই চার্জশিটের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। তিনি বলেন, অবৈধ সরকার একদলীয় শাসন চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। সর্বশেষ ঢাকায় খালেদা জিয়াকেও মহাসমাবেশ করতে দেয়নি সরকার।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, সদস্য সচিব বদরুজ্জামান সেলিম, বিএনপি নেতা আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, এমএ হক, দিলদার হোসেন সেলিম, অ্যাডভোকেট নোমান মাহমুদ, নাসিম হোসাইন, অ্যাডভোকেট আবদুল গফফার, আলী আহমদ, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, আজমল বখত সাদেক, এমদাদ চৌধুরী, মাহবুব চৌধুরী, মিফতাহ সিদ্দিকী ও ডা. নাজমুল ইসলাম।এদিকে, শুক্রবার বিকালে সিটি কর্পোরেশনের সভাকক্ষে আয়োজিত এক জরুরি সভায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের আহবান জানিয়ে কাউন্সিলররা বলেন, আমরাও চাই প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। কিন্তু এই তদন্ত কার্যক্রমকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সিলেটের জনপ্রিয় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে জড়িয়ে যাতে অযথা হয়রানি করা না হয় সেজন্য আমরা সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। প্যানেল মেয়র সিটি কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।এদিকে হবিগঞ্জ প্রতিনিধি এখলাছুর রহমান খোকন জানান, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার বিচার নিয়ে আশার সঞ্চার হয়েছে আহত ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর মধ্যে। তৃতীয় দফার চার্জশিটে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা। এখন দ্রুত এ হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করা হবে বলে প্রত্যাশাও তাদের।তবে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিকে গউছকে এ মামলায় আসামি করায় বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় ছাত্রদলের একাংশ ও যুবদল।শুক্রবার যুগান্তরের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মামলার আইনজীবী আলমগীর ভূঁইয়া বাবুল বলেন, সেদিন আমি নিজেও গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছি। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। তা সত্ত্বেও আমি তখন মামলার আইনজীবীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। সিআইডির তৎকালীন এএসপি মুন্সী আতিক প্রথম দফার চার্জশিট দিয়ে জজ মিয়া নাটক সাজাতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি বাদী পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নারাজি দেই। আদালত নারাজি গ্রহণ করে পুনরায় অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডির সিনিয়র এএসপি রফিকুল ইসলাম তদন্ত করে ২০১১ সালে ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন। আমরা চার্জশিট পর্যালোচনা করে বাদী পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এর বিরুদ্ধেও নারাজি দেই। সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক পুনঃতদন্তের আদেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা সিলেটের সিআইডির এএসপি মেহেরুন্নেছা যে চার্জশিট দিয়েছেন তাতে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে অনেক তথ্য-উপাত্ত উল্লেখ করেছেন। মনে হচ্ছে এটি সঠিক চার্জশিটই দিয়েছেন তিনি। তবে চার্জশিট হাতে পাওয়ার পর বাদী পক্ষ এবং হামলায় গুরুতর আহত জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর গ্রেনেড হামলায় আহত আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল আহাদ ফারুক যুগান্তরকে জানান, দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমাতায় থাকলেও এ মামলার বিচার হচ্ছে না। ফলে আমরা মানুষের কাছে বিভিন্ন সময় প্রশ্নের সম্মুখীন হই। আমি আশা করি এ চার্জশিটের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং হবিগঞ্জবাসী কলংক মুক্ত হবে।হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা এ চার্জশিট দাখিল করায় আওয়ামী পরিবারসহ হবিগঞ্জের মানুষ আনন্দে আত্মহারা। যারা অপরাধী এবং প্রকৃত দোষী তাদের বিচার অবশ্যই বাংলার মাটিতে হবে। এর মাধ্যমে বহির্বিশ্বেও দেশ সমাদৃত হবে।এদিকে চার্জশিটটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রদলের একাংশ ও যুবদল। তাদের দাবি জিকে গউছকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নিয়ে ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা গ্রেনেড হামলা চালিয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ ৫ জনকে হত্যা করে।
চার্জশিট থেকে তাদের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী এএমএস কিবরিয়া একজন সজ্জন মানুষ ছিলেন। আওয়ামী লীগ ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে। মানুষ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সেই নির্বাচন জনগণ বয়কট করেছিল। আওয়ামী লীগ মানুষের কথা শুনছে না। তারা দেশব্যাপী ন্যক্কারজনক আচরণ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ বছর পর কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের সম্পূরক চার্জশিট দিয়েছে। এই চার্জশিটে বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র জিকে গউছকে আসামি করা হয়েছে। অসৎ উদ্দেশ্য, বিএনপিকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে তাদের নাম চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। কিবরিয়া সাহেবের পরিবারের পক্ষ থেকে রেজা কিবরিয়া এই চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করেছেন, তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিএনপিও এই চার্জশিটের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। তিনি বলেন, অবৈধ সরকার একদলীয় শাসন চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। সর্বশেষ ঢাকায় খালেদা জিয়াকেও মহাসমাবেশ করতে দেয়নি সরকার।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, সদস্য সচিব বদরুজ্জামান সেলিম, বিএনপি নেতা আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, এমএ হক, দিলদার হোসেন সেলিম, অ্যাডভোকেট নোমান মাহমুদ, নাসিম হোসাইন, অ্যাডভোকেট আবদুল গফফার, আলী আহমদ, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, আজমল বখত সাদেক, এমদাদ চৌধুরী, মাহবুব চৌধুরী, মিফতাহ সিদ্দিকী ও ডা. নাজমুল ইসলাম।এদিকে, শুক্রবার বিকালে সিটি কর্পোরেশনের সভাকক্ষে আয়োজিত এক জরুরি সভায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের আহবান জানিয়ে কাউন্সিলররা বলেন, আমরাও চাই প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। কিন্তু এই তদন্ত কার্যক্রমকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সিলেটের জনপ্রিয় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে জড়িয়ে যাতে অযথা হয়রানি করা না হয় সেজন্য আমরা সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। প্যানেল মেয়র সিটি কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।এদিকে হবিগঞ্জ প্রতিনিধি এখলাছুর রহমান খোকন জানান, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার বিচার নিয়ে আশার সঞ্চার হয়েছে আহত ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর মধ্যে। তৃতীয় দফার চার্জশিটে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা। এখন দ্রুত এ হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করা হবে বলে প্রত্যাশাও তাদের।তবে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিকে গউছকে এ মামলায় আসামি করায় বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় ছাত্রদলের একাংশ ও যুবদল।শুক্রবার যুগান্তরের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মামলার আইনজীবী আলমগীর ভূঁইয়া বাবুল বলেন, সেদিন আমি নিজেও গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছি। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। তা সত্ত্বেও আমি তখন মামলার আইনজীবীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। সিআইডির তৎকালীন এএসপি মুন্সী আতিক প্রথম দফার চার্জশিট দিয়ে জজ মিয়া নাটক সাজাতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি বাদী পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নারাজি দেই। আদালত নারাজি গ্রহণ করে পুনরায় অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডির সিনিয়র এএসপি রফিকুল ইসলাম তদন্ত করে ২০১১ সালে ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন। আমরা চার্জশিট পর্যালোচনা করে বাদী পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এর বিরুদ্ধেও নারাজি দেই। সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক পুনঃতদন্তের আদেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা সিলেটের সিআইডির এএসপি মেহেরুন্নেছা যে চার্জশিট দিয়েছেন তাতে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে অনেক তথ্য-উপাত্ত উল্লেখ করেছেন। মনে হচ্ছে এটি সঠিক চার্জশিটই দিয়েছেন তিনি। তবে চার্জশিট হাতে পাওয়ার পর বাদী পক্ষ এবং হামলায় গুরুতর আহত জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর গ্রেনেড হামলায় আহত আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল আহাদ ফারুক যুগান্তরকে জানান, দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমাতায় থাকলেও এ মামলার বিচার হচ্ছে না। ফলে আমরা মানুষের কাছে বিভিন্ন সময় প্রশ্নের সম্মুখীন হই। আমি আশা করি এ চার্জশিটের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং হবিগঞ্জবাসী কলংক মুক্ত হবে।হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা এ চার্জশিট দাখিল করায় আওয়ামী পরিবারসহ হবিগঞ্জের মানুষ আনন্দে আত্মহারা। যারা অপরাধী এবং প্রকৃত দোষী তাদের বিচার অবশ্যই বাংলার মাটিতে হবে। এর মাধ্যমে বহির্বিশ্বেও দেশ সমাদৃত হবে।এদিকে চার্জশিটটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রদলের একাংশ ও যুবদল। তাদের দাবি জিকে গউছকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নিয়ে ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা গ্রেনেড হামলা চালিয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ ৫ জনকে হত্যা করে।
No comments