সীমানা পুনর্নির্ধারণ ও ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ- ৩৮টি দলের সঙ্গে এক দিনে সংলাপ করবে ইসি! by তানভীর সোহেল
নিবন্ধিত ৩৮টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এক দিনে সংলাপ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে কোনো বিরতি ছাড়া বৈঠক চললে প্রতিটি দল সর্বোচ্চ ১২ মিনিট করে সময় পাবে।
আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই আলোচনার জন্য এভাবে সময় ঠিক করায় এ সংলাপের বিষয়ে ইসির আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই বৈঠকে ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ ও ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। একই বিষয়ে কমিশন ইতিমধ্যে গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা কমিশনকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, এক দিনে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা নির্বাচন কমিশন আগেই করেছে। তবে এখন এ নিয়ে অন্য চিন্তাভাবনাও হচ্ছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কমিশনের বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন নিয়ে কাজ করে এমন কয়েকটি সংস্থা বলেছে, এত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এক দিনে বৈঠক করার চিন্তা যে পর্যায়েই হোক, এটা বাস্তবসম্মত নয়। তারা মনে করে, কমিশনের কাজই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। তাদেরই যদি ইসি সময় দিতে রাজি না থাকে, তাহলে তা চিন্তার উদ্রেগ করে।
একজন কমিশনার নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত আলোচনায় বসার জন্য বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল সম্প্রতি কমিশনের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিএনপির অংশগ্রহণ কমিশনকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখবে এমন আশাবাদ থেকে দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কমিশন সূত্র জানায়, নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করার পরিকল্পনা আছে কমিশনের। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একসঙ্গে সব দলকে অথবা এক দিনে দুই ভাগে দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ও তাদের সমমনা দলগুলোর সঙ্গে এক বেলা সংলাপ হবে। আরেক বেলায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের সমমনা দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। তবে সিইসি কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ দেশে ফিরলে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।
গত ৩০ অক্টোবর সিইসি কয়েকজন সাংবাদিককে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এক দিনে সংলাপ হবে। তবে প্রয়োজন হলে ভাগে ভাগে করা যাবে।
একই দিনে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের সফলতা নিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সংশয়ে আছেন।
জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও কয়েকটি বাম রাজনৈতিক দলের বৈঠকে আপত্তি আছে। তা ছাড়া আট ঘণ্টার কর্মদিবসে টানা আলোচনা হলেও একেকটি দল সময় পাবে মাত্র ১২ মিনিট করে। এর মধ্যে দুপুরের খাবার ও কমিশনারদের বক্তব্যের সময় বাদ দিলে দলগুলো আরও কম সময় পাবে। তবে জোটগতভাবে বসলে তা ভিন্ন কথা।
জানতে চাইলে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর হালহকিকত সম্পর্কে ধারণা রাখে না। রাখলে এক দিনে এমন একটি বৈঠক করার চিন্তা করত না। তিনি বলেন, কমিশনের উচিত প্রতিটি দলের সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করা। এতে তাদের আস্থায় আনা সম্ভব হবে। নিবন্ধিত দলগুলোর কোনটিকে ছোট বা বড় বলে ধরে নিলে কমিশন ভুল করবে।
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, এক দিনে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা নির্বাচন কমিশন আগেই করেছে। তবে এখন এ নিয়ে অন্য চিন্তাভাবনাও হচ্ছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কমিশনের বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন নিয়ে কাজ করে এমন কয়েকটি সংস্থা বলেছে, এত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এক দিনে বৈঠক করার চিন্তা যে পর্যায়েই হোক, এটা বাস্তবসম্মত নয়। তারা মনে করে, কমিশনের কাজই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। তাদেরই যদি ইসি সময় দিতে রাজি না থাকে, তাহলে তা চিন্তার উদ্রেগ করে।
একজন কমিশনার নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত আলোচনায় বসার জন্য বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল সম্প্রতি কমিশনের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিএনপির অংশগ্রহণ কমিশনকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখবে এমন আশাবাদ থেকে দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কমিশন সূত্র জানায়, নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করার পরিকল্পনা আছে কমিশনের। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একসঙ্গে সব দলকে অথবা এক দিনে দুই ভাগে দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ও তাদের সমমনা দলগুলোর সঙ্গে এক বেলা সংলাপ হবে। আরেক বেলায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের সমমনা দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। তবে সিইসি কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ দেশে ফিরলে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।
গত ৩০ অক্টোবর সিইসি কয়েকজন সাংবাদিককে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এক দিনে সংলাপ হবে। তবে প্রয়োজন হলে ভাগে ভাগে করা যাবে।
একই দিনে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের সফলতা নিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সংশয়ে আছেন।
জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও কয়েকটি বাম রাজনৈতিক দলের বৈঠকে আপত্তি আছে। তা ছাড়া আট ঘণ্টার কর্মদিবসে টানা আলোচনা হলেও একেকটি দল সময় পাবে মাত্র ১২ মিনিট করে। এর মধ্যে দুপুরের খাবার ও কমিশনারদের বক্তব্যের সময় বাদ দিলে দলগুলো আরও কম সময় পাবে। তবে জোটগতভাবে বসলে তা ভিন্ন কথা।
জানতে চাইলে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর হালহকিকত সম্পর্কে ধারণা রাখে না। রাখলে এক দিনে এমন একটি বৈঠক করার চিন্তা করত না। তিনি বলেন, কমিশনের উচিত প্রতিটি দলের সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করা। এতে তাদের আস্থায় আনা সম্ভব হবে। নিবন্ধিত দলগুলোর কোনটিকে ছোট বা বড় বলে ধরে নিলে কমিশন ভুল করবে।
No comments