প্রাণের জুস উৎপাদন ও বিপণন বিষয়ে হাইকোর্টের রুল

প্রাণ কোম্পানির আম, কমলাসহ বিভিন্ন ফলের নামে জুস উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও বিপণন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এসব পণ্যের উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও বিপণন বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।


বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপিত মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রোববার একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ রুল জারি করেন। স্বাস্থ্যসচিব, খাদ্যসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যা বের মহাপরিচালক, বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক ও ঢাকার জেলা প্রশাসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ১৮ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।
গত ২৩ অক্টোবর একটি দৈনিকে ‘প্রাণের ভেজাল ফ্রুট ড্রিংকস এখনো বাজারে’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এটি যুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে গতকাল রিটটি করা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নুসরাত জাহান।
পরে মনজিল মোরসেদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিএসটিআই এসব পণ্যের পরীক্ষা করে। কিন্তু এতে ফলের কোনো উপাদান নেই। মানসম্মত উৎপাদন না করায় তাদের লাইসেন্সও বাতিল করা হয়। এর পরও বাজারে এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে, যাতে প্রিজারভেটিভ রয়েছে। এ কারণে রিটটি করা হয়। আদালত রুল জারি করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.