‘আমরাই বা কম কিসে?’- যুবদল নেতার অস্ত্রবাজি
বৃক্ষের পরিচয় ফলে, আর একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতার পরিচয় ক্ষমতায়। সরকারি ক্ষমতা না থাকলেও তাঁদের খাসলতের বিশেষ বদল হয় না। নারায়ণগঞ্জে যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক ক্ষমতার ‘পরিচয়’ পাওয়া গেল।
সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের সন্ত্রাসী দাপটে বিরোধীদলীয়দের সরকারি দলে থাকার সময়ের কার্যকলাপ যখন ফিকে হয়ে এসেছে, তখন তাঁরা মনে করিয়ে দিলেন ‘আমরাই বা কম কিসে?’
যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির কারারুদ্ধ সভাপতির মুক্তির দাবিতে সভা করা অন্যায় নয়। গতকাল রোববারের প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত আলোকচিত্রে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন মিলে পড়ে থাকা একজনকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে, আর তার পাশেই হাতে পিস্তল আর চোখে সানগ্লাস পরে দাঁড়িয়ে আছেন যুবদলের স্থানীয় সহসভাপতি পান্না মোল্লা। গত শনিবার সেখানে উভয় পক্ষ যে সশস্ত্র সংঘাতে লিপ্ত হয়, পান্না মোল্লা সেই সংঘাতের একজন অন্যতম সেনাপতি বটে। সেই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন চারজন। নেতার হাতে পিস্তল, কর্মীরা গুলিবিদ্ধ, গণতন্ত্রের নামে সন্ত্রাস—এই কি রাজনীতি? বিরোধী দলে থাকা অবস্থাতেই যাঁরা এমন সশস্ত্র ও সহিংস, ক্ষমতায় গেলে তাঁরা কী করবেন, তা সহজেই অনুমেয়।
দেশময় ছাত্রলীগ আর যুবলীগের কর্মীদের সশস্ত্র দাপটের অভ্যস্ত ছবির পাশে যুবদল নেতার সশস্ত্র পদচারণ সমানে সমান বলে উপেক্ষা করা যায় না। দল তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবে, তা দেখার অপেক্ষা না করে পুলিশেরই উচিত ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেই খালাস যে পরিস্থিতি এখন শান্ত। সংঘাত, অস্ত্রবাজি, গুলিবিদ্ধ হওয়া ইত্যাদির পরের ‘শান্ত পরিস্থিতি’ তো হত্যাপুরীর শান্তি!
রাজনীতির শাসন মানে যদি অস্ত্রের শাসন হয় এবং সরকারি দল আর বিরোধী দল যদি এ বিষয়ে সমানে সমান হয়, তা হলে দেশের মানুষ কোথায় ভরসা রাখবে? আমরা সরকারি ও বিরোধী উভয় দলের সশস্ত্র ক্যাডারদের কঠোর শাস্তি চাই। চাই দল তাদের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখুক। সর্বোপরি, রাজনীতিকে প্রকৃত রাজনীতিবিদদের হাতে ফিরিয়ে দিতে না পারলে এসব বর্বর সন্ত্রাসীর হাতেই রাজনীতি জিম্মি হয়ে থাকবে। সেটা আর চলতে দেওয়া যায় না।
যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির কারারুদ্ধ সভাপতির মুক্তির দাবিতে সভা করা অন্যায় নয়। গতকাল রোববারের প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত আলোকচিত্রে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন মিলে পড়ে থাকা একজনকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে, আর তার পাশেই হাতে পিস্তল আর চোখে সানগ্লাস পরে দাঁড়িয়ে আছেন যুবদলের স্থানীয় সহসভাপতি পান্না মোল্লা। গত শনিবার সেখানে উভয় পক্ষ যে সশস্ত্র সংঘাতে লিপ্ত হয়, পান্না মোল্লা সেই সংঘাতের একজন অন্যতম সেনাপতি বটে। সেই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন চারজন। নেতার হাতে পিস্তল, কর্মীরা গুলিবিদ্ধ, গণতন্ত্রের নামে সন্ত্রাস—এই কি রাজনীতি? বিরোধী দলে থাকা অবস্থাতেই যাঁরা এমন সশস্ত্র ও সহিংস, ক্ষমতায় গেলে তাঁরা কী করবেন, তা সহজেই অনুমেয়।
দেশময় ছাত্রলীগ আর যুবলীগের কর্মীদের সশস্ত্র দাপটের অভ্যস্ত ছবির পাশে যুবদল নেতার সশস্ত্র পদচারণ সমানে সমান বলে উপেক্ষা করা যায় না। দল তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবে, তা দেখার অপেক্ষা না করে পুলিশেরই উচিত ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেই খালাস যে পরিস্থিতি এখন শান্ত। সংঘাত, অস্ত্রবাজি, গুলিবিদ্ধ হওয়া ইত্যাদির পরের ‘শান্ত পরিস্থিতি’ তো হত্যাপুরীর শান্তি!
রাজনীতির শাসন মানে যদি অস্ত্রের শাসন হয় এবং সরকারি দল আর বিরোধী দল যদি এ বিষয়ে সমানে সমান হয়, তা হলে দেশের মানুষ কোথায় ভরসা রাখবে? আমরা সরকারি ও বিরোধী উভয় দলের সশস্ত্র ক্যাডারদের কঠোর শাস্তি চাই। চাই দল তাদের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখুক। সর্বোপরি, রাজনীতিকে প্রকৃত রাজনীতিবিদদের হাতে ফিরিয়ে দিতে না পারলে এসব বর্বর সন্ত্রাসীর হাতেই রাজনীতি জিম্মি হয়ে থাকবে। সেটা আর চলতে দেওয়া যায় না।
No comments