ফরিদপুর পৌরসভার সব সড়কই বেহাল
‘প্রত্যেক বছরই রাস্তাগুলা ঠিক করা হয়। কিন্তু দুই দিনও টিকে না। এই রাস্তা দিয়া রিকশা চালানোই কঠিন।’
ক্ষুব্ধ কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন ফরিদপুর শহরের লক্ষ্মীপুর মহল্লার রিকশাচালক হামিদ মিয়া।
ক্ষুব্ধ কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন ফরিদপুর শহরের লক্ষ্মীপুর মহল্লার রিকশাচালক হামিদ মিয়া।
শুধু রিকশাচালকই নন, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও ট্রাকচালকদেরও ওই এককথা। ফরিদপুর পৌরসভার সব রাস্তাই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিবছরই সড়কগুলো মেরামত করা হয়। কিন্তু কয়েক দিন যেতে না যেতেই সেগুলো আগের অবয়ব ফিরে পায়। এর ফলে পৌরবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, প্রথম শ্রেণীর এই পৌরসভায় মোট রাস্তা আছে ২৩২টি। যার দৈর্ঘ্য ১৬২ দশমিক ৮০ কিলোমিটার। এর মধ্যে পাকা রাস্তা ৮০ দশমিক ২৫ কিলোমিটার, বিটুমিনাস কার্পেটিং আছে ৪৮ দশমিক ২৫, হেরিংবোন ৯ দশমিক ২০ ও কাঁচা রাস্তা আছে ২৫ দশমিক ১০ কিলোমিটার। রাস্তা মেরামত ও সংস্কারে ২০১০-১১ অর্থবছরে ব্যয় করা হয় ৯৩ লাখ ৬৬ হাজার ৮০৭ টাকা। ২০১১-১২ অর্থবছরে ব্যয় হয় এক কোটি টাকা এবং ২০১২-১৩ বছরে এ খাতে এক কোটি ৪৭ লাখ টাকা রাখা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের থানা রোড, চকবাজার সড়ক, কবি জসীমউদ্দীন সড়ক, অম্বিকা সড়ক, করিম মিয়া সড়ক, মসজিদবাড়ি সড়ক, মোল্লাবাড়ি সড়কের নতুন বাজার এলাকা, মিয়াপাড়া, চৌধুরীবাড়ি এলাকা, সিংপাড়া, শোভারামপুর, ওয়্যারলেসপাড়া, রথখোলা, পূর্বখাবাসপুর তালতলা, গুহলক্ষ্মী পালপাড়া, টেপাখোলা বেলতলা, চন্দ্রকান্তনাথ, সোনালী ব্যাংক থেকে ওয়াসিত্ব টাওয়ার পর্যন্ত সড়ক চলাচলে একেবারেই অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে।
কবি জসীমউদ্দীন সড়কের বাসিন্দা মুনশি হারুন অর রশিদ জানান, এটি একটি সরু সড়ক। এ সড়কে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি কেজি স্কুল, একটি বালিকা বিদ্যালয় ও একটি প্রাইভেট হাসপাতাল আছে। এ সড়ক দিয়ে ট্রাকসহ ভারী যানবাহন চলাচল করায় সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে গেছে। এ সড়কটি পায়ে হাঁটার জন্যও অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
মসজিদবাড়ি সড়কের বাসিন্দা মো. তজিউদ্দীন জানান, এ সড়কের বিভিন্ন জায়গা ভাঙা। রাস্তার দুই পাশে ভাঙারির মালামাল রেখে ব্যবসা করা হয়। এ ছাড়া শহরের প্রধান মসজিদ চকবাজার জামে মসজিদ এ সড়কে অবস্থিত। এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাওছার আলী মোল্লা বলেন, ‘রাস্তাগুলো সংস্কার করার জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। এ প্রকল্পে শহরের প্রতিটি সড়ক অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিছু নতুন সড়ক নির্মাণ করা হবে। আশা করি, প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আগামী জুনের (২০১৩) মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে।’
ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র শেখ মাহাতাব আলী বলেন, বর্তমানে বিটুমিনের কাজ করা যাচ্ছে না। খোয়া দিয়ে গর্ত ভরে দিয়ে কোনোভাবে কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না। ট্রাকসহ ভারী যানবাহন চললে খোয়া উঠে যাচ্ছে। রাস্তা আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। পরিপূর্ণভাবে বিটুমিনের কাজ না করা গেলে সমস্যার সমাধান হবে না। বৃষ্টি শেষ হলে দরপত্র আহ্বান করে সড়কগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, প্রথম শ্রেণীর এই পৌরসভায় মোট রাস্তা আছে ২৩২টি। যার দৈর্ঘ্য ১৬২ দশমিক ৮০ কিলোমিটার। এর মধ্যে পাকা রাস্তা ৮০ দশমিক ২৫ কিলোমিটার, বিটুমিনাস কার্পেটিং আছে ৪৮ দশমিক ২৫, হেরিংবোন ৯ দশমিক ২০ ও কাঁচা রাস্তা আছে ২৫ দশমিক ১০ কিলোমিটার। রাস্তা মেরামত ও সংস্কারে ২০১০-১১ অর্থবছরে ব্যয় করা হয় ৯৩ লাখ ৬৬ হাজার ৮০৭ টাকা। ২০১১-১২ অর্থবছরে ব্যয় হয় এক কোটি টাকা এবং ২০১২-১৩ বছরে এ খাতে এক কোটি ৪৭ লাখ টাকা রাখা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের থানা রোড, চকবাজার সড়ক, কবি জসীমউদ্দীন সড়ক, অম্বিকা সড়ক, করিম মিয়া সড়ক, মসজিদবাড়ি সড়ক, মোল্লাবাড়ি সড়কের নতুন বাজার এলাকা, মিয়াপাড়া, চৌধুরীবাড়ি এলাকা, সিংপাড়া, শোভারামপুর, ওয়্যারলেসপাড়া, রথখোলা, পূর্বখাবাসপুর তালতলা, গুহলক্ষ্মী পালপাড়া, টেপাখোলা বেলতলা, চন্দ্রকান্তনাথ, সোনালী ব্যাংক থেকে ওয়াসিত্ব টাওয়ার পর্যন্ত সড়ক চলাচলে একেবারেই অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে।
কবি জসীমউদ্দীন সড়কের বাসিন্দা মুনশি হারুন অর রশিদ জানান, এটি একটি সরু সড়ক। এ সড়কে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি কেজি স্কুল, একটি বালিকা বিদ্যালয় ও একটি প্রাইভেট হাসপাতাল আছে। এ সড়ক দিয়ে ট্রাকসহ ভারী যানবাহন চলাচল করায় সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে গেছে। এ সড়কটি পায়ে হাঁটার জন্যও অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
মসজিদবাড়ি সড়কের বাসিন্দা মো. তজিউদ্দীন জানান, এ সড়কের বিভিন্ন জায়গা ভাঙা। রাস্তার দুই পাশে ভাঙারির মালামাল রেখে ব্যবসা করা হয়। এ ছাড়া শহরের প্রধান মসজিদ চকবাজার জামে মসজিদ এ সড়কে অবস্থিত। এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাওছার আলী মোল্লা বলেন, ‘রাস্তাগুলো সংস্কার করার জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। এ প্রকল্পে শহরের প্রতিটি সড়ক অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিছু নতুন সড়ক নির্মাণ করা হবে। আশা করি, প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আগামী জুনের (২০১৩) মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে।’
ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র শেখ মাহাতাব আলী বলেন, বর্তমানে বিটুমিনের কাজ করা যাচ্ছে না। খোয়া দিয়ে গর্ত ভরে দিয়ে কোনোভাবে কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না। ট্রাকসহ ভারী যানবাহন চললে খোয়া উঠে যাচ্ছে। রাস্তা আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। পরিপূর্ণভাবে বিটুমিনের কাজ না করা গেলে সমস্যার সমাধান হবে না। বৃষ্টি শেষ হলে দরপত্র আহ্বান করে সড়কগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে।
No comments