অদক্ষ ব্যবস্থাপনা-কাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে- বিমানের বিপর্যস্ত সময়সূচি
প্রতিবছর হজের মৌসুম আসা মানেই বাংলাদেশ বিমানের শিডিউল তছনছ, উড়োজাহাজ-সংকট। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এর সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে ভাড়া করা একটি উড়োজাহাজের আকস্মিক চলে যাওয়া।
সব মিলিয়ে বিমানের ফ্লাইটের সময়সূচি কার্যত ভেঙে পড়ার দশা হয়েছে। বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের অদক্ষতা, অযোগ্যতার যে প্রশ্নটি আমরা নিয়মিতই তুলে আসছি, তারই প্রতিফলন হচ্ছে এই সময়সূচি বিপর্যয়।
কয়েক দিন ধরে বিমানের শিডিউলের এমন দশা হয়েছে, কোনো ফ্লাইটই এখন সময়মতো ছাড়তে পারছে না। অবস্থা এতটাই খারাপ যে পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামী ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত বিমানের সব অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট স্থগিত করার মতো সিদ্ধান্তও নিতে হয়েছে। এরই মধ্যে বাতিল হয়েছে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী এই পরিস্থিতির কারণে গত কয়েক দিনে হাজার খানেক যাত্রী আটকা পড়েছে। ফ্লাইট কখন ছাড়বে, এ নিয়ে বিমান কর্তৃপক্ষের যেন কোনো জবাব নেই। হয়রানির শিকার এই ক্ষুব্ধ যাত্রীদের সঙ্গে তাই বিমান কর্তৃপক্ষের অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটছে।
হজ ফ্লাইট বা হজ মৌসুম হঠাৎ করে আসা কোনো বিষয় নয়। সবই পূর্বনির্ধারিত। হজ ফ্লাইট চালাতে গেলে অন্য ফ্লাইটগুলোর কী হবে, তখন অন্য ফ্লাইটের সময়সূচি কীভাবে ঠিক রাখা হবে, সে ব্যবস্থা তো আগেই নেওয়া প্রয়োজন ছিল। একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কতটা অদক্ষ ও দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে প্রতিবছর একই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। বিমানের ভাড়া করা একটি বোয়িং গত সপ্তাহে আকস্মিকভাবে ওমান থেকে না জানিয়ে চলে যায়। এই অবস্থার ওপর হয়তো বিমান কর্তৃপক্ষের হাত নেই। আজ ২০ সেপ্টেম্বর এই উড়োজাহাজটির ভাড়ার মেয়াদ এমনিতেই শেষ হয়ে যেত। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, ২০ তারিখে এই উড়োজাহাজটি চলে গেলে ঘাটতি সামাল দেওয়ার কী প্রস্তুতি ছিল বিমান কর্তৃপক্ষের? চাইলেই কি দু-এক দিনের মধ্যে একটি উড়োজাহাজ ভাড়া করা যায়! এটা পরিষ্কার যে পরিকল্পনা বলতে যা বোঝায় তার কিছুই নেই বিমানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে। তবে দুর্নীতি আর অনিয়মের ক্ষেত্রে এই কর্তৃপক্ষের ‘যোগ্যতা’ বা ‘দক্ষতা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। উড়োজাহাজ ভাড়া করা নিয়ে কেলেঙ্কারিও কম হয়নি।
বাংলাদেশ বিমানের সময়সূচি নিয়ে যখন এই বিপর্যয়কর দশা, তখন গত সোমবারই সংসদে এ নিয়ে এক অনির্ধারিত আলোচনা হয়েছে। সেখানে মহাজোট সরকারের শরিক দল জাতীয় পার্টির এক সংসদ সদস্য অভিযোগ করেছেন, কেবল এক ব্যক্তির কারণেই বিমানের এই দুর্দশা। যদি তা-ই হয়ে থাকে, তবে এই ব্যক্তিকে সরিয়ে বাংলাদেশ বিমানকে রক্ষা করা হচ্ছে না কেন?
আমরা আগেও বলেছি, আবারও বলি, একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ বিমান যেভাবে পরিচালিত হওয়ার কথা, সেভাবে প্রতিষ্ঠানটি চলছে না। এটাই বিমানের সর্বনাশের মূল কারণ। বাণিজ্যিক এয়ারলাইনস পরিচালনায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ একজন প্রধান নির্বাহী নিয়োগ দিয়ে এর ব্যবস্থাপনা-কাঠামো ঢেলে সাজানোর কোনো বিকল্প নেই। বিমানবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্তদের নতুন চাকরির সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশ বিমানকে যত দিন ব্যবহার করা হবে, তত দিন প্রতিষ্ঠানটির এই দুর্দশা কাটার সুযোগ নেই।
কয়েক দিন ধরে বিমানের শিডিউলের এমন দশা হয়েছে, কোনো ফ্লাইটই এখন সময়মতো ছাড়তে পারছে না। অবস্থা এতটাই খারাপ যে পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামী ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত বিমানের সব অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট স্থগিত করার মতো সিদ্ধান্তও নিতে হয়েছে। এরই মধ্যে বাতিল হয়েছে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী এই পরিস্থিতির কারণে গত কয়েক দিনে হাজার খানেক যাত্রী আটকা পড়েছে। ফ্লাইট কখন ছাড়বে, এ নিয়ে বিমান কর্তৃপক্ষের যেন কোনো জবাব নেই। হয়রানির শিকার এই ক্ষুব্ধ যাত্রীদের সঙ্গে তাই বিমান কর্তৃপক্ষের অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটছে।
হজ ফ্লাইট বা হজ মৌসুম হঠাৎ করে আসা কোনো বিষয় নয়। সবই পূর্বনির্ধারিত। হজ ফ্লাইট চালাতে গেলে অন্য ফ্লাইটগুলোর কী হবে, তখন অন্য ফ্লাইটের সময়সূচি কীভাবে ঠিক রাখা হবে, সে ব্যবস্থা তো আগেই নেওয়া প্রয়োজন ছিল। একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কতটা অদক্ষ ও দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে প্রতিবছর একই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। বিমানের ভাড়া করা একটি বোয়িং গত সপ্তাহে আকস্মিকভাবে ওমান থেকে না জানিয়ে চলে যায়। এই অবস্থার ওপর হয়তো বিমান কর্তৃপক্ষের হাত নেই। আজ ২০ সেপ্টেম্বর এই উড়োজাহাজটির ভাড়ার মেয়াদ এমনিতেই শেষ হয়ে যেত। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, ২০ তারিখে এই উড়োজাহাজটি চলে গেলে ঘাটতি সামাল দেওয়ার কী প্রস্তুতি ছিল বিমান কর্তৃপক্ষের? চাইলেই কি দু-এক দিনের মধ্যে একটি উড়োজাহাজ ভাড়া করা যায়! এটা পরিষ্কার যে পরিকল্পনা বলতে যা বোঝায় তার কিছুই নেই বিমানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে। তবে দুর্নীতি আর অনিয়মের ক্ষেত্রে এই কর্তৃপক্ষের ‘যোগ্যতা’ বা ‘দক্ষতা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। উড়োজাহাজ ভাড়া করা নিয়ে কেলেঙ্কারিও কম হয়নি।
বাংলাদেশ বিমানের সময়সূচি নিয়ে যখন এই বিপর্যয়কর দশা, তখন গত সোমবারই সংসদে এ নিয়ে এক অনির্ধারিত আলোচনা হয়েছে। সেখানে মহাজোট সরকারের শরিক দল জাতীয় পার্টির এক সংসদ সদস্য অভিযোগ করেছেন, কেবল এক ব্যক্তির কারণেই বিমানের এই দুর্দশা। যদি তা-ই হয়ে থাকে, তবে এই ব্যক্তিকে সরিয়ে বাংলাদেশ বিমানকে রক্ষা করা হচ্ছে না কেন?
আমরা আগেও বলেছি, আবারও বলি, একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ বিমান যেভাবে পরিচালিত হওয়ার কথা, সেভাবে প্রতিষ্ঠানটি চলছে না। এটাই বিমানের সর্বনাশের মূল কারণ। বাণিজ্যিক এয়ারলাইনস পরিচালনায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ একজন প্রধান নির্বাহী নিয়োগ দিয়ে এর ব্যবস্থাপনা-কাঠামো ঢেলে সাজানোর কোনো বিকল্প নেই। বিমানবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্তদের নতুন চাকরির সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশ বিমানকে যত দিন ব্যবহার করা হবে, তত দিন প্রতিষ্ঠানটির এই দুর্দশা কাটার সুযোগ নেই।
No comments